পৃষ্ঠাসমূহ

শুক্রবার, ৪ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মুক্তাগাছায় পেঁচা হারিয়ে যাচ্ছে আবাসস্থলের অভাবে


মনোনেশ দাস : চোখমুখ দেখে পাখির মত মনে না হলেও পেঁচা পাখি জগতে অদ্বিতীয়। মুক্তাগাছায় একসময় সন্ধ্যা নামতেই শহরতলী ও গ্রামাঞ্চলে হরহামেশা দেখা মিলত পেঁচা। বৃক্ষ নিধন করে তাদের আবাসস্থল ধ্বংস, নগরায়ণের জেরে উধাও হচ্ছে পেঁচা। 


ইতিহাস থেকে জানা যায়, সনাতন ধর্মাবলম্বী হিন্দুরা পেঁচাকে লক্ষ্মীর বাহন হিসাবে জানলেও প্রাচীন শিল্প-সাহিত্যে পেঁচা অনুল্লিখিত। কুষাণ যুগে একটি লক্ষ্মীমূর্তিতে পেঁচাকে আবিষ্কার করা হয়। 


মুক্তাগাছায় মফস্বলের অধিবাসীরা জানান, নব্বইয়ের দশকেও পেঁচা ছিল গৃহস্থের বন্ধু। ইঁদুর এবং ক্ষতিকারক পোকা খেয়ে বাস্তুতন্ত্রের ভারসাম্য রক্ষা করত । প্রাচীন গাছ কেটে ফেলায় তারা হারাচ্ছে তাদের আবাসস্থল । সামাজিক বনায়নের মাধ্যমে গাছ লাগানো হলেও তাতে পেঁচার বাসা হচ্ছে না। পেঁচার সংখ্যা কমে যাওয়ার অন্যতম কারণ এটি। এছাড়াও পুকুর কেটে কৃত্রিমভাবে মাছ চাষাবাদে বৈদ্যতিক কিংবা সৌর আলো আলো রাতের বেলায় জীববৈচিত্রে প্রভাব পড়ছে । এসব পুকুরে কমই আসছে পেঁচাসহ পরিযায়ী পাখিরা।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন