photo

শুক্রবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০১৪

মুক্তাগাছায় অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে তৈরি হচ্ছে ভাপা পিঠা


স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তাগাছায় শীতের আগমনী বার্তা নিয়ে হেমন্ত হাজির হয়েছে । হিমেল পরশে সম্প্রতি বিদায় নিয়েছে রোদের প্রখরতা । সন্ধ্যার পর হিম অত্রাঞ্চলের মানুষের শরীরকে স্পর্শ করে । মুক্তাগাছায় শীতে কাঁপতে কাঁপতে পিঠা খাওয়ার দৃশ্য সর্বত্র চোখে পড়ে । এক সময় অত্রাঞ্চলের প্রায় সকল বাড়িতেই তৈরি হতো পিঠা । দিন দিন সংসারের নানাবিধ কর্মব্যস্ততায় বাড়িতে আর আগের মত তৈরি হয় না পিঠা । তাই ফুটপাতের দোকানই এখন ভরষা । মুক্তাগাছার ছোট বড় বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কের পাশে , জন সমাগমস্থলে ও বাজারের আশেপাশে বসছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান । এসমস্ত পিঠার দোকানে বিভিন্ন পিঠা বিক্রি হলেও ৯০ ভাগ বিক্রি হচ্ছে ভাপা পিঠা । অল্প পূজিঁর ব্যবসা ভাপা পিঠার তৈরীর মূল উপাদান চালের গুাঁড়া , নারকেল ও গুড় । মাটি দিয়ে চুলা তৈরির মাধ্যমে সাইকেল রিকশার বেলের মধ্যে উপাদানগুলি পুড়ে কয়েক মিনিটেই তৈরি করা হয় ভাপা পিঠা । এই ভাপা পিঠার ক্রেতার অভাব নেই । ছেলে বুড়ো সকলেই প্রকার ভেদে ৫ থেকে ১০ টাকায় কিনেন ভাপা পিঠা । ভাপা পিঠার ব্যবসা এখন জমজমাট । কলেজ রোডের ভাপা পিঠা বিক্রেতা জরিনা জানান , পিঠা বিক্রি করে প্রতিদিন গড়ে ৩শ’ টাকা থেকে ৫শ’ টাকা পর্যন্ত আয় হয় । জানা যায় , দরিদ্র শ্রেণীর মহিলারাই বেশী পিঠা তৈরি ও বিক্রির পেশায় জড়িত । এদিকে এই পিঠা মোটেও স্বাস্থ্য সন্মত নয় বলে দাবী করেছেন মুক্তাগাছার নারী ও শিশু রোগের অভিজ্ঞ ডাক্তার । জানান, অস্বাস্ত্যকর পরিবেশে তৈরি এসমস্ত পিঠা খেলে রোগে আক্রান্ত হবার সম্ভাবনা থেকে যায় । তিনি জানান, শুধু পিঠা নয় যে কোন খাবার তৈরি করতে হলে হাত মুখ ভালো ভাবে ধুয়ে নিতে হয় । তাছাড়া দোকানগুলিও বসানো হচ্ছে স্যাতসেতে ও নোংরা স্থানে । এক্ষেত্রে পিঠা তৈরিকারকদের পরিবেশ সন্মত হেেত খুব একটা লক্ষ করা যায় না । তিনি সরকারী বেসরকারীভাবে পিঠা তৈরিকারকদের সচেতন করে তোলার আহবান জানান । ছবি ক্যাপশণ : মুক্তাগাছা : ছোট বড় বিভিন্ন সড়ক মহাসড়কের পাশে , জন সমাগমস্থলে ও বাজারের আশেপাশে বসছে ভ্রাম্যমাণ পিঠার দোকান

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন