পৃষ্ঠাসমূহ

বৃহস্পতিবার, ১০ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মুক্তাগাছায় জীবনযুদ্ধে রিকশাওয়ালা


মনোনেশ দাস :  একবিংশ শতাব্দীর উপান্তে সভ্যতার এক সুউচ্চ অবস্থানে উপনীত হয়েছে মানুষ। জ্ঞান- বিজ্ঞানের বিকাশ জীবনযাপনকে করেছে সহজ। কিন্তু অনুন্নত দেশগুলোর সভ্যতার শীর্ষযুগের সুযোগ-সুবিধা থেকে অধিকাংশেই বঞ্চিত। এখানে অন্ন সংগ্রহের জন্য মানুষকে বহন করতে হয় মানুষের বোঝা । আমাদের চোখের সামনে তিন চাকার এক মানব চালিত শকট রিকশা বিকল্পহীন।

 বিগত বছরগুলিতে ময়মনসিংহ এবং উপজেলার শহরগুলিতে অন্যতম সমস্যা হিসেবে পরিণত হয়েছে , কিন্তু একথাও সত্য যে রিকশার সঙ্গে  শহর বিকাশের এক অবিচ্ছেদ্য সম্পর্ক । তা সত্ত্বেও সময়ের নির্মম চাপে একদিন হয়তো শহর থেকে উঠে যাবে ঐতিহ্যবাহী এ ত্রিচক্রযানটি। 

মুক্তাগাছায় জনসংখ্যা বৃদ্ধির সাথে সাথে রিকসার সংখ্যাও বেড়ে চলেছে  অনিয়ন্ত্রিতভাবে। তবে রিকশার এই বিরামহীন বৃদ্ধি দেশের অর্থনীতির ওপরও প্রভাব ফেলছে দারুনভাবে। 

গ্রাম থেকে নিৎস্ব হয়ে মানুষ কাজের অন্বেষণে ছুটে আসে শহরে । কোন কাজ না পেয়ে রিকশা চালায় এরা।

কয়েকজন রিকশাওয়ালা জানান,গড়ে প্রতিদিন ৪/৫ শ টাকা আবার কখনও বেশিও রোজগার করা যায় । আমদানী পেট খোরাক বাদ দিয়ে এক দেড়শ টাকা থেকে যায় । এদিয়েই চালাতে হয় সংসার। ছেলে-মেয়ে ,বৌ,বাপ-মা সকলকেই খাওয়াতে হয় এই রিকশার উপার্যনের অর্থ দিয়েই।  এখন অনেক রিকশাচালক তাদের ছেলে- মেয়েদের উচ্চ শিক্ষিত করছেন । সমাজে শিক্ষিত মানুষের কাছে  রিকশাওয়ালার গুরুত্ব কম। প্রবীণ  বয়সের কয়েকজন রিকশাওয়ালা জানান , এ বয়সে হাতে পায়ে শক্তি পাওয়া যায় না , এর পরও রয়েছে শরীরের অসুখ। আস্তে চালালে যাত্রীর গাল মন্দ খেতে হয়। শরীরের সব শক্তি প্রয়োগ করে, তবুও জীবিকার তাগিদে  চালাতে হয় রিকশা ।

পায়ের প্যাডেল দিয়ে এক সময় রিকশা চললেও আধুকিতার ছোঁয়া লেখেছে রিকশায় । রিচার্জ বেটারি ব্যবহারের মাধ্যমে সুইচ টিপে এখন রিকশা চালান তারা ।  সরকারীভাবে পুনর্বাসনের দাবিটি উপেক্ষিত আজো।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন