photo

শনিবার, ৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মুক্তাগাছায় ডিজিটাল গেমে ঝুকছে শিশু- কিশোর


মনোনেশ দাস : মুক্তাগাছায় স্মার্টফোনে ডিজিটাল ভিডিও গেম খেলার আসক্তি বেড়েছে শিশু- কিশোরদের । করোনা ভাইরাসের প্রভাবে অনলাইনে পড়াশোনা, মোবাইল গেম খেলে জিতলেই মিলবে প্রচুর ডলার, সহজেই সাফল্যসহ বিরাট কিছু অর্থাৎ সুস্টার হয়ে যাবে মনে করার কারণে স্মার্টফোনে ডিজিটাল গেম খেলছে তারা। বিদ্যালয়গুলিতে মোবাইল ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা থাকলেও অনেকে মানছে না । বাড়িতে অবাধে অভিভাবকদের সামনেই প্রকাশ্যে ব্যবহার করছে শিশু কিশোররা । মোবাইল আর গেম জীবনের অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ হয়ে গেছে। সহপাঠীদের আছে এমন কথায় অনেক সময়ে অভিভাবকরাও শিশুদের হাতে মোবাইল দিয়ে নিজেরা সংসারের কাজে ব্যস্ত থাকছেন। কোনও জরুরি কাজ দিলেও স্কিন থেকে চোখ সরছে না তাদের। এতে তাদের আসক্তি বাড়ছে মনোযোগ হারাচ্ছে লেখাপড়ায় । মোবাইল গেমগুলিতে বন্দুক, গুলি, তলোয়ার, চাকুরসহ বিভিন্ন অস্ত্রের ব্যবহার আর রক্তপাতের দৃশ্য শিশুদের চোখে উল্লাস কখনও হিং¯্রতা ফুটে উঠছে। মোবাইল নিয়ে একই স্থানে বসে থাকায় হাঁটাচলা, দৌড়ঝাপ কম করায় কমছে শারীরিক দক্ষতা কমে গিয়ে জীবনযাপন ধারা বদলাচ্ছে তাদের ।

দশম শ্রেণিতে পড়–য়া মেয়ে শিক্ষার্থীর বাবা লক্ষীখোলার বাসিন্দা সাংবাদিক মাজহারুল আজাদ বুলবুল জানান, আমার মেয়ের মোবাইল আসক্তি নেই । স্কুলের বেশিরভাগ সহপাঠিদের হাতে স্মার্টফোন । অনলাইনে গেম খেলছে সহপাঠিরা। শিক্ষকের কাছে বিচার দেয়ায় পর থেকে আর মিশছেনা তার সাথে । সহপাঠিরা ঐমেয়ের ওপর ক্ষুব্ধ।  

কয়েকজন অভিভাবক বলেন, মোবাইল না পেয়ে উগ্র মেজাজে বই খাতা, কলম ছুড়ে মারছে, বাসায় অশান্তি করছে। প্রতিবাদকারীদের বিরুদ্ধে হিংসার উদ্রেক সৃষ্টি করছে । আবৃতি , নাচ, গান, অভিনয়, চিত্র আঁকায় উদ্বুদ্ধ করে অনলাইনে লুডু, ক্যারাম খেলায় মনোযোগী করা দরকার । 

মুক্তাগাছার শিশু চিকিৎসক ডাক্তার জোৎ¯œা মাহবুব খান বলেন, শিশু- কিশোরদের মনের চাহিদা অভিভাবকদের বুঝতে হবে। অনলাইন গেমের প্রতি আসক্তি তৈরি হওয়ার আগেই ব্যবস্থা নিতে হবে। বিদ্যালয়ের পাশাপাশি আসক্তি ঠেকাতে অভিভাবকদের নজরদারি বাড়াতে হবে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন