photo

শনিবার, ১২ এপ্রিল, ২০১৪

মুক্তাগাছায় কোরিয়ান জাতের মরিচ গাছে মড়ক


স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তাগাছায় চাষ করা কোরিয়ান জাতের মরিচ মড়কের কবলে অপরিপক্ক অবস্থায় পচে গিয়ে গাছ থেকে ঝড়ে পড়ছে । রোগ নির্ণয় করতে না পেরে নতুন বাগান সৃষ্টির মাধ্যমে আবারও চাষ করা হচ্ছে এই মরিচ । জানা যায় , দক্ষিণ কোরিয়ার কোম্পানি সেহা বাংলাদেশ মুক্তাগাছা শহর থেকে ৬ কিলোমিটার দূরে ঘোগা ইউনিয়নের রামচন্দ্রপুর গ্রামে এই মরিচ (কোরিয়ান নাম ‘গচু ’ ) ১৯৯৮ সাল থেকে চাষ করে আসছে । দীর্ঘ ১৬ বছর পর এই প্রথম মরিচ গাছ মড়কে আক্রান্ত হলো । কোম্পানির সূত্রে জানা যায় , ২ কাঠা জমিতে রোপিত মরিচ পরিপক্ক হওয়ার আগেই ২ সপ্তাহ ধরে কোকড়া হয়ে মারা যেতে থাকে । সূদূর দক্ষিণ কোরিয়া থেকে আনা বীজে রোপিত ফসল সুরক্ষায় কোম্পানির নিজস্ব বিশেষজ্ঞ না থাকায় রোগ নির্ণয় ও রোগ দমন সম্ভব হচ্ছে না । কোরিয়ান এই মরিচের দাম প্রতিকেজি ১ হাজার টাকা । স্বাদে সামান্য মিষ্টি এই মরিচের একমাত্র ক্রেতা বাংলাদেশে বসবাসকারী কোরিয়ান দেশের জনসাধারণ । মুক্তাগাছায় মরিচের পাশাপাশি তারা ৩ একর জমিতে চাষ করেছেন শাক সবজি আলু , বেগুন , পটল , লাউ , ডাটা , ঢেরশ , মিষ্টি কুমড়া প্রভৃতি ফসল । কোরিয়ানরা তাদের ভাষায় যাকে সম্বোধন করেন, মিনারী , ঘেইল , সাংচু , কেননিপ, আলথারি , মুআও, সাংচু, সিকুরী সুকাত, ছংগিয়ং, ছে, অবাক প্রভৃতি নামে । আকার প্রকার ভেদে এই শাক সবজির মূল্য কেজি প্রতি ১ হাজার থেকে ২ হাজার টাকা পর্যন্ত । মুক্তাগাছায় উৎপাদিত শাক সবজি কোরিয়ান নাগরিকদের চাহিদা মেটাতে এখানে উৎপাদন করে ঢাকায় রপ্তানি করা হয় । সেহা বাংলাদেশের ম্যানেজার মো: আলী জানান, মরিচ গাছে কোল্ড ইনজুরি অথবা অজ্ঞাত ভাইরাস আক্রমণ করতে পারে । তবে মরিচ ছাড়া বাকী অন্যান্য ফসল অক্ষত আছে । ক্রেতার চাহিদা বিবেচনা করে পাশ্ববর্তী আরেকটি ক্ষেতে আবারও নতুন করে মরিচের চাষ করা হচ্ছে । ছবি ক্যাপশণ , মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) : মড়কের কবলে কেরিয়ান মরিচ (গচ) ক্ষেত

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন