photo

সোমবার, ৮ ডিসেম্বর, ২০১৪

ময়মনসিংহ মুক্তাগাছা মুক্ত দিবস ১০ ডিসেম্বর


স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় মুক্ত দিবস ১০ ডিসেম্বর । ময়মনসিংহ ও মুক্তাগাছা মুক্ত দিবস ১০ ডিসেম্বর উপলক্ষে ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসন, মুক্তাগাছা উপজেলা প্রশাসন , জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ড , সদর মুক্তযোদ্ধা কমান্ড , মুক্তাগাছা উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডসহ বিভিন্ন সামাজিক , রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন বিভিন্ন কর্মসূচী হাতে নিয়েছে বলে জানা গেছে । জানা যায়,১০ ডিসেম্বর ময়মনসিংহ মুক্তদিবস। ১৯৭১ সনের এই দিনে পাকহানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্তিবাহিনী ও ভারতীয় মিত্র বাহিনীর যৌথর নেতৃত্বে ময়মনসিংহ শত্রুমুক্ত হয়। এই দিনটি ময়মনসিংহবাসীর জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যময় ও অবিস্মরনীয়। স্বাধীনতাযুদ্ধ চলাকালীন সময়ে দীর্ঘ ৯মাস ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে প্রায় শতাধিক খন্ড যুদ্ধ সংগঠিত হয়। ৯ডিসেম্বর সন্ধ্যার পর মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী ব্রম্মপুত্র নদের অপর পাড় শ¤ভুগঞ্জে এসে অবস্থান নেয় ও মুক্তিবাহিনী ও মিত্রবাহিনী পাক সেনাদের উপর ঝাপিয়ে পড়ার চুড়ান্ত পরিকল্পনা গ্রহণ করে। পরদিন ১০ ডিসেম্বর ভোরে মুক্তিবাহিনী খবর পায় ব্রম্মপুত্র নদের উপর রেলওয়ে সেতুটি ডিনামাইট দিয়ে পাকবাহিনী ধবংস করে দিয়েছে। ভোরে পাকবাহিনী ময়মনসিংহ শহর থেকে পালিয়েছে। সকাল ১০টায় মুক্তিবাহিনী শ¤ভুগঞ্জ ফেরীঘাট পার হয়ে বীরবেশে ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করে। সে সময় আলহাজ অধ্যক্ষ মতিউর রহমান মুক্তিবাহিনীর ও ব্রিগ্রেডিয়ার সান সিং বাবাজী মিত্রবাহিনীর নেতৃত্বদেন। মুক্ত ময়মনসিংহ শহরে প্রবেশ করে একে এক সবাই জমায়েত হতে থাকে ময়মনসিংহ সার্কিট হাউজ ময়দানে। স্বাধীন দেশের পতাকা উড়ানো হয়। এইদিন একদিকে ছিল বিজয়ের অনাবিল আনন্দ অপর দিকে ছেলে হারা মা, ভাই হারা বোন, স্বামী হারা স্ত্রীর ক্রন্দন। তবুও সবকিছুর মাঝে বিজয়ের আনন্দ উদ্বেলিত করে ছিল মুক্তিকামী মানুষদের। মহান ভাষা আন্দোলন, ঐতহিাসকি ৬ ও ১১ দফা আন্দোলন, ১৯৬৯ এর গণ অভ্যুত্থানে উজ্জীবতি ১৯৭০ এর নর্বিাচনে বাঙ্গালী জাতি র্অথনতৈকি ও রাজনতৈকি স্বাধীনতা প্রাপ্তরি আশায় বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিুর রহমানরে নতেৃত্বাধীন বাংলাদশে আওয়ামী লীগকে বপিুল ভোটে সংখ্যাগরষ্ঠি দল হসিাবে মনোনীত করার পর থকেইে পাকস্তিানী শাসকগোষ্ঠী নানা অজুহাতে ক্ষমতা হস্তান্তর বলিম্বতি করায় প্রতটিি বাঙ্গালী তাদরে স্বাধীকার আন্দোলনে ঐক্যবদ্ধ হতে থাক।ে বঙ্গবন্ধু শখে মুজবিরে বভিন্নি প্রকাশ্য ভাষণ ও গোপন নর্দিশেরে মাধ্যমে গোটা জাতি বভিন্নি আঙ্গকিে প্রশক্ষিণ গ্রহণ করতে থাক।ে মহান নতোর নর্দিশেে জয় বাংলা বাহনিী ও স্বচ্ছোসবেক বাহনিী ময়মনসংিহে গঠতি হয়। ২ র্মাচ জয় বাংলা বাহনিী ও স্বচ্ছোসবেক বাহনিী সকাল ১০টায় টাউন হল ময়দানে অভবিাদন জানাবনে বলে আগরে দনি থকেে মাইকে ময়মনসংিহ শহরব্যাপী ঘোষণা হতে থাক।ে জয় বাংলা বাহনিী প্রধান আবুল হাসমেরে নতেৃত্বে জয় বাংলা ও স্বচ্ছোসবেক বাহনিী সারবিদ্ধ ভাবে শহর প্রদক্ষণি করে টাউন হল চত্বরে সমবতে হয়ে আওয়ামী লীগরে সংগ্রামী নতো রফকি উদ্দনি ভূইয়াকে সশ্রদ্ধ অভনিন্দন জানান। মুর্হুমুহু জয় বাংলা ধ্বনরি মধ্যে পাকস্তিানী পতাকা পুড়য়িে বাংলাদশেরে নকশা খচতি পতাকা উত্তোলন করনে তৎকালীন জলো ছাত্রলীগ সভাপতি নাজমি উদ্দনি আহমদে। অভনিন্দন অনুষ্ঠান পরচিালনা করনে তৎকালীন জলো ছাত্রলীগরে সাধারণ সম্পাদক, র্বতমান বাংলাদশে আওয়ামী লীগরে সাধারণ সম্পাদক ও স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী জনাব সয়ৈদ আশরাফুল ইসলাম। এ ছাড়াও উপস্থতি ছলিনে আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, নতোর্কমীদরে মধ্যে জনাব শামছুল হক, এডভোকটে আব্দুর রাজ্জাক, ইমান আলী, আনন্দমোহন কলজেরে ভপিি আব্দুল হামদি, মতউির রহমান, আফাজ উদ্দনি, কমর উদ্দনি, এডভোকটে আনোয়ারুল কাদরি, সয়ৈদ আহমদ, চাঁন ময়িাসহ অন্যান্য রাজনতৈকি নতেৃবৃন্দ। ৭ র্মাচ ১৯৭১ রসের্কোস ময়দানে ‘‘এবাররে সংগ্রাম আমাদরে মুক্তরি সংগ্রাম, এবাররে সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম, তোমাদরে যা কছিু আছে তাই নয়িে শত্রুর মোকাবলো করতে হব’ে’। বঙ্গবন্ধুর এই ঐতহিাসকি আহবানরে পরইে বাঙ্গালী জাতি মুক্তযিুদ্ধরে জন্য সংগঠতি হতে থাক।ে অবসরপ্রাপ্ত সনো, পুলশি এবং দায়ত্বিরত পুলশি সদস্যগণ অত্যন্ত গোপনে অস্ত্র চালনা ও রণ কৌশল বষিয়ে শক্ষিা দান করনে। ২৫ র্মাচ ১৯৭১ পাকস্তিানী হানাদার বাহনিীর আক্রমণরে পর ২৬ র্মাচ বঙ্গবন্ধুর স্বাধীনতা ঘোষনার পর থকেে পাকহানাদার বাহনিী নধিনে মরয়িা হয়ে উঠ।ে যারই ধারাবাহকিতায় খাগডহর তৎকালীন ইপআির ক্যাম্প সংগ্রামী জনতা ঘরোও করে এবং বাঙ্গালী ইপআির সদস্যদরে সহায়তায় পাকস্তিানী হানাদার বাহনিীকে পরাস্ত করে বপিুল পরমিাণ অস্ত্র ও গোলাবারুদ উদ্ধার কর।ে এ যুদ্ধে ইপআির সদস্য দলেোয়ার হোসনে ও ময়মনসংিহ জলো প্রশাসকরে ড্রাইভার পুত্র আবু তাহরে মুকুল শাহাদৎ বরণ করনে। মূলতঃ এই যুদ্ধরে পর পরই ময়মনসংিহরে সীমান্ত অঞ্চলে অবস্থতি সীমান্ত ফাঁড়গিুলি বাঙ্গালী বডিআিরদরে নয়িন্ত্রনে চলে আস।ে নহিত পাক সনোদরে লাশ নয়িে ময়মনসংিহবাসী বজিয় মছিলি করতে থাকে ও ধৃত অন্যান্য পাকসনোদরে র্কতৃপক্ষরে মাধ্যমে ময়মনসংিহ জলেখানায় প্ররেণ করা হয়। যুদ্ধ চলাকালীন সময়ে এক সকালে পুরাতন বডিআির ভবনরে ৩য় তলার র্শীষে হাজার হাজার লোকরে জয় বাংলা ধ্বনরি মধ্যে বাংলাদশেরে নকশা খচতি পতাকা পতাকা উত্তোলন করনে সাবকে কমান্ডার জলো মুক্তযিোদ্ধা সংসদ, মোঃ সলেমি সাজ্জাদ। এ যুদ্ধে আবুল হাসমে, সয়ৈদ আশরাফুল ইসলাম, নাজমি উদ্দনি আহমদে, ম হামদি, এসএম নাজমুল হক তারা, মৃত চয়োরম্যান আব্দুল কাদরে (কাদু ময়িা), কএেম শামছুল আলম, শখে হারুন, খোকন বডিআির ও পুলশিরে সদস্যসহ জয় বাংলা ও স্বচ্ছোসবেক বাহনিীর অনকে সদস্যই অংশগ্রহণ করনে। ১৯৭১ সালেরএই দিনে পাক হানাদার বাহিনীর হাত থেকে মুক্ত হয় মুক্তাগাছা । মুক্ত দিবস উপলক্ষে মুক্তিযোদ্ধা সংসদ , পৌরসভাসহ বিভিন্ন সংগঠন ও প্রতিষ্ঠান প্রতি বছরের মত এবারও শহীদদের শ্রদ্ধা জানাবে । পাকবাহিনী ৭১ এর ২৩ এপ্রিল জামালপুর থেকে ময়মনসিংহ যাওয়ার পথে মুক্তাগাছায় প্রবেশ করে । সেদিন শুক্রবার বেলা ১২ টার দিকে জীপ ও ট্রাকের এক বিশাল কনভয় নিয়ে পাকবাহিনী মুক্তাগাছা দখল করে । শহরের বিভিন্ন স্থানে গুলি বর্ষণ লুটতরাজ ও অগ্নিসংযোগে শহীদ হন অসংখ্য জনতা । এসময় প্রতিনিয়িত পাকিস্তানী বাহিনীর হাতে নির্যাতন ও হত্যাকান্ডের শিকার হয়েছেন ধর্ম , বর্ণ, শ্রেণী নির্বিশেষে মুক্তাগাছার অগণিত জনতা । যুদ্ধকালীন সময়ে রফিজ উদ্দিন, ডা: বাবর আলী ,জবেদ আলীও আব্দুর রাজ্জাক এই ৪টি কোম্পানী পাক হানাদারের বিরুদ্ধে যুদ্ধরত ছিল । অপরদিকে মকবুল হোসেন পাবনা ও টাঙ্গাইল এলাকার মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে একটি কোম্পানী গঠন করে । মুক্তিযোদ্ধারা খতম করে বহু রাজাকার ও পাকবাহিনীর সদস্যকে । ৯ মাস রক্তক্ষয়ী যুদ্ধের পর ১০ই ডিসেম্বর মুক্তিযোদ্ধারা মুক্তাগাছাকে মুক্ত করেন ।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন