স্টাফ রিপোর্টার :মুক্তাগাছায় হত্যা ময়মনসিংহে আটক ৪ জন জেল হাজতে । ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ভাড়ায় চালিত মোটর সাইকেল চালককে হত্যার অভিযোগে ময়মনসিংহে কোতোয়ালী মডেল থানা পুলিশ ৪ জনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেছে । গতকাল তাদের আদালতে সোপর্দ করা হলে আদালত জেল হাজতে পাঠানোর নির্দেশ দেন । জানা যায়, ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার মোটরসাইকেল চালক সেলিমকে হত্যা করে পালানোর সময় মোটরসাইকেলসহ চার বন্ধুকে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃতরা হচ্ছেন মুক্তাগাছা উপজেলার শিমলা গ্রামের এরশাদ (১৮), শেখ ফরিদ (১৯), কুড়িপাড়ার আবীর আহমেদ (১৮) ও দিঘুয়া গ্রামের আহসান হাবীব (২০)। ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) কামাল হোসেন জানান, টাঙ্গাইলের মধুপুর থেকে গত শনিবার রাতে মোটরসাইকেল ভাড়া করে চার বন্ধু মুক্তাগাছায় আসার কথা বলে উপজেলার রঘুনাথপুর খিলবাড়ী নামক স্থানে মোটরসাইকেল চালক সেলিমকে হত্যা করে ব্রিজের নিচে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়।
স্থানীয় লোকজন রোববার সকালে লাশ দেখে পুলিশকে খবর দিলে মুক্তাগাছা থানার পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে চালক সেলিমের লাশ উদ্ধার করে। পুলিশ জানায়, চালককে হত্যার পর চার বন্ধু মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় রোববার সকালে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার উপ-পরিদর্শক মুসফিকুর রহমান হিমু সঙ্গীয় পুলিশ নিয়ে শহরের রেলির মোড়ে দায়িত্ব পালন করছিলেন। এ সময় দ্রুতগামী একটি মোটরসাইকেলে চার যুবক যাওয়ার সময় পুলিশ সন্দেহবশত গাড়ি থামানোর সিগনাল দেয়, গাড়িটি থামানোর পর চার যুবকের এলোমেলো কথা এবং গাড়ির চাবি এবং পায়ে জুতা না থাকায় পুলিশ নিশ্চিত হয়।
পুলিশ মুক্তাগাছার শিমলা গ্রামের এরশাদ (১৮), শেখ ফরিদ (১৯), কুড়িপাড়ার আবীর আহমেদ (১৮) ও দিঘুয়া গ্রামের আহসান হাবীব (২০)কে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদের পর তারা পুলিশে কাছে স্বীকার করে চার বন্ধু মিলে মোটরসাইকেল চালক সেলিমকে হত্যা করে গাড়ি নিয়ে পালিয়ে যাচ্ছিল। কোতোয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) আবু মোহাম্মদ ফজলুল করিম জানান, চোরাই মোটরসাইকেলসহ চার যুবককে আটক করা হয়েছে। # উল্লেখ্য , মুক্তাগাছায় মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার
মুক্তাগাছা প্রতিনিধি : ময়মনসিংহ জেলার মুক্তাগাছার দুল্লা ও মানকোন ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী বরিল বিল থেকে রবিবার সেলিম (৩৫) নামের ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকেল চালকের লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ ।
লাশ উদ্ধারকারী মুক্তাগাছা থানার এসআই কোহিনুর জানান, পাশ্ববর্তী টাঙ্গাইলের মধুপুর উপজেলার চাপাইদ এলাকার বাসিন্দা আব্দুর রাজ্জাকের ছেলে সেলিমের লাশে উদ্ধার করা হয়েছে। লাশের বুকে , পেটে ও হাতে আঘাতের চিহ্ন রয়েছে।
নিহত সেলিমের বড় ভাই মাসুদ রানা (৩৮) জানান, শনিবার বিকালে চাপাইদ থেকে ৩ জন যুবক যাত্রী হিসাবে মুক্তাগাছার কালিবাড়ি এলাকায় মোটরসাইকেল ভাড়া করে নিয়ে আসে । ধারনা করা হচ্ছে ওই যাত্রীবেশী দুর্বৃত্তরাই সেলিমকে হত্যার পর লাশ ফেলে রেখে পালিয়ে যায় ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন