মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মাওলানা রেজাউল হককে (৭০) গ্রেফতার করেছে । আজ বুধবার বিকালে চেচুয়ার একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় । রেজাউল করিম উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন আহবায়ক । মুক্তাগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মো: ফজলুল করিম , গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন । জানা যায়,তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরে হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, মুক্তাগাছার পূর্ব চেচুয়া গ্রামের মৃত মুসলেম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল হক ওরফে আক্কাস মৌলভী মুক্তিযুদ্ধের সময় মাদ্রাসাছাত্র থাকা অবস্থায় আলবদর বাহিনীতে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে সুবর্ণখিলা গ্রামের আহমদ আলীসহ দুই মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা, চেচুয়ায় হিন্দুবাড়িতে গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ রয়েছে।
স্বাধীনতার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরে নিজের নাম আক্কাস আলী পরিবর্তন করে এ এসএম রেজাউল হক রাখেন। ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর তিনি প্রকাশ্যে আসেন। পরে মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি সাবেক স্পিকার মরহুম শামছুল হুদা চৌধুরীর হাত ধরে প্রথমে বিএনপি ও পরে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যোগ দেন।
এক পর্য়ায়ে তিনি মুক্তাগাছা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হন। সর্বশেষ উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে উপজেলা জাপার সদস্য করা হয়। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত টিম তদন্ত শেষে অভিযোগ দায়ের করে। -----------মুক্তাগাছায় ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা-------একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বুধবার এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
এর আগে তদন্তের স্বার্থে আসামিদের গ্রেফতার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদন করেন মামলার প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ আলী। তবে গ্রেফতারের স্বার্থে সাংবাদিকদের কাছে আসামিদের নাম প্রকাশ করেননি প্রসিকিউটর।
photo
বুধবার, ৯ ডিসেম্বর, ২০১৫
মুক্তাগাছায় মানবতাবিরোধী অপরাধে জাতীয়পার্টির নেতা গ্রেফতার
মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে মানবতাবিরোধী অপরাধে অভিযুক্ত মাওলানা রেজাউল হককে (৭০) গ্রেফতার করেছে । আজ বুধবার বিকালে চেচুয়ার একটি মাদ্রাসা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় । রেজাউল করিম উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ন আহবায়ক । মুক্তাগাছা থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবু মো: ফজলুল করিম , গ্রেফতারের সত্যতা নিশ্চিত করেছেন । জানা যায়,তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক যুদ্ধাপরাধ ট্রাইব্যুনালে একাত্তরে হত্যা, অগ্নিসংযোগসহ মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলা রয়েছে।
জানা গেছে, মুক্তাগাছার পূর্ব চেচুয়া গ্রামের মৃত মুসলেম উদ্দিনের ছেলে রেজাউল হক ওরফে আক্কাস মৌলভী মুক্তিযুদ্ধের সময় মাদ্রাসাছাত্র থাকা অবস্থায় আলবদর বাহিনীতে যোগ দেন। তার বিরুদ্ধে সুবর্ণখিলা গ্রামের আহমদ আলীসহ দুই মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা, চেচুয়ায় হিন্দুবাড়িতে গণহত্যা ও অগ্নিসংযোগ করার অভিযোগ রয়েছে।
স্বাধীনতার পর তিনি আত্মগোপনে চলে যান। পরে নিজের নাম আক্কাস আলী পরিবর্তন করে এ এসএম রেজাউল হক রাখেন। ১৯৭৫ এর পট পরিবর্তনের পর তিনি প্রকাশ্যে আসেন। পরে মাদ্রাসায় শিক্ষকতার পাশাপাশি সাবেক স্পিকার মরহুম শামছুল হুদা চৌধুরীর হাত ধরে প্রথমে বিএনপি ও পরে জাতীয় পার্টির রাজনীতিতে যোগ দেন।
এক পর্য়ায়ে তিনি মুক্তাগাছা উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি হন। সর্বশেষ উপজেলা জাতীয় পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালনরত অবস্থায় তার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হলে তাকে পদ থেকে সরিয়ে উপজেলা জাপার সদস্য করা হয়। তার বিরুদ্ধে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের তদন্ত টিম তদন্ত শেষে অভিযোগ দায়ের করে। -----------মুক্তাগাছায় ৮ রাজাকারের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা-------একাত্তরে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার ৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বুধবার এ সংক্রান্ত এক আবেদনের শুনানি শেষে বিচারপতি শাহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের ট্রাইব্যুনাল এই পরোয়ানা জারির আদেশ দেন।
এর আগে তদন্তের স্বার্থে আসামিদের গ্রেফতার চেয়ে ট্রাইব্যুনালে একটি আবেদন করেন মামলার প্রসিকিউটর মোহাম্মাদ আলী। তবে গ্রেফতারের স্বার্থে সাংবাদিকদের কাছে আসামিদের নাম প্রকাশ করেননি প্রসিকিউটর।
এতে সদস্যতা:
মন্তব্যগুলি পোস্ট করুন (Atom)
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন