পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১৭ জানুয়ারী, ২০২২

মুক্তাগাছায় হারিয়ে যাচ্ছে ডন্ড কলস



স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তাগাছায় ক্ষেতের আইল, বাড়ির আঙ্গিনা, ঝোপ-ঝাড় থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শ্বেতাদ্রোণ বা ডন্ড কলশ গাছ । 

বাঙালির খাদ্য তালিকায় উপকারি শাক হিসাবে অঞ্চলভেদে এই গাছটিকে , ধুলফী, দন কলস, হাল কোশা,দল কলস, ধোবরী প্রভৃতি নামেও ডাকা হয় । উপজেলার সর্বত্র এক সময় বিস্তীর্ণ জমিতে ডন্ড কলশ শাক দেখা যেতো । বিনা চাষে জন্মায় এই গাছ। 

অত্রাঞ্চলের মানুষ এই শাককে সর্ব রোগের মহৌষধ মনে করে ভাতের সাথে উপকরণ হিসাবে খেয়ে থাকেন । স্বাদে তেতো । অর্থকরী ফসল চাষাবাদ ও জমিতে রাসায়নিক প্রয়োগের ফলে শাকটি আর আগের মতো দেখা যায় না । বাজারে মাঝে মধ্যে এই শাক এখনও পাওয়া যায় । অন্যান্য শাকের চেয়ে এই শাকের দামও কম ।

প্রবীণরা জানান, একসময় অনাবাদী বিস্তীর্ণ জমিতে দেখা যেত । এখন প্রায় সকল জমি আবাদের আওতায় আসায় গাছটি আর আগের মত জন্মানোর সুযোগ পাচ্ছে না । তাছাড়া আগাজা হিসাবে জন্মলেও তা অঙ্কুরেই কেটে ফেলা হচ্ছে ।

আয়ুর্বেদীক চিকিৎসক শম্বা রায় দাস জানান, শ্বেতাদ্রোণ শীত মৌসুমে জন্মায় । জ¦র- সর্দি জ্বর, শরীর ব্যথা, পেট ফাঁপা, বদহজম, শ^াসকষ্ঠের রোগে এগাছের পাতা, শেকড় উপকারি ।

মুক্তাগাছা বড় মসজিদ রোডে দন্ড কলশ শাক নিয়ে আসা একজন বিক্রেতা জানান, চার আটি শাক পনের বিশ টাকায় বিক্রি করা যায় ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন