মুক্তাগাছায় জাপা নেতা সালাহউদ্দিনকে নিয়ে বিস্ময়

নিয়ামুল কবীর সজল, ময়মনসিংহ 'জাতীয় পার্টির এই মুক্তিটা কে? কোনো দিন নাম শুনলাম না। আবার এমপিও অইয়া গেল।' এমন আলোচনাটি এখন ময়মনসিংহ শহর তো বটেই খোদ মুক্তাগাছা এলাকাতেও। জাতীয় পার্টির সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তিকে নিয়ে এমন আলোচনার কারণ হলো ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ-৫) আসনে আর কোনো প্রার্থী না থাকায় বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় তিনিই এখন এমপি। তাই এলাকার ভোটার এবং জেলার রাজনীতি সচেতন মানুষও এখন মুক্তির এমপির বিষয়ে যুক্তি খুঁজছে। সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তির হলফ নামা, এলাকাবাসী এবং সংশ্লিষ্ট কিছূ কাগজপত্র সূত্রে জানা যায়, তিনি মূলত মুক্তাগাছা উপজেলা সদরের ব্যবসায়ী। জাতীয় পার্টির সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকলেও স্থানীয় রাজনীতিতে তিনি মোটেও প্রভাবশালী কিংবা পরিচিত কেউ নন। এবারের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মনোনয়নপত্র দাখিল করার পরও তাঁকে নিয়ে কারো কোনো আগ্রহ ছিল না। কিন্তু সেই তিনিই এমপি হয়ে যাওয়াতে লোকজন বিস্ময় প্রকাশ করছে। শিক্ষাগত যোগ্যতা সম্পর্কে জানা গেছে সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি এসএসসি পাস। হলফনামায় মামলাসংক্রান্ত বিবরণীতে তিনি কোনো মামলার উল্লেখ না করলেও জানা গেছে ২০১০ সালের অক্টোবর মাসে জুয়াখেলার অভিযোগে পুলিশের হাতে তিনি আটক হয়েছিলেন। এ ব্যাপারে মুক্তাগাছা থানার এসআই রুহুল আমীন বাদী হয়ে থানায় একটি মামলাও (তারিখ-২২/১০/১০) দায়ের করেছিলেন। মামলায় সালাহউদ্দিন মুক্তি ছিলেন ১৩ নম্বর আসামি। জুয়া আইনের ৪/৫/১১ ধারায় এ মামলা দায়ের হয়েছিল। তবে বিষয়টি হলফনামায় লিখেননি সালাহউদ্দিন মুক্তি। এ ছাড়া হলফনামায় তিনি মূল পেশা লিখেছেন ব্যবসা। তাঁর বার্ষিক আয় তিন লাখ ৩০ হাজার টাকা। মুক্তির নির্বাচিত হওয়া নিয়ে এলাকার কেউই কোনো কথা বলতে চাননি। অনেকের মন্তব্য এমন- 'যা খুশি তা হউক আমাদের কী।' এ ব্যাপারে সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তির সঙ্গে কথা বললে তিনি বলেন, তিনি জাতীয় পার্টির রাজনীতির সঙ্গে দীর্ঘ সময় ধরে যুক্ত। ২০১০ সালে পুলিশের হাতে গ্রপ্তার হওয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন ওই সময় তিনি ষড়যন্ত্রমূলক ভাবে আটক হয়েছিলেন। পরে তিনি ওই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন। এ মামলার বিষয়টি হলফনামায় কেন লিখেননি, এ প্রশ্নে সালাহ উদ্দিন মুক্তি বলেন, খালাস পেলে তা আর হলফনামায় লিখতে হয় না। ঢাকা, সোমবার ১৬ ডিসেম্বর ২০১৩, ২ পৌষ ১৪২০, ১২ সফর ১৪৩৫