photo

রবিবার, ১২ জানুয়ারী, ২০১৪

মুক্তাগাছায় অল্প জমিতে শাক সবজি চাষ করে স্বাবলম্বী ২০ জন নারী


স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তাগাছা উপজেলার দুল্লা ইউনিয়নের প্রত্যন্ত গ্রাম গোবিন্দবাড়ি । গ্রামের বাসিন্দাদের নেই খুব বেশী জায়গা জমি । গ্রামের পুরুষরাও কর্মহীন । ২০০০ সাল থেকে ২০ জন নারী এই অল্প জমিতে শাক সবজি চাষ করে আজ স্বাবলম্বী । ঘুরিয়ে ফেলেছেন সংসার ভাগ্যের চাকা । এই ২০ নারীর একজন শাহিদা (৪০) । স্বামী শাহেদ আলীর ৬০ শতাংশ জমিতে গত ১৩ বছর ধরে সিম চাষ করে খরচ বাদে আয় করেছেন ১৫ লাখ টাকা । ৪ মেয়ের লেখা পড়া , ভরণ পোষন করেও আয়ের টাকায় ছনের ঘর ভেঙ্গে হাফ বিল্ডিং বাড়ি নির্মাণ করেছেন । ফুলেছা বেগম ১০ বছর ধরে ৩০ শতাংশ জমিতে ফুল কপি বাাঁধা কপি চাষ করে প্রতিবছর আয় করছেন লক্ষাধিক টাকা । তাদের মত মাজেদা , সাবিনা, আসমা , চায়না, কামরুন্নাহার, রুবিয়াসহ ২০ জন নারী শাক সবজির চাষ করে আজ স্বাবলম্বী । অনুকরনীয় অনুসরনীয় হিসাবে এই ২০ নারীর প্রশংসা শুধু তাদের গ্রামেই নয় ; ছড়িয়ে পড়েছে আশ পাশের গ্রামগুলিতেও । নারীরাও যে আজ পিছিয়ে নেই তারাই হচ্ছেন উৎকৃষ্ঠ নমুনা । অপরদিকে এই নারীরা শাক সবজি চাষ করছেন ক্ষেতে ক্যামিক্যাল প্রয়োগ ছাড়াই । জমিতে প্রয়োগ করছেন জৈব সার । নিজেরাই কম্পোস্ট পদ্ধতিতে সার তৈরি করে জমিতে প্রয়োগ করছেন । এই ২০ জন স্বাবলম্বী নারীদের রয়েছে কমন ইন্টারেস্ট গ্রুপ (সিআইজি) নামের একটি সমিতি । সমিতির সভাপতি মমতাজ বেগম জানান, একই জমিতে ৩ বার শাক সবজি চাষ করায় অন্যান্য চাষীদের চাইতে আমাদের আয় বেশী । আইএফডিসি (আপি) প্রকল্পের উপজেলা ফিল্ড মনিটরিং কর্মকর্তা সঞ্জিত বর্মণ জানান, এই নারী চাষীরা জমিতে গুটি ইউরিয়া প্রয়োগ করেন বিধায় উৎপাদন খরচও কম লাগে । কৃষি বিভাগের উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা সেলিম রেজা জানান, তাদের চাষ করা ক্ষেতে যেকোনো সমস্যা দেখা দিলেই তাৎক্ষনিক সহযোগীতায় এগিয়ে যাই । সার্বিক পরামর্শ দিয়ে থাকি ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন