মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় বিশ্ব শান্তি কল্পে ৫৬ প্রহর মাঠে ৫৬ প্রহর ব্যাপী মহানামযজ্ঞ অনুষ্ঠান ২০১৭ সমাপ্তি হয়েছে।
হর্ষে কহে প্রভু শুন স্বরূপ রাম রায়।
নাম সংকীর্তন কলৌ পরম উপায় ॥
কলিপাবনাবতার স্বরূপ রায়কে অত্যন্ত আনন্দের সাথে বলছেন যে কলির একমাত্র ধর্ম হচ্ছে নাম সংকীর্তন। শ্রীশ্রী চৈতন্যচরিতামৃত বলেন ‘যাগ যজ্ঞ যত ছিল সত্য, ত্রেতা, দ্বাপরে। ধন্য কলিযুগে হরিনামে মহাপাপী উদ্ধারে॥ সুতরাং কলিকালে নামই মুক্তির একমাত্র উপায়। বৃহন্নারদীয় পূরাণ বলছেন শয়নকালে, ভোজনে, গমনে, স্থিতি সময়ে,দন্ডায়মান অবস্থায় অনুগমনে, অন্য কথা প্রসঙ্গে যারা মুখে হরি বলে থাকে তাঁদের সতত নমস্কার। পদ্ম পুরাণ বলছেন, ‘‘যে ব্যক্তি যে কোন স্থানে অবস্থান করে কৃষ্ণ কৃষ্ণ বলে সে ব্যক্তি নিখিল পাপ হতে মুক্ত হয়ে পরমগতি লাভ করে।’’ স্থান কাল পাত্র বিবেচনা না করেই হরিনাম করা যায়। বার বার হরিনাম করলে চিত্তের মলিনতা দূরীভূত হয়। নববিধা ভক্তির প্রথমেই বলা হয়েছে---
ভজনের মধ্যে শ্রেষ্ঠ নববিধা ভক্তি (১)।
কৃষ্ণপ্রেম কৃষ্ণ দিতে, ধরে মহাশক্তি ॥
মূলতঃ নববিধা ভক্তির মধ্যে শ্রেষ্ঠ হচ্ছে নাম সংকীর্তন। শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত বলেনঃ-
নমস্তে বাসুদেবায় নমঃ সঙ্কর্ষণায় চ।
প্রদ্যুায়ানিরুদ্ধায় তুভ্যং ভগবতে নমঃ ॥৫৩
শ্রীশ্রীচৈতন্যচরিতামৃত বলেন, এই মন্ত্রে দ্বাপরে হতো কৃষ্ণ অর্চ্চন। কৃষ্ণ নাম সংকীর্তন কলিযুগের ধর্ম। সত্যে ধ্যান, দ্বাপরে অর্চ্চনা আর কলিযুগে শুধু হরিনাম সংকীর্তন মুক্তির একমাত্র উপায়। সুতরাং কলিযুগে ভজন পদ্ধতি হচ্ছে সহজতম। সকলেই মহাপ্রভুর অপার কৃপায় প্রাপ্ত এ হরিনাম সংকীর্তন করে সাধন ভজনের পরমার্থিত শিখরে উঠুন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন