পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ১৮ এপ্রিল, ২০২২

মুক্তাগাছায় মাটির নিচে নেমে যাচ্ছে পানির লেয়ার

মনোনেশ দাস : মৌসুমে বৃষ্টিপাত না হওয়ায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় মাটির নিচে নেমে  পানির লেয়ার নেমে গেছে এক থেকে দেড়ফুট পর্যন্ত । এতে দুর্ভোগের শিকার অনেক মানুষ । ষাট ফুট বোরিং(খনন) পানির কলের বহুতল ভবনে বসবাসকারী মানুষরা পড়েছেন মারাতœক ভোগান্তিতে । চাপ কলের একই অবস্থা। এতে প্রাত্যহিক কাজ আহার- বিহার, থালা- বাটি, কাপড়-চোপড় ধোয়া, গোসলসহ নানান বিড়ম্বনার শিকার হচ্ছেন ভূক্তভোগীরা।
সরেজমিনে উপজেলার বিভিন্নস্থানে ঘুরে স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা গেছে, ষাট ফুটের হাউজিং বোরিংয়ের কলে পানি উঠছে না । পানির আশায় ইলেকট্রিক মটর যন্ত্রের সুইচ দীর্ঘ সময় নিয়ে চালানো হলেও উঠছে না এক ফোঁটা পানি। দীর্ঘ সময় চাপলেও উঠছে না পানি ।
পানির অপর নাম জীবন । অনেকে জীবন বাঁচাতে প্রতিবেশী বা অন্য স্থান থেকে পানি সংগ্রহ করছেন । আবার কেউ আগের বোরিং পরিত্যাগ করে বাসার অন্যস্থানে বোরিং ( ক্ষোদাই) করছেন । নতুন রিসিংকিং( পুন:খনন) করতে গিয়ে অনেকে নানান বিড়ম্বনা, দুর্ভোগের পাশাপাশি আর্থিক ক্ষতির সন্মুখিন হচ্ছেন । একযোগে পানি সংকটের কারণে পাইপ বোরিং ও মটর যন্ত্র স্থাপনকারি শ্রমিকদের চাহিদা বেড়ে গেছে কয়েকগুণ ।
জানা যায়, নাগালের মধ্যে সহজলভ্য হিসাবে পানি মানুষকে হাজার বছর ধরে সরবরাহ দিয়ে যাচ্ছে । যথাযময়ে বৃষ্টি না হওয়া,  গ্রীনহাউস আ্যাফেক্ট, ওজনস্তরে ব্যাঘাত, প্লাস্টিকের আগ্রাসণ প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে পানির স্বাভাবিক গতি প্রকৃতি ।
দুনিয়ায় ত্রিশ দশমিক একভাগ মাটির নিচে পাওয়া যায়, খাওয়ার পানি অর্থাৎ মিষ্টি পানি মিলে তিন ভাগ, আটষট্রি দশমিক সাত ভাগ বরফ আর মাত্র এক দশমিক দুই ভাগ পানি নদ-নদী, খাল- বিল , পুকুর- ডোবায় ।  
কৃষি কার্য, মাছ চাষ সেচ, শিল্প- কলকারখানা, বাসা- বাড়ির কাজে ব্যবহার হয় মাটির নিচের পানি । এর চাহিদা দিন দিন বাড়ছেই । পক্ষান্তরে বৃষ্টিপাত হচ্ছে অস্বাভাবিক । আবার পানি চুইয়ে মাটির নিচে যেতে যেতে প্লাস্টিক বর্জ্যরে প্রতিবন্ধকতায় দীর্ঘ সময় নিচ্ছে । যা মারাতœক বিপর্জয় । সঠিক সময়ে বৃষ্টি না হওয়ায় মাটির উপরের নদ-নদী, খাল- বিল, পুকুর- ডোবা শুকিয়ে যাচ্ছে । মাটি ক্ষরায় শুকিয়ে যাচ্ছে, ধসে যাচ্ছে, নষ্ট হচ্ছে গাছপালা, জলজ উদ্ভিদ, প্রাণ ও জীববৈচিত্রে আঘাত পড়ছে ।
এব্যাপারে মুক্তাগাছা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলের সহকারী প্রকৌশলী মোঃ নায়েব আলী খান জানান, এপ্রিল মাসে বৃষ্টি থাকে । বৃষ্টি না হওয়ায় পানির স্তর এক থেকে দেড় ফুট নিচে নেমে গেছে । সারাদেশেই একই অবস্থা । মুক্তাগাছা পৌরসভা এলাকায় পানি সরবরাহে ছয়শ’ থেকে সাতশ’ ফুট গভীর ৫টি গভীর নলকূপ রয়েছে। মুক্তাগাছায় সাধারণ ষাট , বাষট্রি ফুটের বোরিং । বৃষ্টি এলে এসংকট কেটে যাবে বলেন ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন