photo

রবিবার, ৬ মার্চ, ২০২২

মুক্তাগাছায় দেখা নেই হাওয়াই মিঠাই

 

মনোনেশ দাস :  সময় মুক্তাগাছার সর্বত্রই বিক্রি হতো হাওয়াই মিঠাই। শিশুরা রেজগী বা খুচরো কানা পয়সা, পাঁচ পয়সা, এক আনা দুই আনা এরপর চার আনা আট আনা এমনকি টাকাতেও কিনে খেত। হওয়াই মিঠাই ছিল বাচ্চাদের সখের মজার বেসাতি খাবার । দিনভর খেলেও পেট ভরবে না মুখে দেয়ার সঙ্গে সঙ্গে মিলিয়ে যায় । প্রতিদিন খাওয়া হত-  খুরমা, সাজ , বাতাসা, কটকডি গজা, তক্তি, কদমা, লাড়ু বা লাড্ডুর মত মিঠাই যা ছিল এখানকার আবহমান কালের চিরায়ত  শ্রেষ্ঠ শিশু খাদ্য মিঠাই । বাড়িতে কিংবা স্কুলে ফেরিকরেও এসব বিক্রি হত । 

মুক্তাগাছা মহিলা সমিতির প্রবীণ সদস্য মীরা দাস বলেন,  হাওয়াই মিঠাইয়ের মত আরো কিছু মিঠাই খাবার ছিল। আমরা শিশুদের জন্য বাড়িতে বানাতাম। বাজারেও পাওয়া যেত । এখন খুব একটা চোখে পড়ে না । 


জানা যায়, ১৪শ’র দশকে ইউরোপের ইটালিতে আখের রস সংগ্রহ করে জ্বাল দিয়ে ঘন করা হত । সেই রস হাতে মিশিয়ে তুলোর মত মিহি করে পারিবারিক পরিবেশে তৈরি করা হত । এরপর মেশিনে এটি তৈরি হয় ১৮৭৯ সালে আমেরিকায় ।

শিশুদের মত বুড়োরাও মিঠাই পান বানিয়ে খেতেন । চমন বাহার, গোয়ামুড়ির মত মিঠাই মশলা আর স্বাদ বাড়াতে খয়ের মেশানো হতো। কত হাজার বছর পুরনো বাঙালির শিশু ছেলে বুড়োদের এই খাবার তার ইতিহাসও হয়তো আমরা জানিনা । এসব খাবারে শারিরীক পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া ছিলনা । 

ডাক্তাররা জানান, এসবের বদলে এসেছে চকলেট , বিস্কুট , চিপস, জুস, ক্যান্ডিসহ ক্যামিকেল মিশ্রিত সখের বাহারী খাবার । গ্যাস বদহজম লেগেই আছে সকলের শরীরে ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন