শহর কিংবা গ্রাম হরহামেশাই দেখা মেলে অবহেলিত কুকর আর বিড়ালাদের । ময়মনসিংহ শহরের কলেজরোডের একটি বাড়িতে এর চিত্র ভিন্ন । বাড়িটি বিড়াল বাড়ি নামেও পরিচিত । এই বাড়িতে প্রায় ২০টি পোষ্য বিড়ালের দু’বেলা দু’মুঠো খাবার মিলছে শুধু তাই নয় ! তাদের রয়েছে পোষাক পরিচ্ছেদও।
এই বিড়ালদের দেখভাল করেন, মৌসুমী আক্তার । অসহায় বিড়ালদের দেখে তিনি কষ্ট পান। আর্থিক দৈন্যতা থাকার পরও অবলা প্রাণীদের জন্য তিনি একজন অনুকরণীয় মানুষ । সারাক্ষণ ভাবেন, ওদের জন্য স্থায়ী আবাসন করার । চিন্তা করেন, বিড়ালগুলির জন্য তিনি স্থায়ীভাবে সুপারভাইজার, রান্নার লোক, পশু চিকিৎসক কি করে নিয়োগ করা যায় ।
মৌসুমীর মাও একজন পশুপ্রেমী ।
তিনিও কিছু কুকুর বিড়াল পোষতেন । সেই থেকে অবলা জীবগুলিকে দেখভাল করছেন মৌসুমী । আর্থিক টানাপোড়নের সংসারে মৌসুমী তার পোষ্যদের জন্য ভেবে চলেছেন, মাথা গোঁজার ঠাঁই পেলে ওরা বেঁচে যায়।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিড়াল প্রেমীদের জন্য বিড়ালবাড়িটি স্বর্গও বটে ! যথাযথ খাদ্য, চিকিৎসা, বাসস্থান ও নিরাপত্তাসহ সার্বিক সহযোগীতা পেয়ে বংশবৃদ্ধি করে রীতিমতো ফুলে ফেঁপে উঠছে কয়েকটি বিড়ালের পরিবার। নিজেদের রাজত্ব ভেবে খেয়ে পড়ে দিব্যি সুখেই আছে তারা। বাড়িটিতে বিড়ালরা নির্ভয়ে বিচরণ করে।
স্থানীয়রা জানান, স্নাতক পাশ মৌসুমী আক্তার দীর্ঘদিন বিদেশে ছিলেন। ভাগ্যের নির্মম পরিহাসে শেষ পর্যন্ত যা হয় ! চাকুরী-পেশা হারিয়ে তিনি আজ অসহায় ও মানবেতর জীবন যাপন করছেন। কিন্তু নিজে মানবেতর জীবনযাপন করলেও তার পালিত প্রায় শতেক বিড়াল ও কুকুরকে পরিচর্যা করতে গিয়ে নিজে আজ ক্লান্ত ও সর্বশান্ত !
মৌসুমী আক্তার জানান, আপনাদের মিডিয়াগুলো কি কোন সচিত্র প্রতিবেদন প্রকাশ করতে পারেন? যাতে দেশ-বিদেশের প্রাণী প্রেমী ও রক্ষাকারী সংগঠনের চোখে পড়ে ! জেলা প্রাণী সম্পদ মন্ত্রণালয় আপনারা কি পারবেন তাঁর এই প্রাণীগুলোকে পুনর্বাসন ও সঠিক পরিচর্যা করার জন্য সহায়তা দিতে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন