
স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তাগাছায় দুগ্ধ শিল্পের ৩শ’৬০ জন খামারী ২ জন ফড়িয়ার (মধ্যস্বত্ত্বভোগীদের) কাছে জিম্মী হয়ে পড়েছেন । এতে ক্ষুদ্র খামাড়ীরা দুগ্ধ উৎপাদনে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন । জানা যায়, ক্ষুদ্র খামার , পচনশীলতা , ফড়িয়াদের দৌরাতœ , পরিবহণ সংকট , সংরক্ষণ ব্যবস্থার অনুপস্থিতির কারনে মুক্তাগাছায় এখন শিল্পটি হুমকির সন্মুখীন । উপজেলা প্রানীসম্পদ অফিস সূত্রে জানা যায় , তারাটি, কুমারগাতা, মানকোন, বাঁশাটি , কাশিমপুর ঘোগা ও দাওগাঁওয়ে সমবায় দ্বারা পরিচালিত ৩শ’৬০টি খামারে প্রতিদিন ৩ হাজার লিটার দুধ উৎপাদন হয় । উৎপাদনের তুলনায় স্থানীয়ভাবে এর চাহিদা খুবই কম । অভিযোগ রয়েছে, এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ফড়িয়া নন্দ গোপাল ও লুৎফল নিয়ন্ত্রণে দুধের দাম । বিপণন প্রক্রিয়ায় এরা আসল উৎপাদনকারী অপেক্ষা অনেক বেশী লাভ করছে । অধিকাংশ সময়ই নানা অজুহাতে দুধ কম দামে কিনে নিচ্ছে । আবার নিজেদের ইচ্ছে মতো দুধ কেনা বন্ধ করে দিচ্ছেন ।এতে দুধ নষ্ট হচ্ছে অথবা খোলা বাজারে বিক্রি করতে বাধ্য হচ্ছে । দুগ্ধ খামারী কুমারগাতা গ্রামের আব্দুস ছাত্তার , তারাটির হেলাল , বাঁশাটির ফজলু , ঘোগার লিয়াকত জানান , আগে উপজেলা ভেটেরিনারী সার্জন ডা. নাজিমুদৌল্লার বদৌলতে মিল্কভিটার মাধ্যমে দুধ বিক্রি করা যেতো । সম্প্রতি তিনি শিক্ষা ছুটিতে চলে যাওয়ায় তার পদে কর্মকর্তা না থাকায় ব্যাহত হচ্ছে বাজার নিয়ন্ত্রণ কার্যক্রম । বাজারে প্রতি লিটার দুধ বিক্রি হয় ৪০/৫০ টাকায় । যা উৎপাদনের খরচেয় তুলনায় কম । উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা রানা মিয়া জানান, এনএটি প্রকল্পের মাধ্যমে খামারীদের মেশিন ও গরু মোটাতাজাকরণ টেকনোলজি ও খর কাটার মেশিন প্রদান করা হয়েছে ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন