photo

শনিবার, ৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৩

মুক্তাগাছার মানকোন ইউনিয়নের মুজাটি মধ্যপাড়া গ্রামের


মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) প্রতিনিধি আমি টাকা চাই না, চাই না মুক্তিযোদ্ধার সম্মানী ভাতা কিংবা কোনো সুযোগ-সুবিধা। আমি শুধু চাই একজন মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে আমার স্বীকৃতি। আমার মৃত্যুর পর যেন আমার লাশটি রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় দাফন হয়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা সংগ্রামে তিনি ছিলেন একজন সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিবাহিনীর প্রাথমিক প্রশিক্ষক। দীর্ঘ ৯ মাসই তিনি পাকহানাদার বাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধ, গেরিলা যুদ্ধসহ প্রশিক্ষণ শিবিরে অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে দায়িত্ব পালন করেছেন। অথচ স্বাধীনতার প্রায় ৩৯ বছর পেরিয়ে গেলেও আজো পাননি তার স্বীকৃতি। পাননি মুক্তিযোদ্ধার সনদ। জানা যায়, মুক্তাগাছার মানকোন ইউনিয়নের মুজাটি মধ্যপাড়া গ্রামের মরহুম শাহা আলীর ৩য় ছেলে হিসেবে নেয়ামত আলী জন্মগ্রহণ করেন। বর্তমানে বয়স প্রায় ৭৫ এর কাছাকাছি। তিনি জানান, ১৯৬৫ সালে কাশ্মীর যুদ্ধে মুজাহিদ হিসেবে অংশগ্রহণ করায় যুদ্ধের কলাকৌশল, ট্রেনিং তার রপ্ত ছিল। সেই সুবাদে মুক্তিযুদ্ধ শুরুর প্রথম দিকে মুক্তাগাছার মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠন খন্দকার আ. মালেক শহিদুল্লাহর ডাকে মুক্তাগাছা মহাবিদ্যালয়ে মুক্তিযোদ্ধাদের অস্থায়ী ট্রেনিং সেন্টারে প্রশিক্ষকের দায়িত্ব নেন। মাত্র ২ দিন প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করার পর মুক্তাগাছার পার্শ্ববর্তী উপজেলার মেজর ছালামের নির্দেশে মুক্তাগাছার ১০/১২ জন তরুণ চলে যান মধুপুর গড়াঞ্চলে। ওই শিবিরের দায়িত্ব পান তছি সিপাই, বছির ও আওয়াল নামের মুক্তিযোদ্ধারা। সেদিন পাকহানাদার বাহিনীর জঙ্গি বিমান থেকে ৮/১০টি শেল নিক্ষেপ করা হলে নেয়ামতসহ অন্যরা পিছু হটে অল্পের জন্য প্রাণে বেঁচে যান। মধুপুর কিছুদিন অবস্থান করে সঙ্গীদের সঙ্গে চলে যান ভারতীয় সীমান্ত ঢালুতে। সেখানে লটকা ব্রিজের ওপরে এসএস ক্যাম্পের কয়েকজনের সঙ্গে তিনিও প্রশিক্ষকের দায়িত্ব পালন করেন। তখন ভারতের ১১নং সেক্টর কমান্ডার ডা. মাহমুদ আলীর নেতৃত্বাধীন কোম্পানি কমান্ডার আবুল হাশিম এর নির্দেশে বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তের তন্দর, ডুমনি ক্যাম্প, গাইচ্ছাপাড়া এলাকাসমূহে সম্মুখ, গেরিলাসহ একাধিক স্থানে যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। একবার ভারতের ক্যাপ্টিন বাজি সিংহের নেতৃত্বে বান্দরকাটা এলাকায় পাকবাহিনীর ক্যাম্পে আক্রমণ করে ক্যাম্প দখলের সময় সম্মুখ যুদ্ধে লিপ্ত হন।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন