মেয়েটি দশম শ্রেণির ছাত্রী। তার বিয়ে ঠিক করেছিলেন দরিদ্র পিতা-মাতা। সৌভাগ্যক্রমে যে ইমাম সাহেবকে এ বাল্যবিবাহ সম্পাদনের জন্য আহ্বান করা হয়েছিলো, তিনি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মসজিদ ভিত্তিক শিশু ও গণশিক্ষা কার্যক্রমের একজন শিক্ষক। ইমাম মহোদয় মেয়েটির পিতা-মাতাকে বাল্যবিবাহের বহুমুখী কুফল সম্পর্কে অবগত করেন এবং বাংলাদেশের প্রচলিত আইনে এটি যে অপরাধ তাও বোঝাতে সক্ষম হন। সর্বশেষ তিনি তাদেরকে আশ্বস্ত করেন যে উপজেলা প্রশাসনকে অবহিত করলে এই মেয়েটির পড়াশুনার ব্যয় নির্বাহের ব্যবস্থা হবে। পরদিন সমাজের সত্যিকারের একজন সচেতন মানুষ হিসেবে তিনি নিজে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের সাথে দেখা করে পুরো বিষয়টি জানান। তাঁর অসাধারণ দায়িত্ববোধের কারণে বাল্যবিবাহের অভিশাপ থেকে রক্ষা পেয়েছে মেয়েটি। তাঁর প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা।
আজ উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে মেয়েটির মায়ের উপস্থিতিতে তাকে পড়াশোনার জন্য আর্থিক অনুদান প্রদান করা হলো। সে কথা দিলো, ভালো করে পড়বে। তার মা কথা দিলেন, ১৮ বছর পূর্ণ হবার আগে আর তার বিয়ের কথা ভাববেন না।
এভাবেই সমাজের মহৎপ্রাণ ব্যক্তিদের সাহায্যে এগিয়ে যাক বাধা পেরিয়ে সব কিশোরী, এই শুভ প্রত্যাশা। সূত্র : মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ফেসবুক ওয়ালের পোস্ট
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন