photo

বৃহস্পতিবার, ২৪ জুলাই, ২০১৪

মুক্তাগাছায় ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়ম


স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছার ১০ নং খেরুয়াজনি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রিপনের বিরুদ্ধে ভিজিএফ এর চাল বিতরণে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে । অভিযোগে প্রকাশ , ঐ ইউনিয়নে ৬ হাজার ৮শ’ ৭৮টি দরিদ্র পরিবারের মাঝে ১০ কেজি করে মোট ৭০ টন চাল বরাদ্দ দেয়া হয় । গত মঙ্গলবার ও বুধবার ঐ চাল বিতরণ করার নির্দেশনা দেয়া হয় । মঙ্গলবার চাল বিতরণে অনিয়ম দেখে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বাবুল মিয়া চাল বিতরণ বন্ধের নির্দেশ দেন । চেয়ারম্যান ইউএনও নির্দেশ বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শণ করে বুধবার আবারও চাল বিতরণ করেন । ভুক্তভোগীদের অভিযোগ কার্ডপ্রতি ১০ কেজির স্থলে দেয়া হয় ৭/৮ কেজি । অপরদিকে সিংহভাগ চাল বিক্রি করে দেয়া হয় কালোবাজারিদের নিকট । এব্যাপারে চেয়ারম্যানের সাথে মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি মোবাইল রিসিভ করেননি । জানা যায়, মুক্তাগাছায় পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে ৭৪ হাজারের অধিক পরিবারের মাঝে এ বছর ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ড বিতরণ করা হচ্ছে। সরকার এবারই রেকর্ড সংখ্যক গরীব দুস্থ পরিবারের মাঝে এ সহায়তা প্রদান করা করছে। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ও মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, ঈদকে সামনে রেখে উপজেলায় মোট ৭৩ হাজার ৭৩০ টি পরিবারকে সরকারের দুর্যোগ ব্যবস্থা মন্ত্রণালয়ের মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় আনা হয়েছে। ভিজিএফ কার্ডের মাধ্যমে পরিবার প্রতি ১০কেজি হারে ৭৩৭.৩০মেট্রিক টন চাল ও ভিজিডি কার্ডের মাধ্যমে ২ হাজার ৫০৮টি পরিবারের মধ্যে প্রত্যেককে ৩০কেজি হারে ৭৫.২৪মেট্রিক টন চাল বিতরণ করা হবে। স্থানীয় সরকারের জন প্রতিনিধিদের মাধ্যমে তালিকা প্রণয়নে এ কর্মসূচি বাস্তবায়ন করা হচ্ছে। স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের মাধ্যমে সুবিধাভোগীদের তালিকা প্রণয়নে বরাবরের মতো এবারও অনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। তারা গরীব মানুষের মাঝে কার্ড বিতরণ না করে চাল ব্যবসায়ীদের মাঝে কার্ড বিক্রি করেছেন এমন তথ্য দিয়েছেন বিভিন্ন এলাকার সুবিধাভোগিরা। নামে প্রকাশে অনিচ্ছুক এক চাল ব্যবসায়ী বলেন, প্রতি কার্ড তারা ১শ থেকে দেড়শ টাকায় কিনছেন। আর এ সব কার্ড তারা কিনছেন স্থানীয় রাজনৈতিক নেতা, ইউপি চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের কাছ থেকে। জানাযায়,এই ভিজিএফ চাউল কিনে নিয়ে মাছের খাদ্য হিসাবে ব্যবহার করা হয়। মুক্তাগাছার ইউএনও বাবুল মিয়া সাংবাদিকদের বলেন, ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগাভাগি করে নিতে এবারই রেকর্ড সংখ্যক গরীব দুঃখি মানুষের মাঝে সরকার ভিজিএফ ও ভিজিডি কার্ড বিতরণ করেছে। আর এ সব কার্ড ও চাল বিতরণে কোন প্রকার অনিয়েমের অভিযোগ পেলে তাৎক্ষনিত তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন