পৃষ্ঠাসমূহ
▼
বুধবার, ৯ ফেব্রুয়ারী, ২০২২
মুক্তাগাছার জালালী কবুতর
মনোনেশ দাস : খাদ্যাভাব ও বাসস্থানের অভাবে ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় জালালি কবুতর বিলুপ্তির পথে । গত ২ বছর আগেও অন্ধকার নামর আগে মুক্তাগাছা শহরের বিভিন্ন স্থানে ঝাঁকে ঝাঁকে জালালি কবুতর মসজিদের চূঁড়ায় , বাড়ির টিনের চালে , পাটের গোদামে উুঁড়ে এসে আশ্রয় নিতো । ক্রমশ পুরনো টিনের বাড়িঘর , পাটের গুদাম ভেঙ্গে বিল্ডিং তৈরি করায় জালালি কবুতরের বাসস্থান সংকট দেখা দিয়েছে । পৌর এলাকার বড় মসজিদ রোড, দরিচার আনি বাজার , ঢাকাইয়া পট্রি , দুধ মহল , লাইব্রেরী রোড, আটানী বাজারসহ বিভিন্ন স্থানে ছিলো বড় বড় পাটের গুদাম । এসমস্ত পাটের গুদামে এবং বড় মসজিদের চূঁড়ার পাশে বাসা বেধেঁ বসবাস করত হাজার হাজার জালালি কবুতর । সম্প্রতি আধুনিকতার ছোঁয়ায় পাটের গুদামগুলি ভেঙ্গে তৈরি করা হচ্ছে সুউচ্চ ভবন । পুরনো বড় মসজিদটিও ভেঙ্গে নতুন বিল্ডিং করা হয়েছে। নতুন মসজিদের চূড়ায় আবার অবস্থান করছে তারা । তবে, উপজেলার অন্যান্য স্থানে জালালী কবুতরের বাসস্থান সংকট প্রকট আকার ধারণ করেছে । দরিচার আনি বাজার , আটানি বাজারসহ বিভিন্ন হাট বাজার উন্মুক্ত থাকায় বাজারে উচ্ছিষ্ট খাবার দানা চারপাশে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকতো । এই খাবারই ছিলো জালালি কবুতরের আহার । এখন বাজারগুলিতে দোকান পাট নির্মাণের ফলে বাজার ঢাকা পড়ে যাওয়ায় মারাতœক খাদ্যাভাবে পড়েছে জাললি কবুতর । উল্লেখিত সমস্যার দরুণ মুক্তাগাছায় জালালি কবুতর এখন বিলুপ্তির পথে । জানা যায়, জালালি কবুতরের বৈজ্ঞানিক নাম কোলমবা লিভিয়া । কলাম্বিডি গোত্রের অন্তর্গত এই পাখিটিকে অঞ্চলভেদে জালালী কৈতর বা গোলা পায়রা হিসাবেও সম্বোধন করা হয় । এর আদি আবাস ইউরোপ , এশিয়া , আফ্রিকা , অষ্ট্রেলিয়া ও দক্ষিণ আমেরিকায় । সারা পৃথিবীর ১লাখ ৭৪ লক্ষ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে এর আবাসস্থল । বিশ্বে এদের সংখ্যা ২৬ কোটি হলেও বাংলাদেশে এদের সংখ্যা কত তা কারো জানা নেই । সূত্র জানায় , ১৩০৩ সালে ভারতের দিল্লি থেকে এক জোড়া জালালি কবুতর সিলেটের হযরত শাহজালাল (রহ) এর মাজারে আনা হয় । এরপর সারা বাংলাদেশে এর বংশ বিস্তার লাভ করে । প্রাণী সম্পাদ কর্মকর্তা জানান, বাসস্থান সৃষ্টির মাধ্যমে সংরক্ষণ করা হলে জালালি কবুতর বিলুপ্তির কবল থেকে রক্ষা করা সম্ভব ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন