
স্টাফ রিপোর্টার : সারাদেশে সরকারী বেসরকারী দলগুলির কেন্দ্রীয় কর্মসূচী মুক্তাগাছায় পরিলক্ষিত হচ্ছে না । আভ্যন্তরীন কোন্দল , গ্রুপ্রিং লোবিং এবং নিজস্বার্থের দিকে অধিকাংশ নেতা কর্মী ধাবিত হওয়ায় কুলষিত করেছে রাজনৈতিক অঙ্গণ এমন দাবী বিশ্লেষকদের । জানা যায় , ৭০ এর দশক পর্যন্ত সংসদ ও মুক্তাগাছার রাজনৈতিক মাঠ দখল করে রাখে আওয়ামীলীগ । এরপর বিএনপি’ জাতীয় পার্টি ২ হাজারের দশকে এই মাঠ নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নেয় । পর্যায়ক্রমে খন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লা , মরহুম এড. শামছুল হক, কেরামত আলী তালুকদার , মরহুম শামছুল হুদা চৌধুরী গণপরিষদ ও সংসদ সদস্য হয়ে রাজনৈতিক অঙ্গণের ধারক বাহক হিসাবে নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠায় সমর্থ হন । ৯০ এর দশক থেকে রাজনৈতিক মাঠ স্থানীয় বহিরাগতদের নিয়ন্ত্রণে চলে যাওয়ায় রজনৈতিক জৌলুষ কমতে থাকে । ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের কিছুদিন আগে ইন্তেকাল করেন সংসদ সদস্য কেরামত আলী তালুকদার । তৎকালীন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক আবু জো ফজলুল হক বাবলু ১৫ ফেব্রুয়ারীর নির্বাচনে অংশ নিয়ে এমপি নির্বাচিত হন । ঢাকায় চাকুরী জীবনের সমাপ্তি ঘটিয়ে বিএনপি’র টিকিট নিয়ে আ’লীগ সরকারের আমলে বিএনপি’র টিকিটে এমপি হিসাবে নির্বাচিত হন একেএম মোশাররফ হোসেন এফসিএ । কপাল ভাঙ্গে আবু রেজা ফজলুল হক বাবলুর । বিএনপি ২ হাজারের দশকে আবারও ক্ষমতায় এলে প্রতিমন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ পেয়ে এলাকার ব্যাপক উন্নতি সাধণ করেন । ৯০’এর দশক থেকে আওয়ামীলীগ ও জাতীয় পার্টির রাজনৈতিক ধ্বস নামে । জাতীয় পার্টির প্রখ্যাত নেতা আব্দুর রশীদ কালা মিয়ার নেতৃত্বকে জলাঞ্জলী দিয়ে এরশাদ সরকারের আমলের মন্ত্রী ও স্পীকার শামসুল হুদা চৌধুরী আ’লীগে যোগ দেন । টিকিট নিয়ে সংসদ নির্বাচনে পরাজয় বরণ করে রাজনৈতিক অঙ্গণ থেকে অবসর নেন তিনি । আ’লীগের রাজনীতিতে ঘটে ব্যাপক পরিবর্তন । হাল ধরেন ঢাকা থেকে আগত সংবাদপাঠিকা রাশিদা মহিউদ্দিন , শিল্পপতি মালেক (ভাংগারি) । রাশিদা মহিউদ্দিন রাজনৈতিক অঙ্গণকে চাঙ্গা করে ২০০১ সালে সংসদ নির্বাচনে কিছু ভোটের ব্যাবধানে পরাজিত হন । ২০০৬ সালের সংসদ নির্বাচনের আগেই রাশিদা মহিউদ্দিন ও আব্দুল মালেক ইন্তেকাল করেন । ২০০৬ সালে আ’লীগের টিকিটে নির্বাচিত হন একেএম খালিদ বাবু । এই নির্বাচনে একেএম মোশাররফ হোসেন ময়মনসিংহ সদর আসনে নির্বাচন করে পরাজিত হন । মুক্তাগাছা আসনে নির্বাচন করেন তার ছোট ভাই জাকির হোসেন বাবুল (ক্লাসিক) । এদিকে আসন্ন ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একমাত্র পার্থী জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক সালাউদ্দিন মুক্তি । সাম্প্রতিক সময়ে এই রাজনৈকি দলগুলির একটিতেও কোন কার্যক্রম পরিলক্ষিত হচ্ছে না । আ’লীগ সমর্থিত নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন কর্মী জানান , দলের নেতা কর্মীরা আজ কয়েক ভাগে বিভক্ত । এদের অনেকেই ক্ষমতার স্বাদ নিয়েছেন । যারা বঞ্চিত হয়েছেন তারা নিজেদের দলীয় কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখছেন । আবু রেজা ফজলুল হক বিএনপি’র এমপি হিসাবে মুক্তাগায় বিজয়ী হলেওকয়েক বছর ধরে নিষ্কিয় । সাম্প্রতিক সময়ে বিএনপি তথা ১৮ দলের অবরোধ কর্মসূচীতে নেই বিএনপি’ নেতাকর্মীদের অংশগ্রহন । অপরদিকে নিজেরদের দলীয় সাংসদের মনোনয়ন প্রত্যাহারে ১৮ দলের নাশকতা প্রতিরোধসহ কোন কর্মসূচীতেই অংশগ্রহণ নেই আ’লীগের নেতা কর্মীদের । এদিকে আ’লীগের সাথে জাতীয় পার্টির টানাপোড়নে দুই গ্রুপে ভাগ হয়ে গেছে জাতীয় পার্টি । থানা জাপার যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম বিপ্লব জানান , কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসাবে এরশাদের মুক্তির দাবীতে সম্প্রতি মাইকিং করতে গেলে থানা পুলিশ মাইকিং বন্ধ করে দিয়ে রিকশা ও সরঞ্জামসহ ২কর্মীকে থানায় এনে রাখে । এব্যাপারে হবু সাংসদ সালাউদ্দিন মুক্তি কোন ভ’মিকা না নেয়ায় তিনি নিজেই আটককৃতদের থানা থেকে ছাড়িয়ে আনেন বলে দাবী করেন ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন