
স্টাফ রিপোর্টার : রাজশাহীতে শিশুসহ ৪ জনের মৃত্যুর পরও মুক্তাগাছায় স্বাস্থ্য বিভাগের নির্দেশনাকে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে মুক্তাগাছায় অবাধে বিক্রি হচ্ছে খেজুরের কাঁচা রস । এতে প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা রয়েছে বলে জানা গেছে । প্রাণঘাতী নিপাহ ভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে সাধারণ মানুষের কাছে খেজুরের কাঁচা রস বিক্রি নিষিদ্ধ করা হলেও উপেক্ষিত হচ্ছে মুক্তাগাছায় । জানা যায়, গত বছরের আগস্ট সেপ্টেম্বর মাসে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর সিভিল সার্জনদের মাধ্যমে সারা দেশে গ্রাম ভিত্তিক তালিকা প্রণয়নের কৌশল এবং খেজুর গাছের মালিক , সংগ্রহকারী ও বিক্রেতাদের সচেতনতা বাড়াতে প্রশিক্ষণ দেয় । নির্দেশনা অমান্যকারীর বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার কথাও বলা হয় । বিশেষজ্ঞরা জানান, জীবাণুবাহী বাদুড় খেজুরের রসের হাঁড়িতে মুখ দিলে লালার সঙ্গে জীবাণু মিশে যায় । সেই কাঁচা খেজুর রস পান করার ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে এ রোগের উপসর্গ দেখা দেয় । নিপাহ হলে রক্ষা পাওয়ার সম্ভাবনা থাকে ক্ষীণ । মৃত্যুহার অনুযায়ী এটা অন্যান্য সংক্রামক ব্যাধির তুলনায় বেশি ভয়াবহ । মৃত্যূহার ৭৮ শতাংশ । এদিকে মুক্তাগাছা শহর ও গ্রামাঞ্চলে প্রতিদিনই বিক্রি হচ্ছে কাঁচা রস । রস বিক্রেতা শাহেব আালী জানায় , প্রতি গ্লাস রস ৫ টাকায় বিক্রি করা হয় । প্রতিদিন ১শ’ থেকে দেড়শ’ গ্লাস রস বিক্রি করা হয় । তারমত মুক্তাগাছাও তৎসংলগ্ন এলাকায় কাঁচা রস বিক্রেতার সংখ্যা শতাধিক । এব্যপারে মুক্তাগাছা উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা জানান, বিষয়গুলি সম্বন্ধে তিনি অবগত নন ।

ছবি ক্যাপশণ : মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ ) : বড় মসজিদের গেইটে বিক্রি হচ্ছে কাঁচা খেজুর রস
মুক্তাগাছায় খেজুরের কাঁচা রস অবাধে বিক্রি : রাজশাহীতে শিশুসহ মৃত৪
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন