মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এবার চাষ করা হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় কুইচা মাছের। চাষাবাদে অপ্রচলিত হলেও চাষী পেয়েছেন দারুন ফলন। ২৪ কেজি ওজনের কুইচা মাছ পুকুর ও ডোবায় প্রতিপালন করে মাত্র ৫ মাসে ওজন বেড়ে ৭ মনে পরিনত হয়েছে। কুইচাকে খাওয়ানো হয়েছে কচুরীপানা,ঘাষ ও উচ্ছিষ্ট সবজী। সম্ভবত জেএনডিপি”র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী খসরুই প্রথম এই কুইচা মাছ চাষ করলেন। মুক্তাগাছাস্থ এই কুইচা মাছ চাষী জানান,খাল বিল নদী নালা থেকে তিনি ছোট ছোট কুইচা মাছ সংগ্রহ করে নিজের ৩ টি পুকুর ও ডোবায় চাষ করছেন । দেশে ও বিদেশে বিরাট চাহিদা দেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সহযোগীতায় তিনি কুইচা মাছ চাষ করছেন। বাজারে প্রতি কেজি কুইচা মাছ ৪থেকে ৫শ” টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। জানা যায়,কুইচা মাছ এসওয়াইএনবিআরএএনসিএইচআইডিএই গোত্রের একটি ঈলজতীয় মাছ যার বৈজ্ঞানিক নাম এমওএনওপিটিইআরইউএসসিইউসিএইচআইএ । স্থানীয়ভাবে এটি কুচ্চা মাছ নামেও পরিচিত। এদের দেহ লম্বাটে এবং গোলাকৃতির । এর ঠোঁট মাংসল এবং ওপরের চোয়াল নিচের চোয়াল অপেক্ষা অধিক লম্বাটে।খুবই ছোট বিলুপ্তপ্রায় এই মাছ। এদের পিঠে পাখনা রয়েছে।দেহের পেছনের অংশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দাগ লক্ষ্য করা যায়। এই প্রাণীর পায়ু ও পুচ্ছ অনুপস্থিত। দেহের রঙ গাঢ় খয়েরি বা বাদামি। কোন পার্শ্বরেখা নেই। মাথা সম্পূর্ণ দৈর্ঘের ১১%,উচ্চতা সম্পূর্ণ দৈর্ঘের ৬.১% এবং চোখ মাথার দৈর্ঘের৩.৩%। স্থানয়ি একটি বিল থেকে ধৃত একটি কুইচা মাছের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা হয় ৮৩ সেন্টিমিটার(সেমি)। বেশকিছু বইপত্রে মাছটির সর্বোচ্চ দৈঘ্য ৬৬ সেমি(বাংলাদেশ ফিসারিজ ক্যাম্পাসে রেকর্ডকৃত)। বাংলাদেশের প্রায় সব স্বাদুপানির জলাশয়েই যেমন,বিল,হাওর-বাঁওর,ডোবা নালায় এই মাছ দেখা যায়। পানির অগভীর ও তীরবর্তী অংশ ও পাড়ে মাটির গর্তে এই মাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।অনেক সময় এরা মাটির ওপরে এসে রোদে অবস্থানও করে। অনেক সময় পুকুর খননে মাটির অনেক গভীরেও এদের দেখা মেলে । বিভিন্ন গবেষণা কাজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জলাশয়ে এই মাছের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে যার মধ্যে চলন বিল,শাকরা বিল,ধনরা বিল,বাইয়া বিল অন্যতম। প্লাবিত বোরো ধানক্ষেতেও এদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। অল্পবয়স্ক কুইচা ভাসমান কচুরিপানার মধ্যে বেশ দেখা যায়। বাংলাদেশে অনেকেই এই মাছটিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে না এবং মাছ হিসেবে দেখে না । আবার অনেকেই এটি পরম আনন্দে ভক্ষণ করে থাকে। অন্যদিকে মাছটি কবিরাজি কাছে ব্যবহৃত হওয়ায় বাজারে এর অনেক কদর।বিদেশের বজারে এর বিরাট চাহিদা রয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে কুইচা মাছ বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশে বিপুল পরিমান আয় বাড়ানো সম্ভব। - See more at: http://www.mymensinghbarta.com/?p=6886#sthash.Qjd9vG1y.dpuf
photo
সোমবার, ২৫ নভেম্বর, ২০১৩
চাষ করা হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় কুইচা মাছের মুক্তাগাছায়
মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় এবার চাষ করা হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় কুইচা মাছের। চাষাবাদে অপ্রচলিত হলেও চাষী পেয়েছেন দারুন ফলন। ২৪ কেজি ওজনের কুইচা মাছ পুকুর ও ডোবায় প্রতিপালন করে মাত্র ৫ মাসে ওজন বেড়ে ৭ মনে পরিনত হয়েছে। কুইচাকে খাওয়ানো হয়েছে কচুরীপানা,ঘাষ ও উচ্ছিষ্ট সবজী। সম্ভবত জেএনডিপি”র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী খসরুই প্রথম এই কুইচা মাছ চাষ করলেন। মুক্তাগাছাস্থ এই কুইচা মাছ চাষী জানান,খাল বিল নদী নালা থেকে তিনি ছোট ছোট কুইচা মাছ সংগ্রহ করে নিজের ৩ টি পুকুর ও ডোবায় চাষ করছেন । দেশে ও বিদেশে বিরাট চাহিদা দেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সহযোগীতায় তিনি কুইচা মাছ চাষ করছেন। বাজারে প্রতি কেজি কুইচা মাছ ৪থেকে ৫শ” টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। জানা যায়,কুইচা মাছ এসওয়াইএনবিআরএএনসিএইচআইডিএই গোত্রের একটি ঈলজতীয় মাছ যার বৈজ্ঞানিক নাম এমওএনওপিটিইআরইউএসসিইউসিএইচআইএ । স্থানীয়ভাবে এটি কুচ্চা মাছ নামেও পরিচিত। এদের দেহ লম্বাটে এবং গোলাকৃতির । এর ঠোঁট মাংসল এবং ওপরের চোয়াল নিচের চোয়াল অপেক্ষা অধিক লম্বাটে।খুবই ছোট বিলুপ্তপ্রায় এই মাছ। এদের পিঠে পাখনা রয়েছে।দেহের পেছনের অংশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দাগ লক্ষ্য করা যায়। এই প্রাণীর পায়ু ও পুচ্ছ অনুপস্থিত। দেহের রঙ গাঢ় খয়েরি বা বাদামি। কোন পার্শ্বরেখা নেই। মাথা সম্পূর্ণ দৈর্ঘের ১১%,উচ্চতা সম্পূর্ণ দৈর্ঘের ৬.১% এবং চোখ মাথার দৈর্ঘের৩.৩%। স্থানয়ি একটি বিল থেকে ধৃত একটি কুইচা মাছের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা হয় ৮৩ সেন্টিমিটার(সেমি)। বেশকিছু বইপত্রে মাছটির সর্বোচ্চ দৈঘ্য ৬৬ সেমি(বাংলাদেশ ফিসারিজ ক্যাম্পাসে রেকর্ডকৃত)। বাংলাদেশের প্রায় সব স্বাদুপানির জলাশয়েই যেমন,বিল,হাওর-বাঁওর,ডোবা নালায় এই মাছ দেখা যায়। পানির অগভীর ও তীরবর্তী অংশ ও পাড়ে মাটির গর্তে এই মাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়।অনেক সময় এরা মাটির ওপরে এসে রোদে অবস্থানও করে। অনেক সময় পুকুর খননে মাটির অনেক গভীরেও এদের দেখা মেলে । বিভিন্ন গবেষণা কাজের মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জলাশয়ে এই মাছের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে যার মধ্যে চলন বিল,শাকরা বিল,ধনরা বিল,বাইয়া বিল অন্যতম। প্লাবিত বোরো ধানক্ষেতেও এদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। অল্পবয়স্ক কুইচা ভাসমান কচুরিপানার মধ্যে বেশ দেখা যায়। বাংলাদেশে অনেকেই এই মাছটিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহন করে না এবং মাছ হিসেবে দেখে না । আবার অনেকেই এটি পরম আনন্দে ভক্ষণ করে থাকে। অন্যদিকে মাছটি কবিরাজি কাছে ব্যবহৃত হওয়ায় বাজারে এর অনেক কদর।বিদেশের বজারে এর বিরাট চাহিদা রয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে কুইচা মাছ বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশে বিপুল পরিমান আয় বাড়ানো সম্ভব। - See more at: http://www.mymensinghbarta.com/?p=6886#sthash.Qjd9vG1y.dpuf
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন