photo

রবিবার, ৫ জুন, ২০১৬

ময়মনসিংহে জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী


মনোনেশ দাস :ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী শুধুমাত্র একজন সফল ও সুযোগ্য জেলা প্রশাসকই নন, তিনি মানবতার জন্য দরদী বন্ধু । তিন বছরের সময়ে ময়মনসিংহের বিভিন্ন অঙ্গনের মানোন্নয়নে যে অতুলনীয় অবদান রেখে চলেছেন তা ভুলা যাবেনা। তার অবস্থানে ময়মনসিংহের সামগ্রিক কার্যক্রম দ্রুত ও সুষ্ঠুভাবে এগিয়ে চলছে। তিনি তার কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠা ও আন্তরিকতার মধ্য দিয়ে ময়মনসিংবাসীর মনে স্থান করে নিয়েছেন।কথাগুলো ময়মনসিংহবাসীর সকল শ্রেণী পেশার মানুষের মুখে মুখে । ময়মনসিংহবাসী তাকে আজীবন স্মরণ রাখবেন । ময়মনসিংহবাসীর প্রতিটি মানুষকে তিনি স্ব স্ব সম্মানে সম্মানিত করে চলেছেন । তিনি একজন ক্রীড়া ও সংগীতপ্রেমি ব্যক্তি, জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকীর গত তিন বছরের বিভিন্ন উন্নয়ন মূলক কার্যক্রম ময়মনসিংহবাসীর কাছে অত্যন্ত সাফল্য মন্ডিত । বাঙ্গালী জাতির সর্বশ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। হাজার বছরের সুদীর্ঘ সংগ্রামের ফসল আমাদের এই স্বাধীন বাংলাদেশ। দীর্ঘকালের আন্দোলন-সংগ্রাম, মুক্তিপাগল জনতার তাজা রক্তের বিনিময়ে বঙ্গবন্ধুর সুযোগ্য নেতৃত্বে গড়ে ওঠে স্বাধীনতা যুদ্ধের পটভূমি। শুরু হয় বিশ্ব ইতিহাসের অনন্য এক যুদ্ধ। সে এক অমর কাব্য। ময়মনসিংহ বাংলাদেশের একটি পুরোনো জেলা। ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির শাসনামলে রাজস্ব আদায়, প্রশাসনিক সুবিধা বৃদ্ধি এবং বিশেষ করে স্থানীয় বিদ্রোহ দমনের জন্য এই জেলা গঠন করা হয়। ১৭৮৭ সালের ১ মে তারিখে এই জেলা প্রতিষ্ঠিত হয়। শুরুতে এখনকার বেগুনবাড়ির কোম্পানিকুঠিতে জেলার কাজ শুরু হয় তবে পরবর্তী সময়ে সেহড়া মৌজায় ১৭৯১ সালে তা স্থানান্তরিত হয়। আদি ময়মনসিংহ জেলার বিভিন্ন স্থান একে একে সিলেট, ঢাকা, রংপুর ও পাবনা জেলার অংশ হয়ে পড়ে। ১৮৪৫ সালে জামালপুর, ১৮৬০ সালে কিশোরগঞ্জ, ১৮৬৯ সালে টাঙ্গাইল ও ১৮৮২ সালে নেত্রকোনা মহকুমা গঠন করা হয়। পরে সবকটি মহকুমা জেলায় উন্নীত হয়। ময়মনসিংহ শহর হয় ১৮১১ সালে। শহরের জন্য জায়গা দেন মুক্তাগাছার জমিদার রঘুনন্দন আচার্য। ১৮৮৪ সালে রাস্তায় প্রথম কেরোসিনের বাতি জ্বালানো হয়। ১৮৮৬ সালে ঢাকা-ময়মনসিংহ রেলপথ ও ১৮৮৭ সালে জেলা বোর্ড গঠন করা হয়। মৈমনসিংহ গীতিকা, মহুডা, মলুয়া, দেওয়ানা মদীনা, চন্দ্রাবতী, কবিকঙ্ক, দীনেশচন্দ্র সেনের বিখ্যাত ময়মনসিংহ জেলা দীর্ঘ সময়ে আজ ব্যাপক উন্নত । এরই মাঝে ময়মনসিংহ, জামালপুর, শেরপুর ও নেত্রকোণা জেলা নিয়ে দেশের অষ্টম এই বিভাগ গঠিত হয়। এক কোটি ১৩ লাখ ৬৯ হাজার জনসংখ্যার ময়মনসিংহ বিভাগের আয়তন ১০ হাজার ৫৮৪ বর্গকিলোমিটার। বিভাগীয় কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে এই ময়মনসিংহ জেলাতেই । এই বিভাগেরই কৃতি সন্তান সাদা মনের একজন মানুষ ময়মনসিংহ জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী ।পার্শ্ববর্তী জেলা জামালপুরের সুযোগ্য সন্তান মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী ( কাজল)তিন বছর আগে ময়মনসিংহের জেলা প্রশাসক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করার পর থেকে ময়মনসিংহের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি থেকে শুরু করে সার্বিক অবস্থার উন্নতি লাভ করেছে।ময়মনসিংহের গরিব দুঃখি খেটে খাওয়া মেহনতি মানুষের পাশে তাকে সবসময় দেখতে পাওয়া যায়। সুযোগ পেলেই তিনি জেলার প্রতিটি উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের নারী-পুরুষ ও শিশুদের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে কথা বলেন। একজন জেলা প্রশাসক হয়েও তিনি যেভাবে ময়মনসিংহের মানুষের সুখে-দুঃখে পাশে রয়েছেন এজন্য ময়মনসিংহবাসী তার কাছে চিরকৃতজ্ঞ। ময়মনসিংহের সুযোগ্য ও সফল জেলা প্রশাসক মুস্তাকীম বিল্লাহ ফারুকী এক সাক্ষাতকারে বলেন, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের সফল ও সুযোগ্য মাননীয় প্রধান মন্ত্রী প্রাচীন এই ময়মনসিংহ জেলার জেলা প্রশাসক হিসেবে আমাকে নিয়োগ করায় ময়মনসিংহ জেলাবাসীর পক্ষ থেকে আমি আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করছি। বর্তমান সরকারের নির্বাচনী অঙ্গীকার ডিজিটাল বাংলাদেশ। তারই সফল বাস্তবায়নে আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি । তিনি ময়মনসিংহবাসীর প্রতি আহবান জানিয়ে বলেন, আপনার শিশুকে স্কুলে পাঠিয়ে শিক্ষিত করুন, সকল উন্নয়নমূলক কর্মকান্ডে সরকারকে সহযোগিতা করুন, সরকারের স্থাবর-অস্থাবর সম্পত্তি রক্ষণাবেক্ষণে সহযোগিতা করুন, মাদকমুক্ত থাকুন, সরকারি ভূমি অবৈধ দখল থেকে বিরত থাকুন, সরকারি রাস্তার পাশে কোন অবৈধ অবকাঠামো নির্মাণ করবেন না, খাজনা পরিশোধ করে জেলার উন্নয়নে সহায়তা করুন, এ জেলায় ভ্রমণে আমাদের আতিথেয়তা গ্রহণ করুণ। জেলার উন্নয়ন ও সার্বিক কর্মকান্ডে দল মত নির্বিশেষে আমাদেরকে সহায়তা করুণ। পরিশেষে তিনি বলেন, বাংলাদেশের স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন; ক্ষুধা-দারিদ্র, নিরক্ষরতা ও সন্ত্রাসমুক্ত, শোষণহীন সোনার বাংলা গড়ার প্রত্যয়দীপ্ত দৃঢ় অঙ্গিকারে কর্মকর্তাও কর্মচারীবৃন্দ এবং সম্মানিত ময়মনসিংহবাসীকে আন্তরিক অভিনন্দন জানাই।

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন