পৃষ্ঠাসমূহ

শনিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মুক্তাগাছায় স্কুল ছাত্রকে মারধরের প্রতিবাদে মানববন্ধন


স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তাগাছায় গত ইউপি নির্বাচনে বিরুদ্ধাচরণ করায় দশম শ্রেণিতে পড়–য়া জোবায়ের ইসলাম জিহাদ নামের এক স্কুল ছাত্র ও তার পিতাকে মারধরের অভিযোগ উঠেছে ইউপি সদস্য ও আওয়ামী লীগের এক নেতার বিরুদ্ধে । 

আজ শনিবার ২৬ ফেব্রুয়ারি বেলা ১২টায় ইউপি সদস্য বিরাজ আলী মেম্বার ও তার সহযোগীদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে মুক্তাগাছা শহরের মেইন রোড ডাকবাংলোর সামনে মানববন্ধন করেছে, দাওগাঁও ইউনিয়নের কাজী নজরুল ইসলাম উচ্চ বিদ্যালয়ের জিহাদের সহপাঠী শিক্ষার্থীদের একাংশ সহপাঠী আব্দুল্লাহ , শরীফুল ইসলাম, বাতিন মিয়া, সিয়াম, মেহেদী হাসান , সাব্বির, দেলোয়ার সাদ্দাম মিয়াসহ এবং হামলার শিকার জিহাদের পিতা সেকান্দর আলী।


মানববন্ধনে ঘোরশাইলের বাসিন্দা সেকান্দর আলী অভিযোগ করে বলেন, ১৪ ফেব্রুয়ারি বেলা ১১টার দিকে সিয়াম তার সহপাঠী সাব্বিরসহ ৫ জনকে নিয়ে বাড়ি ফিরছিল । পথিমধ্যে প্রাণনাথবাড়ি নবর দোকান এলাকায় দুইনং ওয়ার্ডের মেম্বার বিরাজ আলীর নেতৃত্বে স্থানীয় হেকিম, মিন্টুসহ কয়েকজন সংঘবদ্ধ হয়ে জিহাদকে ধরে নিয়ে একটি ঘরে আটকে রাখে । এক পর্যায়ে হাত পা বেঁধে মারধর করে । ওদের একজনের মোবাইল নিয়ে জিহাদকে দিয়ে আমার মোবাইলে ফোন করে । দুই লাখ টাকা দাবি করে । নির্বাচনে তোর জন্য এই টাকা অতিরিক্ত খরচ হয়েছে বলে শাঁশায় । তারা ডেকে নিয়ে গিয়ে আমাকেও মারধর করে । এলাকাবাসী আমাদের উদ্ধার করে । সিয়ামকে পাশর্^বর্তী ফুলবাড়িয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয় । ২৬ ফেব্রুয়ারি হাসপাতাল থেকে সিয়ামের চিকিৎসা শেষে বাড়ি নিয়ে যাই । ঘটনার দিন  থানায় লিখিত অভিযোগ করি ।  মুক্তাগাছা থানার এসআই আমিনুল ইসলাম ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন । 

স্থানীয় ইউপি সদস্য ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক বিরাজ আলী  বলেন, স্কুলের দশম শ্রেণিতে পড়–য়া এক ছাত্রির বাড়ির টিনের চালে ঢিল ছুঁড়ে জিহাদসহ ৪/৫ জন । এঘটনা নিয়ে সেকান্দর আলীর সাথে আমার কথা কাটাকাটি হয়েছে । নির্বাচন নিয়ে কিছু হয়নি । থানার এসআই তদন্ত করছেন ।


1 টি মন্তব্য: