photo

রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৪

মাফ কইরা দিলে কি আমগর খাওন জুটবো ?


স্টাফ রিপোর্টার : আমরা বাপু রাজনীতি বুঝি না । বুঝি পেটনীতি । সারাদিন ভিক্ষা কইরা বউ পোলাপান নাতি নাতনী লইয়া মোটা ভাত কাপড় হইলেই অইলো । ভিক্ষা না পাইলে না খাইয়া মরতে হইবো । শালার রাজনীতির দলগুলার নেতা পেতারা নিজেগর খাউন ঠিকই খাইতাছে । বিরাট বিরাট বাড়ি ঘর বানাইতাছে । বাপের ঘরে খাইয়া পুলাপান বনের মইষ তাড়াইতায় মিছিল করতাছে । বুম মারতাছে । গাড়ি ভাংতাছে । আর লাত্থি মারতাছে আমগর পেটে । আইজ দুই হপ্তা ধইরা যে টেহার ভিক্ষা পাই তা দিয়া খাওন জুটতাছে না । আধা বেলা একবেলা খাইয়া চলতে হইতাছে । শালারা রাজনীতি বাদ দিয়া আমগর খবর ল’ । দারিদ্রতার কষাঘাতে নিষ্পেষিত হতাশা আর ক্ষোভের এই অভিব্যক্তি মুক্তাগাছা পাড়াটঙ্গী গ্রামের ভিক্ষুক কালু মিয়ার (৮০) । কালু মিয়া বলেন , হরতাল অবরোধের কারণে অধিকাংশ দোকান পাট বন্ধ থাকে । আর যাও খোলা থাহে তাও নাই বেচাকেনা । গাড়ি ঘোড়াও চলে কম । বাসস্ট্যান্ডগুলিতেও লোকজন থাহে কম তাই বেশীরভাগ মানুষই ভিক্ষা দিতে চায় না । আগে দৈনিক ৩/৪শ’ টাকা কামই হইছে । এহন ১শ’ টেহাও অয় না । ১শ’ টেহা দিয় কি সংসার চলে ? । ভিক্ষা চাইলে, উল্টো মাফ চায় । মাফ কইরা দিলে কি আমগর খাওন জুটবো ? প্রশ্ন তার । শুধু এই ভিক্ষুকের নয় মুক্তাগাছায় হরতাল অবরোধের প্রভাব পড়েছে দিনমজুর তথা নিন্ম আয়ের সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মাঝে । কাজকর্ম কমে যাওয়ায় তারা অর্ধাহারে অনাহারে পরিবার পরিজন নিয়ে অতিকষ্টে দিনাতিপাত করছেন । অভিশাপ দিয়ে তারা বলছেন , যারা আমগো পেটে লাথি মারছে তাগো বিচার আল্লায় করবো । কালু মিয়া জানেনা কার দোষে রানীতির এই অবস্থা

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন