photo

শুক্রবার, ১০ জানুয়ারী, ২০১৪

মুক্তাগাছায় পামওয়েল গাছে কাঁদিতে কাঁদিতে ফল


স্টাফ রিপোর্টার :মুক্তাগাছায় উৎপাদিত পামওয়েলের বাম্পার ফলন হয়েছে । প্রতিটি গাছে ৩৫ থেকে ৪০ কেজি তেল আহরণ সম্ভব হবে বলে কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা গেছে । জানা যায়, মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা গ্রামের কৃষক রিয়াজুল করিম ব্যক্তি উদ্যোগে তার পুকুর ও ফসলী জমির ক্ষেতের আইলে ১০ শতাংশ জমিতে পরীক্ষামূলকভাবে ২০০৮ সালে ৪০টিরও অধিক পাম গাছের চারা রোপন করেন । রোপিত গাছের ১৬ টিরও অধিক গাছে এখন কাঁদিতে কাঁদিতে পরিপক্ক ফল । বাংলাদেশ পামওয়েল উন্নয়ন প্রকল্প ও পামওয়েল রিসার্স এন্ড ডেভেলপমেন্ট লি: সূত্রে জানা যায় , এটি বর্ষজীবি উদ্ভিদ । টানা ৬০ - ৭০ বছর ফল দেয় । ঝড় জলোচ্ছাসে গাছের ক্ষতি হয় না । অন্যান্য গাছ থেকে ১০ গুণ বেশি অক্সিজেন দেয় । ১ একর পামওয়েল চাষে ঘরে বসেই মাসে লাখ টাকা আয় করা সম্ভব । প্রতি গাছে মাসে ১ হাজার টাকা আয় হয় । একটি পরিবারের সারা বছরের তেলের চাহিদা পূরণের জন্য ২টি গাছই যথেষ্ট । ২০ ফুট দূরত্বে ২ ফুট বাই ২ফুট গর্ত করে মাটির সাথে ৫/৭ কেজি গোবর , ১শ’ গ্রাম টিএসপি ও ৫০ গ্রাম এম,ওপি মিশিয়ে চারা রোপন করতে হয় । ফল থেকে হাতে ও মেশিনে তেল সংগ্রহ করা হয় । ফল পানিতে সিদ্ধ করে চিপন দিলে তেল বের হয় । টঙ্গী মাজুখানে ইতিমধ্যে মিল স্থাপন করা হয়েছে । ভবিষ্যতে সারাদেশেই ক্ষুদ্র ও বৃহৎ মিল স্থাপন প্রক্রিয়াধীন আছে । পামচাষী রিয়াজুল করিম জানান, পাশ্ববর্তী মধুপুর উপজেলার একটি নার্সারী থেকে চারা সংগ্রহ করে ক্ষেতের আইলে রোপন করা হয় । মুক্তাগাছা কৃষি অফিসের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, এই গাছ যত বড় হবে তেল উৎপাদন তত বাড়বে । উৎপাদিত ফল থেকে তেল সংগ্রহের জন্য উদ্যান উন্নয়ন বিশেষজ্ঞের সহযোগীতা চাওয়া হয়েছে । ছবি ক্যাপশণ : গাছে কাঁদিতে কাঁদিতে পরিপক্ক ফল

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন