photo

সোমবার, ১১ জুলাই, ২০২২

গুবরে পোকা দেখা মিলে কালে- ভদ্রে

 

মনোনেশ দাস, ১১ জুলাই


গোবরে দেখা মেলে গুবরে পোকা । কীট-পতঙ্গ প্রজাপতি গোষ্ঠীর প্রজাতি গোবরে পোকা গরু- মহিষের গোবরের ভেতর লার্ভা  । একসময় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় সর্বত্রই দেখা মিললেও এখন দেখা মেলে কালে-ভদ্রে কালো বর্ণের ছোট আকারের গুবরে পোকা । এদের লার্ভার রং সাদা ।  
 


উপজেলার ১০টি ইউনিয়ন ও শহরতলীতে নব্বইয়ের দশকে হালচাষ ও গাড়ির ব্যবহারে গরু- মহিষ  লালন- পালনকারী গৃহস্থের বাড়ির গোবরের ঢিপিতে দেখা যেত গোবরে পোকা ।
বাড়ির পাশে গোবর সংরক্ষণ করা হত কান্দি বা ঢিপিতে। গোবরের কান্দিতে গোবরের ভেতরের স্তরে বসবাস গুবরে পোকার । এদের লার্ভা ক্রশম ছোট হতে হতে এথেকে জন্মায় গোবরে পোকা। গোবরে পোকার লার্ভা সংগ্রহ করে টোপ হিসাবে মাছ শিকারে প্রয়োগ করেন শিকারীরা।
ক্রমশ যান্ত্রিক চাষাবাদ ও যান্ত্রিক যান বাহন বাড়ায় কমতে থাকে গৃহপালিত গরু- মহিষের সংখ্যা। কৃষকদেরকেও আগের মত দেখা যায় না গরু- মহিষ লালন- পালন ও গোবর সংরক্ষণ করতে ।

জানা যায়, গুবরে পোকার প্রিয় উদ্ভিদ কচু গোষ্ঠীর খারমান ফুল । খারমান ফুলে থাকে দুর্গন্ধ। মাংস পচলে যে দুর্গন্ধ নাকে আসে। গুবরে পোকাকে কাছে টানে দুর্গন্ধ । গ্রামাঞ্চলে গোবরে পোকার মত হারিয়ে যেতে বসেছে কচু গোষ্ঠীর খারমান ফুলও । এতে উদ্ভিদ ও গুবরে পোকা গোষ্ঠীর কীট-পতঙ্গের পরাগায়নে বিঘ্ন হয় ।
দুল্লা ইউনিয়নের কয়েকজন বলেন, আগে গ্রামের বেশিরভাগ গৃহস্থের বাড়িতে গরু- মহিষ লালন- পালন করতে দেখা যেত । এখন দেখি না । বড়গ্রাম ইউনিয়নের কয়েকজন বলেন, বাড়িতে বড় গোবরের কান্দি ছিল । অসংখ্য গুবরে পোকা বসবাস করত । মাছ শিকারিরা এসে লার্ভা নিয়ে যেত । গরু লালন কমে যাওয়ায় এখন আর গোবর সংরক্ষণ করা হয় না । গুবরে পোকাও দেখা মেলে কালে- ভদ্রে

ছবি ক্যাপশণ, মুক্তাগাছা(ময়মনসিংহ):  গুবরে পোকা , লার্ভা ও খারমান ফুল ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন