photo

বুধবার, ১৫ জানুয়ারী, ২০১৪

মুক্তাগাছায় চাষ হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় কুঁচিয়া

à.

মনোনেশ দাস (ময়মনসিংহ) সংবাদদাতা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় চাষ হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় মাছ কুঁচিয়া । চাষাবাদে অপ্রচলিত হলেও কুঁচিয়া চাষি মোহাম্মদ আলী পেয়েছেন দারুণ ফলন। ২৪ কেজি ওজনের কুঁচিয়া মাছ পুকুর ও ডোবায় প্রতিপালন করে মাত্র ৫ মাসে ওজন বেড়ে ৭ মনে পরিণত হয়েছে। কুঁচিয়াকে খাওয়ানো হচ্ছে কচুরিপানা, ঘাষ ও উচ্ছিষ্ট সবজি। স্থানীয় একটি এনজিও জেএনডিপি"র নির্বাহী পরিচালক মোহাম্মদ আলী খসরুই প্রথম এই কুঁচিয়া মাছ চাষ করলেন। এই কুঁচিয়া মাছ চাষি জানান, খাল বিল নদী নালা থেকে তিনি ছোট ছোট কুইচা মাছ সংগ্রহ করে নিজের ৩ টি পুকুর ও ডোবায় চাষ করছেন । দেশে ও বিদেশে চাহিদা দেখে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষকের সহযোগিতায় তিনি কুঁচিয়া চাষ করছেন। বাজারে প্রতি কেজি কুঁচিয়া ৪ থেকে ৫শ" টাকা দরে বিক্রি হয়ে থাকে। জানা যায়, কুঁচিয়া মাছ এসওয়াইএনবিআরএএনসিএইচআইডিএই গোত্রের একটি ঈলজতীয় মাছ যার বৈজ্ঞানিক নাম এমওএনওপিটিইআরইউএসসিইউসিএইচআইএ । স্থানীয়ভাবে এটি 'কুঁইচা, কুঁচে, কুচ্চা' নামেও পরিচিত। এদের দেহ লম্বাটে এবং গোলাকৃতির । এর ঠোঁট মাংসল এবং ওপরের চোয়াল নিচের চোয়াল অপেক্ষা অধিক লম্বাটে। বিলুপ্তপ্রায় এই মাছ। এদের পিঠে পাখনা রয়েছে। দেহের পেছনের অংশে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দাগ লক্ষ্য করা যায়। এই প্রাণীর পায়ু ও পুচ্ছ অনুপস্থিত। দেহের রঙ গাঢ় খয়েরি বা বাদামি। কোন পার্শ্বরেখা নেই। মাথা সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্যরে ১১%,উচ্চতা সম্পূর্ণ দৈর্ঘ্যরে ৬.১% এবং চোখ মাথার দৈর্ঘ্যরে ৩.৩%। স্থানীয় একটি বিল থেকে ধৃত একটি কুঁচিয়া মাছের দৈর্ঘ্য পরিমাপ করা হয় ৮৩ সেন্টিমিটার (সেমি)। বেশকিছু বইপত্রে মাছটির সর্বোচ্চ দৈর্ঘ্য ৬৬ সেমি (বাংলাদেশ ফিসারিজ ক্যাম্পাসে রেকর্ডকৃত)। বাংলাদেশের প্রায় সব স্বাদুপানির জলাশয়েই যেমন, বিল, হাওর-বাঁওর, ডোবা নালায় এই মাছ দেখা যায়। পানির অগভীর ও তীরবর্তী অংশ ও পাড়ে মাটির গর্তে এই মাছের উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। অনেক সময় এরা মাটির ওপরে এসে রোদে অবস্থানও করে। অনেক সময় পুকুর খননে মাটির অনেক গভীরেও এদের দেখা মেলে । বিভিন্ন গবেষণার মাধ্যমে দেশের বিভিন্ন জলাশয়ে এই মাছের উপস্থিতি রেকর্ড করা হয়েছে যার মধ্যে চলন বিল, শাকরা বিল, ধনরা বিল, বাইয়া বিল অন্যতম। বোরো ধানক্ষেতেও এদের উপস্থিতি লক্ষণীয়। অল্পবয়স্ক কুঁচিয়া ভাসমান কচুরিপানার মধ্যে বেশ দেখা যায়। বাংলাদেশে অনেকেই এই মাছটিকে খাদ্য হিসেবে গ্রহণ করে না এবং মাছ হিসেবে দেখে না । আবার অনেকেই এটি পরম আনন্দে ভক্ষণ করে থাকে। অন্যদিকে মাছটি কবিরাজি কাজে ব্যবহৃত হওয়ায় বাজারে এর অনেক কদর। বিদেশের বজারে এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। অভিজ্ঞ মহলের মতে কুঁইচা বিদেশে রপ্তানির মাধ্যমে দেশে বিপুল পরিমান আয় বাড়ানো সম্ভব। ঢাকা, মঙ্গলবার ২৩ জুলাই ২০১৩, ০৮ শ্রাবণ ১৪২০ এবং ১৩ রামাযান ১৪৩৪ অনুসন্ধানের ফলাফল 1. মুক্তাগাছায় চাষ হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় কুঁচিয়া :: দৈনিক ইত্তেফাক www.ittefaq.com.bd/index.php?ref...‎ ২৩ জুলাই, ২০১৩ - ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় চাষ হচ্ছে বিলুপ্তপ্রায় মাছ কুঁচিয়া । চাষাবাদে অপ্রচলিত হলেও কুঁচিয়া চাষি মোহাম্মদ আলী পেয়েছেন দারুণ ফলন। ২৪ কেজি ওজনের কুঁচিয়া মাছ পুকুর ও ডোবায় প্রতিপালন করে মাত্র ৫ মাসে ওজন বেড়ে ৭ মনে পরিণত হয়েছে। কুঁচিয়াকে খাওয়ানো হচ্ছে কচুরিপানা,

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন