+bird+home+(2)..........jpg)
স্টাফ রিপোর্টার : মুক্তাগাছায় শিকারীদের শিকারে পরিণত হয়ে হারিয়ে যাচ্ছে শিকারী পাখি । যাও টিকে আছে তারাও ভুগছে বাসস্থান সংকটে । জানা যায়, ৯০ এর দশক পর্যন্ত মুক্তাগাছার শহর কিংবা গ্রাম হরহামেশাই দেখা মেলতো শিকারী ঈগল, চিল , বাজ , শিকরে, কাপাসি, মাছ মুরাল , শকুন , শাহিন, কারাকারা , প্যাঁচা প্রভৃতি দিবাচর ও নিশাচর পাখি । জানা যায়, যে সমস্ত পাখি খাদ্য সংগ্রহের জন্য প্রখর ইন্দ্রিয় শক্তির সাহায্যে শিকার ধরে , তাদের শিকারী পাখি ইংরেজিতে বার্ড অফ প্রে বা রেপটর বলা হয় । এরা প্রধানত মেরুদন্ডী প্রাণী শিকার করে । এমনকি অন্যান্য পাখিও এরা শিকার করে খায় । এদের শারীরিক গঠন অন্যসব পাখির তুলনায় অন্যরকম । এদের মজবুদ শক্তিশালী নখর ও ঠোঁট শিকারের চামড়া ও মাংস ছেঁড়ার উপযোগী । স্ত্রী পাখি পুরুষ পাখির তুলনায় আকারে বড় হয় । শিকারী জীবন যাপনের কারণে বাস্তুতন্ত্রে সর্বোচ্চ খাদক হিসাবে এরা আখ্যায়িত । এই পাখিদের মধ্যে শকুন এখন আর দেখা যায় না । অন্যান্য পাখি যাও টিকে আছে তারা আজ বিপন্ন । বড় বড় গাছের চূঁড়ায় এরা বাসা বাাঁধে । ক্রমান্বয়ে বড় গাছ কেটে ফেলায় এদের আবাসস্থল সংকট প্রকট । খাবারের সন্ধানে লোকালয়ে নামলে মানুষ শিকারীদের কবলে পড়ে প্রাণ হারায় । পরিবেশ বিশেষজ্ঞদের মতে, প্রাকৃতিক বিপর্যয় রোধে এসমস্ত পাখি সংরক্ষণে সকলকে ভুমিকা রাখতে হবে ।
ছবি ক্যাপশণ , মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) মানুষ শিকারীর কবলে শিকারী পাখি (১) বড় গছের উঁচু ডালে বাসা ও শিকারী পাখি
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন