photo

মঙ্গলবার, ৪ মার্চ, ২০১৪

মুক্তাগাছায় হারিয়ে যাচ্ছে মূল্যবান ভেষজ ধুতুরা


মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) : নতুন বাজার শ্মশান সংলগ্ন জঙ্গলে ধুতুরা গাছ স্টাফ রিপোর্টার :গ্রামবাংলার ঝোপ - ঝাড়ে যে গাছটিকে ভয় বিষের চেয়েও কম নয় এর নাম‘ ধুতুরা’ । এ গাছ খেলে মানুষ অজ্ঞান ও পাগল হয় তা কারো অজানা নয় । জানা যায়, এর বৈজ্ঞানিক নাম ধুতুরা মিটিল । ধুতুরার ট্রোপেন এলকালোডিস নামের বিষক্রিয়ায় মানুষ বা পশুপাখির মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে । ধুতুরা মূলত : গুল্ম জাতীয় উদ্ভিদ । গ্রামাঞ্চলের ঝাড়- জঙ্গলে কয়েক কদম হাাঁটলে হয়তো এর দেখা পাওয়া যাবে । আয়ুর্বেদাচার্য শিবকালী ভট্রাচার্য চিরঞ্জীব বনৌষধিতে ধুতুরার ফুল , ফল , পাতা , কান্ড , মূল সবই বিভিন্ন ভেষজ প্রয়োগের কথা উল্লেখ করেছেন । এর বীজ থেকে চেতনানাশক পদার্থ তৈরি করা হয় । এর সাধারণ গুণ কটুরস , উষ্ণবীর্য, মূর্ছাকারক , ভ্রমকারক, নিদ্রাকারক , বায়ুবর্ধক , ক্লান্তিবর্ধক , বেদনানাশক , মূত্রকর এবং জ্বর , কাশ , শ্বাসকষ্ট , চুলকানি , পাঁচড়া , ব্রণ নাশক । ধুতুরা পাতার রস মাখলে উকুন মরে যায় । রস ব্যথা ফুরায় দিলে উপশম হয় । চর্মরোগ , টেউমার , অর্শসহ বহু রোগের ওষুধ ধুতুরা। ১৮০৫ সালে হোমিওপ্যাথিকে হ্যানিমান পাকা ধুতুরা ফলের বীজ থেকে টিংচার প্রস্তুতের মাধ্যমে সুপরীক্ষিত ওষুধ তৈরি করেন । এই ওষুধ উন্মাদ রোগেই বেশি ব্যবহৃত হয়ে আসছে । চৈনিক ভেষজ চিকিৎসায় পঞ্চশটি প্রধান উদ্ভিদের একটি ধুতুরা । বাংলাদেশের প্রখ্যাত ভেষজ চিকিৎসক আব্দুর রাজ্জাক জানান , লোকালয়ের ঝোপ- ঝাড় ধ্বংস করে আবাদী জমি তৈরির ফলে অন্যান্য মূল্যবান গাছের মত ধুতুরাও হারিয়ে যেতে বসেছে ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন