মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহে মুক্তাগাছায় এমপি সালাহ্উদ্দিন আহমেদ মুক্তি বলেছেন, মুক্তাগাছায় আমার সময়ে বেশি উন্নয়ন কাজ হয়েছে । এরআগে মুক্তাগাছায় এমপি হিসাবে যারা স্পীকার, মন্ত্রী ছিলেন তারাও আমার মত উন্নয়ন করতে পারেননি । চাইলে অফিসে খোঁজ নিয়ে দেখেন ।আজ শনিবার বিকালে মুক্তাগাছার রামভদ্রপুর বাজারে জাতীয় পার্টি আয়োজিত কর্মী সমাবেশে প্রধান অতিথির ভাষণে একথা বলেন তিনি । জাতীয় পার্টির যুগ্ন মহাসচিব ও তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য মুক্তি আরো বলেন, ১৪ দলের চাইতেও শক্তিশালী এরশাদ । আমি মুক্তাগাছার মানুষ । মুক্তাগাছার মাটিতে আমার জন্ম । আমি আপনার ভাই । আপনার বন্ধু । আপনার আপনজন । মুক্তাগাছার মানুষের চাওয়া ছিলো ।আমাদের মুক্তাগাছার মানুষ যেন এমপি হন ।মুক্তাগাছার উন্নয়নে আওয়ামীলীগ, বিএনপি সকলকে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে ।
বাঁশাটি ইউনিয়ন জাতীয়পার্টির সভাপতি শামসুল হকের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ও অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন জাতীয়পার্টি ময়মনসিংহ জেলার সহ-সভাপতি এড. রফিকুল ইসলাম বাবুল, মুক্তাগাছা উপজেলা জাতীয়পার্টির যুগ্ম আহ্বায়ক শামসুদ্দিন আহমেদ মাস্টার, জাতীয়পার্টির নেতা আতাউর রহমান লেলিন, মুক্তিযোদ্ধা জামাল উদ্দিন আকন্দ, জসিমউদ্দিন মাস্টার, মাহবুবুল আলম ফকির, শরীফুল ইসলাম বিপ্লব, আহসান হাবিবুল্লাহ, মিজানুর রহমান, মুঞ্জুরুল হক মঞ্জু, হাবিবুর রহমান হবি, মুক্তার হোসেন, তরুণ আহমেদ প্রমুখ।এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তির উন্নয়ন কার্যক্রমে মুগ্ধ হয়ে ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য, সাবেক বিএনপির এমপি কেরামত তালুকদারের ভাজিতা মাসুদরানাসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী জাতীয় পার্টিতে যোগদান করেন। আজ শনিবার সন্ধ্যায় ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়ন পরিষদের সংরক্ষিত মহিলা সদস্য মিনারা খাতুন, সাবেক ইউপি সদস্য খুরশেদ আলম, বিএনপি নেতা সিরাজ পাঠানসহ বিপুল সংখ্যক নেতা-কর্মী জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটির যুগ্ম মহাসচিব, তথ্য মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য, ময়মনসিংহ-৫, মুক্তাগাছা আসনের এমপি সালাহউদ্দিন আহমেদ মুক্তি হাতে ফুলের তোড়া দিয়ে জাতীয়পার্টিতে যোগদান করেন। এ সময় তিনি নব যোগদানকারীদের গলায় ফুলের মালা পড়িয়ে তাদের বরণ করে নেন।
এমপি সালাহ্উদ্দিন আহমেদ মুক্তি আরো বলেন,দেশের মানুষ যেদিকেই তাকাবে সেদিকেই পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়নের ছোঁয়া দেখতে পাবেন । বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দক্ষ ও সফল রাষ্ট্রনায়ক নতুন বাংলার স্বপ্নদ্রষ্টা তিনি। ক্ষমতাসীন হয়েই তিনি বলেছিলেন, ৬৮ হাজার গ্রাম বাঁচলে বাংলাদেশ বাঁচবে। বাংলার মানুষ তাই তাঁকে স্বতঃস্ফুর্তভাবে উপাধী দিয়েছেন পল্লীবন্ধু। একজন দক্ষ প্রশাসক ও কবির স্বপ্ন একসঙ্গে একাকার হয়ে ছিলো বলেই তিনি হতে পেরেছেন গতিশীল, আধুনিক ও মানবতাবাদী মনের মানুষ। তিনি নিজের প্রজ্ঞা, জ্ঞান ও শিক্ষা দিয়ে গড়ে তুলতে চেয়েছেন নতুন বাংলাদেশ। তাই তিনি বৃটিশ আমলের ঘুনেধরা প্রশাসন ভেঙ্গে দিয়ে সৃষ্টি করেন উপজেলা পদ্ধতি-জনগণের নির্বাচিত প্রশাসন ব্যবস্থা। যুগ-যুগান্তরের আমলাতান্ত্রিক ব্যবস্থা তিনি পরিবর্তন করেন। প্রশাসনকে বিকেন্দ্রীকরণ করেন। বাস্তবায়িত করেন যোগাযোগ, বিদ্যুৎ সরবরাহ ব্যবস্থা, পল্লী উন্নয়ন, শিক্ষা-স্বাস্থ্য, ভূমি সংস্কার, টেলি যোগাযোগ নেটওয়ার্কের হাজার হাজার প্রকল্প। এরমধ্যে কৃষি ও শিল্প উন্নয়নমুলক প্রকল্পের সংখ্যাই বেশী। এছাড়া সড়ক উন্নয়নসহ যোগাযোগের আধুনিকায়ন তো আছেই। রাষ্ট্রনায়ক এরশাদ, উন্নয়নের স্বপ্নদ্রষ্টা এরশাদ, নতুন বাংলাদেশের স্বাপ্নিক এরশাদ, মানব দরদী এরশাদ, শিক্ষা বিস্তারে এরশাদ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান উন্নয়নে এরশাদ, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়নে এরশাদ, স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নয়নে এরশাদ, খাদ্য উৎপাদন বৃদ্ধি কর্মসূচীতে এরশাদ, শ্রমিক-কর্মচারীদের কল্যানে এরশাদ, দুঃস্থ মানুষের প্রেমিক এরশাদ, ক্রীড়াঙ্গনে এরশাদ, সাংস্কৃতিক অঙ্গনে এরশাদ। এরশাদ সম্পর্কে মহাকাব্য লিখেও শেষ করা যাবে না।
ইতিহাস সৃষ্টিকারী এই রাষ্ট্রনায়ক রাজনৈতিক প্রতিহিংসার শিকার হয়ে দুই দফায় সাড়ে ছয় বছর কারাগারে আটক ছিলেন। কিন্তু তাঁর স্বপ্নে ছিলে দেশ ও জনগণের কল্যান সাধন। জেলখানার অন্ধ প্রকোষ্ঠে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়তেন- তবুও ভাবতেন দেশের কথা। দেশ যখন বিপন্ন, মানুষ যখন মানবেতরের চরম সীমায় পল্লীবন্ধু এরশাদ তখন জেলের জিঞ্জির ছিন্ন করে বেড়িয়ে এলেন। তিনি দেখলেন যে দেশকে তিনি সযত্নে সাজিয়েছিলেন সে দেশ ছিন্ন-ভিন্ন হয়ে গেছে। মানুষের সুখ-শান্তি সমৃদ্ধি ভেঙ্গে খানখান হয়ে যাচ্ছে। অর্থনৈতিক সাচ্ছন্দ্য বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। জনগণের জানমালের নিরাপত্তা বলতে কিছুই থাকছেনা। কারামুক্ত পল্লীবন্ধু এরশাদ আর স্থির থাকতে পারলেন না। শুরু হলো আবার তাঁর যাত্রা। এ যাত্রা ভিন্ন আঙ্গিকে। হিংসা-হানাহানির রাজনীতির বিরুদ্ধে সুষ্ঠু স্থিতিশীল গণতান্ত্রিক পরিবেশ সৃষ্টির রাজনৈতিক যাত্রা শুরু করলেন পল্লীবন্ধু। আবার এদেশে উন্নয়ন সমৃদ্ধির ধারা ফিরিয়ে আনা এবং জনগণের নিরাপত্তা-সুখ-শান্তি নিশ্চিত করার সংগ্রামে ব্রতি হলেন এদেশের ইতিহাসের সফল রাষ্ট্রনায়ক পল্লীবন্ধু এরশাদ। তিনি নিরলসভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন এদেশের দুঃখী মানুষের মুখে হাসি ফোঁটানোর লক্ষ্যে। পল্লীবন্ধু এরশাদ কথার রাজনীতিতে বিশ্বাসী নন-তিনি কাজের রাজনীতিতে বিশ্বাস করেন। তাঁর অতীতের কর্মকাণ্ডের দিকে তাকালেই এ কথার প্রমাণ পাওয়া যাবে। এদেশের এমন কোন গ্রাম নেই -এমন কোন শহর নেই-যেখানে পল্লীবন্ধু এরশাদের উন্নয়নের ছোঁয়া লাগেনি। এখনো এই বাংলাদেশের যেদিকেই দৃষ্টি যাবে সেদিকেই দেখতে পাওয়া যাবে পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের উন্নয়নের কর্মসূচী। তাই সকলকে এরশাদ তথা জাতীয় পার্টিকে শক্তিশালী করতে তার পতাকাতলে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহবান জানান এমপি সালাহ্ উদ্দিন আহমেদ মুক্তি ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন