স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় পৌরসভার ত্রিমোহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক শামছুন্নাহারের স্বাক্ষর জাল করে একই বিদ্যালয়ে ডেপুটেশনে থাকা সহকারী শিক্ষক আরিফা সিদ্দিকার মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন নিয়ে শুরু হয়েছে তোলপাড়। এ ব্যপারে জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবরে লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে।
জানা যায়, মুক্তাগাছা ত্রিমোহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদা বেগম সম্প্রতি তারই বিদ্যালয়ের স্থায়ী পদে সহকারী শিক্ষক শামছুন্নাহারকে পাইকরা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও ডেপুটেশনে থাকা সহকারী শিক্ষক আরিফা সিদ্দিকাকে ত্রিমোহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন নিজ হাতে উপজেলা শিক্ষা অফিসে দাখিল করেন। উপজেলা শিক্ষা অফিসার সেই আবেদন গ্রহণ করে সুপারিশসহ জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করেন।
এদিকে শিক্ষক শামছুন্নাহার তার প্রয়োজনে গত বৃহস্পতিবার অফিসে এলে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের বিষয়টি জানতে পেরে হতবাক হয়ে যান। পরে খোঁজ খবর নিয়ে জানতে পারেন তারই বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক সহকারী শিক্ষক আরিফা সিদ্দিকার যোগসাজসে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য তার স্বাক্ষর জাল করে শিক্ষা অফিসে জমা দিয়েছেন। আবেদনপত্রটি সুপারিশসহ জেলা শিক্ষা অফিসে প্রেরণ করা হয়েছে যা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।
শিক্ষক শামছুন্নাহার উপজেলা শিক্ষা অফিসারকে বিষয়টি তাৎক্ষণিক মৌখিকভাবে জানান। পরে তাকেসহ জেলা শিক্ষা অফিসার বরাবর লিখিত আবেদনে জানান, তিনি মিউচুয়াল ট্রান্সফারের কোনো আবেদন করেননি। দাখিলকৃত আবেদনপত্রে তার স্বাক্ষর জাল করা হয়েছে। তিনি বদলি হতে চান না।
এ ব্যাপারে উপজেলা শিক্ষা অফিসার নিলুফার হাকিম মুঠোফোনে সাংবাদিকদের জানান, শিক্ষক শামছুন্নাহার অফিসে এসে জানিয়েছেন তার অজ্ঞাতসারে মিউচুয়াল ট্রান্সফারের আবেদন করা হয়েছে। আবেদনপত্রের স্বাক্ষর তার নয়। তিনি বদলি হতে চান না। বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে তাৎক্ষণিকভাবে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে।
ত্রিমোহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাকসুদা বেগমের মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও তার বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি।
উল্লেখ্য, উপজেলার পাইকরা সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক আরিফা সিদ্দীক প্রায় এক বছর যাবত ত্রিমোহিনী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ডেপোটেশনে কর্মরত রয়েছেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন