
স্টাফ রিপোর্টার : অন্তহীন সমস্য নিয়ে খুড়িয়ে খুড়িয়ে চলছে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের কার্যক্রম । মুক্তাগাছা এবং তৎসংলগ্ন এলাকার প্রায় পাঁচ লাখ মানুষের স্বাস্থ্য সেবা দিতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ । জানা যায়, হাসপাতালে নয় জন ডাক্তারের স্থলে কর্মরত আছেন দুই জন । ডাক্তার আছেন কিন্তু তারা আছেন ডেপুটেশন , ট্রেনিং আর বদলীতে । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা এবং আরএমও এই দুই জনকে প্রশাসনিক কাজের বাইরে দিতে হয় চিকিৎসা সেবা । উপজেলার রসুলপুর, পদুরবাড়ি, হরিপুর দেওলী ও বটতলা এই ৪টি উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে ডাক্তার আছেন মাত্র দুই জন । এই দুই জন ডাক্তার উপ স্বাস্থ্য কেন্দ্রে চিকিৎসা দেয়ার পর রোগীদের চাপে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরী বিভাগে এসে চিকিৎসা দিয়ে থাকেন । ৮ জন পরীচ্ছন্ন কর্মীর স্থলে আছে মাত্র দুই জন । দুই জনের স্থলে মাত্র একজন নিরাপত্তা কর্মী রক্ষা করছেন হাসপাতাল । বাউন্ডারী দেয়াল নিচু হওয়ায় এবং জনবলের অভাবে হাসপাতালে ভেতরে চোর টাউট বাটপার আর মাদকসেবীরা ঢুকে পড়ে । গুরু ছাগল ভেতরে প্রবেশ করায় মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে উঠে । হাসপাতালের দেয়ালের পাশে এসে মানুষ প¯্রাব করায় দুর্ঘন্ধে বমি আসে । ডাক্তার কর্মকর্তা কর্মচারীদের ব্যবহৃত বিল্ডিংগুলি ব্যবহার অনুপযোগী হয়ে পড়েছে । বর্ষাকালে ভেতরে পানি এসে স্যাতস্যাতে হয়ে যায় । ব্যবহার অনুপযোগী পরিত্যক্ত ভবনে নেশাখোরদের আনাগোনা এখন প্রতিদিনের চিত্র । অনুপ্রবেশ ঠেকাতে কর্তৃপক্ষ সাইনবোর্ড ঝুলালে সেই সাইনবোর্ডগুলিও খুলে নিয়ে বখাটেরা । এতকিছুর পরও ৩৯টি কমিউনিটি ক্লিনিকের কার্যক্রম চলছে । ৩১ শস্যার হাসপাতালটি ৫০ শয্যায় উন্নীত করে গড়ে তোলা হয় নতুন ভবন । ২ বছর আগে ভবনটির উদ্বোধন করা হয় । কিন্তু প্রশাসনিক অনুমোদন না থাকায় এবং জনবলের অভাবে ঐবিল্ডিং এর কার্যক্রম আজও চালু হয়নি । উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. সুফিয়া শিরিন জানান , সমস্যাগুলি স্থানীয় সংসদ সদস্য মহোদয়কে জানানো হয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন