মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় করোনা ভাইরাস আতঙ্কে ঘরবন্দী সকলে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠান সমস্তকিছু একেবারে বন্ধ। এমন পরিস্থিতিতে দিন আনা দিন খাওয়া মানুষের একেবারে করুন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে । ফলে দীন দরিদ্র মানুষ এক বেলা খেতে পেলে অপরবেলা কি খাবে তা নিয়ে ভাবতে হচ্ছে।
এমন পরিস্থিতিতে এমন শ্রেণির অনেক মানুষের পাশে এগিয়ে এসেছেন মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) বিপ্লব কুমার বিশ্বাস । হত দরিদ্র , ভিক্ষুকসহ দিন দরিদ্র দুস্থ মানুষদের হাতে চাল, ডাল, আলু অর্থাৎ খাদ্যদ্রব্য এবং কখনও নগদ টাকা তুলে দেন ।
সরকারি নিয়ম মেনে হাতে গ্লাবস্ মুখে মাক্স পরে খাদ্যদ্রব্য বিলি করেন, লকডাউনের সময় খেটে খাওয়া মানুষের এবং ভিক্ষুকদের একেবারে করুন অবস্থা হয়ে দাঁড়িয়েছে তাদেরকে। মুক্তাগাছা থানার ওসি বিপ্লব কুমার বিশ^াস এমন পরিস্থিতিতে দুঃস্থ মানুষদের হাতে খাদ্যসামগ্রী তুলে দিতে গিয়ে বলেন, সাধারন মানুষের পাশে আছি থাকবো করোনা ভাইরাসের এই সংকটে ।
মুক্তাগাছার প্রবীণ নাগরিকরা জানান, একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে পুলিশের এরকম মানবিকতা দেখেছি । অনেকদিন পর আবার ওসি সাহেবকে দেখলাম ।
জানা গেছে, জেলা পুলিশ সুপারের নির্দেশে মুক্তাগাছায় আইন-শৃংখলা রক্ষার পাশাপাশি, কোয়ারেন্টিন, আইসোলেশন, লকডাউন কিংবা ঘরে থাকা বাস্তবায়ন, সামাজিক দূরত্ব প্রতিপালন নিশ্চিতের প্রচেষ্টা, নিজস্ব অর্থায়ন , প্রকাশ্যে ও গোপনে ত্রান পৌঁছানোর কাজ করে যাচ্ছেন ওসি বিপ্লব কুমার বিশ^াস ।
হত দরিদ্র এমনকি মধ্যবিত্ত যারা কিছু চাইতে লোকলজ¦াকে ভয় পান এই শ্রেণির কেউ খাদ্য সঙ্কটে আছেন কি না তারও খোঁজ নিচ্ছে পুলিশ । আর এমন মানবিক আচরণ নিয়েই করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ওসি বিপ্লব বিশ^াস ।
ওসির নেতৃত্বে মুক্তাগাছা থানাধীন বিভিন্নস্থানে রাতের আধারে ছুটে যাচ্ছেন । লকডাউন ভেঙে ঘর থেকে বের না হতে নিষেধ করা, কারো যদি ঘরে খাবার না থাকে সাধ্যানুযায়ী তাকে ও তার পরিবারের সদস্যদের সেই সহযোগিতাও দেওয়া হচ্ছে মুক্তাগাছা পুলিশের পক্ষ থেকে। মুক্তাগাছায় ভাইরাস সতর্কতা কার্যক্রমের শুরু থেকেই খাদ্য সহায়তা করছে থানা পুলিশ ।
এএক অনন্য নজির গড়ে তুলেছে ওসির নেতৃত্বে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ । করোনা ভাইরাস মোকাবিলায় মানুষের জীবন যাপন পাল্টে গেছে। মানুষ অসহায় । তাদের পাশে এসে দাড়িয়েছে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ। পাশাপাশি নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসের সঠিক দাম রাখা হচ্ছে কিনা । মানুষ খাবার পাচ্ছে কি না । রাতে কিংবা লকডাউন ভেঙে কেও দোকান-পাট খুলছে কিনা সেই বিষয়ে ওয়াকিবহাল থাকা-এসবই করেছেন ওসি বিপ্লব বিশ^াস। ওসির নেতৃত্বে মুক্তাগাছা থানা পুলিশ মানবিক। ওসি নেতৃত্বে মুক্তাগাছা থানা পুলিশের এই দায়িত্ববোধ, সচেতনতা অনুকরনীয়- অনুসরনীয় দৃষ্টান্ত বলে মনে করছেন মুক্তাগাছার সচেতন মহল ।
ওসি বিপ্লব বিশ^াস বলেন, আমরা যখন চাকরিতে যোগ দেই তখনই আমরা মানুষের কল্যাণে কাজ করার অঙ্গীকার করি । করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের পাশে থাকা আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্যের একটি অংশ ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন