photo

বুধবার, ২৫ ডিসেম্বর, ২০১৩

আলোকবর্তীকা নিয়ে দ্বার উন্মোচিত হতে যাচ্ছে বিদ্যাগঞ্জে bdreport24.com: Welcome! www.bdreport24.com/‎05/01/2013


মনোনেশ দাস, স্টাফ রিপোর্টার , ময়মনসিংহ : এলাকার নাম বিদ্যাগঞ্জ হলেও আজো গড়ে উঠেনি এখানে বিদ্যার হাট বা বাজার। চারপাশে ধান ক্ষেত, ফসলী , ডোবা আর অনাবাদী জমি। তবে কবে কে বা কারা গ্রামটির নামকরণ করেছেন বিদ্যাগঞ্জ তা জানা যায়নি । ময়মনসিংহ শহর থেকে ১৫ কিলোমিটার দূরে পূঁইপতন নিরবতা, পাখিদের কলরবে মুখরিত গ্রামটিতে প্রতিষ্ঠিত হতে যাচ্ছে একটি কলেজ । অষ্টাধর অঞ্চলের প্রাণ পুরুষ কিংবদন্তী বিশিষ্ট সমাজসেবক মরহুম ফকির সোহরাব আলীর নামে নামকরণ হচ্ছে কলেজটি। এই কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হলে বিদ্যাগঞ্জ , অষ্টাধর , মুক্তাগাছার একাংশ মনতলা, তারাটি , ময়মনসিংহ সদরের একাংশ , ফুলপুর , জামালপুরের একাংশ পিয়ারপুরের কলেজগামী ছাত্রÑ ছাত্রীদের এক নব দিগন্তের সূচনা উন্মোচিত হবে। কলেজটি প্রতিষ্ঠার উদ্যোক্তা মরহুম সোহরাব আলীর সুযোগ্য সন্তানবর্গ। সমাজসেবক , পরোপকারী, দানবীর , গরীব দুঃখী মানুষের অকৃতিম বন্ধু , জায়গীর ভূগলি তথা অষ্টাধর ইউনিয়নের প্রাণ পুরুষ মরহুম ফকির সোহরাব আলীর ৬ পুত্রদ্বয় । এরা হলেন, ময়মনসিংহের বিশিষ্ট সমাজসেবক হাজী জালাল ফকির , গোলাম রব্বানী, হাজী কে এম গোলাম কিবরিয়া এফসিএ , মরহুম হাজী গোলাম মোস্তফা তারা , গোলাম ফারুক দুলাল এবং মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান । মরহুম ফকির সোহরাব আলীর সুযোগ্য সন্তান মহানুভব ব্যক্তিদের দয়া এবং দানের হাত এতই বেশী প্রশারিত যে, অত্রাঞ্চলের আবাল , বৃদ্ধ বনিতাদের মুখে মুখে। পার্বনে , ঈদে এমনকি শীতের কাপুনীতে জুবুথুবু গরীব দুঃখিরা যখন কষ্ট করেন ঠিক তখনই এই সমাজসেবকরা মুক্তহস্তে দান করেন বস্ত্র ও উপকরণ। হাসির ঝলকানি ফুঁটে ওঠে এসমস্ত চির দুঃখী মানুষের প্রাণে। সৃষ্টি কর্তার পাণে তারা খোলা মনে দুহাত তুলে দোয়া করেন , দুখিঃ মানুষের প্রাণ সঞ্চারে বেঁচে থাক তারা বংশ পরম্পরায়। মরহুম ফকির সোহরাব আলীর ৩য় পুত্র কে এম গোলাম কিবরিয়া । শুধু অষ্টাধার ইউনিয়নেই নয়। ফেলো অফ চাটার্ট একাউন্ট পাশ করে বৃহত্তর ময়মনসিংহবাসীকে উপহার দিয়েছেন এক অনুকরণীয় অনুসরনীয় মহানুভব মানুষ হিসাবে। দেশবাসীকে দেখিয়ে দিয়েছেন ময়মনসিংহের মানুষরাও পারে উচ্চ শিক্ষায় শিক্ষিত হয়ে সমাজসেবার মাইলফলক হয়ে দুঃখী মানুষের সেবায় এগিয়ে আসতে। সমাজ সেবার পাশাপাশি একাধারে তিনি বাংলাদেশের ১ম সারীর অগ্রণী ব্যাংকের একজন সুযোগ্য পরিচালক। একান্ত এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, আমাদের দেশে সম্পদ কম । তাই এই কম সম্পদকেই সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। তৎরূপ ক্ষমতাকেও সঠিকভাবে কাজে লাগাতে হবে। কিছু পাওয়ার যোগ্য মনে করলে আপনি পাবেন না। সঠিকভাবে তদ্বির করলে পাবেন। ময়মনসিংহে সুযোগ্য নেতার অভাব রয়েছে। বাজে লোকরা এসে ময়মনসিংহের নেতৃত্ব দখল করে নিয়েছে। তার পূর্বপুরুষদের সামাজিক অবস্থান প্রেক্ষাপটের স্মৃতিচারন করে বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষদের কোন লোভ লালশা ছিলো না। পূর্বপূরুষরা আমাদের দিকনির্দেশনা দিয়ে গেছেন, কারো সম্পদের প্রতি লোভ করো না। আমরা সেই প্রতিজ্ঞা পালন করে যাচ্ছি। পূর্বপূরুষরা বলে গেছেন , তোমরা কেউ প্রচুর সম্পদের মালিক হতে পারবে না। তবে তোমরা আমাদের নির্দেশ মেনে চললে সুন্দর , সুখী ও সমৃদ্ধ জীবন যাপন করতে পারবে। তিনি বলেন, বিদ্যাগঞ্জবাসীর দাবীর প্রেক্ষিতেই মূলত কলেজ নির্মাণের কাজ গ্রহন করা হয়েছে। কলেজ প্রতিষ্ঠায় ইতিমধ্যে ২৪ কাঠা জমি ক্রয়ের লক্ষে রেজিস্ট্রেশনের কাজ এগিয়ে চলছে। তিনি বলেন, আমার মরহুম ভাই হাজী গোলাম মোস্তফা তারা স্ব উদ্যোগে অত্রাঞ্চলের মানুষের বিদ্যা শিক্ষাকে প্রসারিত করতে ৫ টি স্কুল স্থাপন করে গেছেন। তন্মধ্যে ৩টি স্কুল ইতিমধ্যে এমপিওভূক্ত হয়েছে। আমার পক্ষ থেকে অত্রাঞ্চলে ৫টি মসজিদ নির্মান করে দিয়েছি। পিয়ারপুর বালিকা বিদ্যালয়ের বিদ্যার্থীদের দুর্ভোগ বিবেচনা করে হোস্টেল করে দিয়েছি। পরবর্তীতে বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আমার বোন জুবায়দা খাতুনের নামে হোস্টেলটির নামকরণ করেছেন। কানাডায় অধ্যয়নরত তিন ছেলে সন্তানের জনক একে গোলম কিবরিয়া বলেন, আমার ছাত্র জীবনেই পিতা মাতা গত হয়েছেন। অকপটে স্বীকার করে বলেন,আমার প্রতিষ্ঠার পেছনে বড় ভাই ফকির আব্দুল জলিল পিতা মাতার অভাব পূরণ করেছেন। এবং তিনিই নির্ধারণ করেছেন আমাকে চাটার্ট একাউন্ট হতে। ঢাকা থেকে মাত্র ১২০ কিলোমিটার দূরে অবস্থিত ময়মনসিংহ। শিক্ষা শহর হিসাবে ময়মনসিংহকে ঘোষনা করার দাবী জানিয়ে তিনি বলেন, ময়মনসিংহে কোন মস্তান থাকবে না। এখানে রয়েছে যোগ্য নেতৃত্বের অভাব। তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ময়মনসিংহ একদিন আরো ভালো করবে এবং সঠিক নেতৃত্ব বেরিয়ে আসবে। রাজনীতি ও জনপ্রতিনিধিত্বে র বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ । আওয়ামীলীগের নেত্রী যদি আমাকে সুযোগ্য মনে করে যে কোন প্রতিনিধিত্ব বা নেতৃত্বে আমার প্রয়োজন বলে মনে করে কোন নির্দেশ দেন তাহলে আমি সেই নির্দেশ যথাযথভাবে পালন করবো। এবং জনস্বার্থে নির্যাতিত , নিষ্পেষিত, অবহেলিত দুঃখী মানুষের পাশে দাড়িয়ে যোগ্য নেতৃত্ব বিকাশে এগিয়ে আসবো। এলাকাবাসী বলেন, শুধু বিদ্যা শিক্ষার দ্বার উন্মোচনই নয়। বিদ্যাগঞ্জে অগ্রণী ব্যাংকের কার্যালয় স্থাপন , হাসপাতাল স্থাপন , বিভিন্ন ধর্মীয় উৎসবে মুক্তহস্তে দান, স্ব উদ্যোগে ডাক্তার এনে চিকিৎসার ব্যবস্থা ও বিনামূল্যে ওষুধ ও উপকরণ বিতরণ এবং এলাকার সার্বিক উন্নেয়নে একে গোলাম কিবরিয়া এফসিএ এবং তার পরিবার যেভাবে এগিয়ে আসেন , ঠিক সেভাবে দেশের প্রতিটি এলাকার প্রতিষ্ঠিত ব্যক্তিগণ এগিয়ে আসলে সুখী , সমৃদ্ধ এক মডেল দেশ হিসাবে পৃথিবীর মানচিত্রে স্থান করে নিবে বাংলাদেশ ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন