photo

রবিবার, ১৩ মার্চ, ২০২২

মুক্তাগাছায় কান্ডে ফোঁটা ফুল ফল জাবুটিকাবা

মনোনেশ দাস , ১৩ মার্চ, ২০২২

ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ভিনদেশী জাবুটিকাবা গাছের কান্ডে ফুটেছে থোকায় থোকায় ফুল ও ফল ।  ইতিমধ্যে এসব গাছ থেকে ৪০ কেজি ফল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রিও হয়েছে । দেশি ফল জাম এর মত গড়ন রঙ । মিষ্টিস্বাদের ফলের ভেতর ছোট দানার বীজ । একাংশে খোসা ছাড়িয়ে বা ছিদ্র করে জুসের মত খাওয়া যায় । ফুলের রং সাদা , ফুলে সবুজ রংয়ের কচি দানায় রুপান্তরিত হয় । ফল আসার আগে পল্লব ঝড়ে পড়ে । যত্ন আত্নি বা পরিচর্যা ছাড়াই চজাষ করা গাছের সবুজ রঙ থেকে ধীরে ধীরে কালো বর্ণ ধারণ করে, পরিপুষ্ট হয়ে খাওয়ার উপযোগী হতে সময় লাগে এক মাসের মত । 

 


মুক্তাগাছা বিএডিসি উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রে ২০০৬ সালে ৪টি জাবুটিকাবার চারা গাছ রোপন করা হয় । গাছে ফলন আসে ৭ বছর আগে । চলতি সপ্তাহে ২টি গাছ থেকে ফল সংগ্রহ করা হয়েছে। প্রতিটি গাছে ফল ধরে প্রায় পঞ্চাশ কেজি । মার্চ মাসে ফল পরিপক্ক হয়ে বিক্রির উপযোগী হয় । উদ্যানের গাছ থেকে ৪০ কেজি জাবুটিকাবা ফল সংগ্রহ করে বাজারে বিক্রি করা হয়েছে ২শ’ টাকা কেজি দরে । বাংলাদেশের ফলজ গাছে মার্চ মাসে ফলের লিন প্রিয়ড বা উৎপাদন কম হয় । অর্থাৎ ফলের দেখা কম মেলে । ফলের চাহিদা মেটাচ্ছে বিদেশী ফল জাবুটিকাবা ।

মুক্তাগাছা বিএনডিসি উদ্যানর উদ্যান উন্নয়ন কেন্দ্রের উপ পরিচালক কৃষিবিদ আসিফ ইকবাল ছাকী জানান, ব্রাজিল থেকে বীজ সংগ্রহ করা হয় ২০০৬ সালে । সারাদেশে বিএনডিসির ৯টি হটিক্যালচার এবং ৫৩টি ফার্মে এএসসি (এগ্রো সার্ভিস সেন্টার) জাবুটিকাবার চাষ শুরু হয় । বিএনডিসি উদ্যানে বীজ সংগ্রহ করে জাবুটিকাবা চারা সংগ্রহ করা হয় । তন্মধ্যে  চলতি মৌসুমে ৫ শতাধিক চারা বিক্রি হয়েছে । প্রতিটি চারার দাম ২শ’ টাকা । ময়মনসিংহ সদর, মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া, ত্রিশাল, নান্দাইল, নেত্রকোনার কেন্দুয়ঢা, মোহনগঞ্জ থেকে সৌখিন চাষিরা এসে চারা কিনে নিয়ে গেছেন ।
আসিফ ইকবাল ছাকী বলেন, জাবুটিকাবা চাষে কীটনাশকের প্রয়োজন পড়েনা । ফলের খোঁসা শুঁকিয়ে প্রক্রিয়াজাত করে করে পাউডার করা যায় । পাউডার পরিমিত মাত্রায় খেলে মানুষের চর্মরোগ, হাফানি ও টনসিল রোগের উপশম পাওয়া যায় ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন