মনোনেশ দাস : বড় বড় গাছ কেটে ফেলে আবাসস্থল ধ্বংস, যান্ত্রিকতার প্রসার এবং খাদ্যাভাবে মুক্তাগাছায় বিপন্ন হচ্ছে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্যের টিয়া পাখি ।
নব্বইয়ের দশকেও মুক্তাগাছা পৌর এলাকায় এবং গ্রামাঞ্চলে মানুষের বসত বাড়ির কাছে বড় গাছে বাসা বানাত সবুজ রঙের টিয়া পাখি। এদের ডাকাডাকি আর উড়ে চলা আর বসে থাকার দৃশ্য দেখে প্রফুল্ল হত ছেলে- বুড়োসহ সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মন । লোকালয়ের আশেপাশে বড় গাছের মগ ডালে বসবাসকারী এই টিয়া পাখি মানবসভ্যতার শুরু থেকেই মানুষের সান্নিধ্যেই ঘোরাফেরা করত। এখনও অনেকে এদের ধরে এনে আদর যতেœ খাচায় পোষ মানান । এরা মানুষের মত কথা বলতেও জানে ।
শস্যদানা, কচিপাতা, ফুলের পরাগ রেণু, ফলের দানা, লতাগুল্ম, বীজ ও ফলের রসালো মিষ্টি ইত্যাদি এদের খাদ্য। সাধারণত বাড়ির পাশে বিশালাকার গাছে এরা বাসা বাঁধে, ডিম পাড়ে ।
গ্রামীণ জনপদের প্রবীণরা জানান, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় বড় বড় গাছ নিধন, প্রযুক্তির উন্নতি দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে । সেই সাথে কমছে টিয়া পাখি । বহুতল বিল্ডিং নির্মাণের ফলে টিয়ার আহার- বিহারে প্রতিবন্কতা, মুঠো ফোনের বিস্তারের জন্যে যত্রতত্র মোবাইল টাওয়ার তৈরির কারে টাওয়ারের তীব্র চৌম্বক বিকিরণে অবশিষ্ট টিকে থাকা টিয়া পাখিকে বিপন্ন করে তুলছে। যা আশঙ্কাজনক ভাবে মুক্তাগাছার প্রাকৃতিক ভারসাম্যকে অনেকাংশেই নষ্ট করছে।
মুক্তাগাছার প্রাণিবিদ্যা বিভাগের কলেজ শিক্ষক ও উপজেলা প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তাগণ টিয়া পাখির সংখ্যা কমে যাওয়ার সত্যতা নিশ্চিত করেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন