মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহে চলতি বৈখাশে ঝড়ের কবলে মাটিতে লুটিয়ে পড়ছে কাঁচা আম । গাছের নিচে কুড়িয়ে পাওয়া সেই আম নিয়ে চলছে ছেলে- বুড়ো সকল শ্রেণি পেশার মানুষের মাঝে হরেক রকমের নানা ব্যঞ্জনে খাওয়ার উৎসব ।
কাঁচা আমের ভর্তা, চাটনিসহ খাবারের বিভিন্ন উপকরণে যোগ হচ্ছে বাড়তি মাত্রা । এই গরমে কাঁচা আম এনেছে প্রাচুর্য্য ।
সরেজমিনে জেলার বিভিন্ন অঞ্চল ঘুরে দেখা গেছে , অনেকেই এই কাঁচা আম কাসন্দে আবার কেউ মরিচ- লবন মেখে পরম তৃপ্তিতে খাচ্ছেন । পাশের লোকটি সেই দৃশ্য দেখে জিহবায় পানি আনছেন । আবার অনেকেই বাড়িতে নিয়ে কাঁচা আম খাচ্ছেন ডাল ও তরকারিতে মিশিয়ে ।অনেকে এই আম ভাল করে কেটে ধুয়ে নিচ্ছেন। সামান্য লবন ও হলুদ দিয়ে আমের টুকরোগুলো মেখে নিচ্ছেন। বাটিতে কাজু বাদাম ও কিশমিশ ভিজিয়ে রাখছেন। কড়াইয়ে সরষের তেল গরম করে কালো সরিষা ও শুকনা আবার কেউ কাঁচা মরিচ ফোড়ন দিচ্ছেন। আদা কুঁচে ওই তেলেই ছেড়ে দিচ্ছেন । এরপর আমের টুকরোগুলো কড়াইয়ে দিয়ে অল্প ভেজে নিচ্ছেন । পানি ও চিনি দিয়ে চাপা দিচ্ছেন । আর এতই আম ভর্তা হয়ে চাটনি ফুটে ঘন হয়ে যাচ্ছে। এভাবেই অনেকে বানাচ্ছেন আমসত্য, আমশি, আমপানা। এসব কাঁচা আমের অধিকাংশই টক প্রজাতির আম।
অনেকে এই কাঁচা আম কুড়িয়ে বাজারে বিক্রি করছেন । সেখানে প্রতিকেজি আম ৩০ টাকা থেকে ৬০ টাকা পর্যন্ত বিক্রি হচ্ছে । ঢাকা থেকে অনেক কোম্পানী আচার বানানোর জন্যও এআম কিনে নিচ্ছেন । সংগ্রহকারীরা বলছেন, এক সময় এই কাঁচা আমের ক্রেতা পাওয়া যেতো না । এখন ক্রেতার অভাব নেই । ময়মনসিংহে কাঁচা আমের চাহিদা প্রচুর বেড়েছে । আগে ঝড়ে অর্থাৎ প্রাকৃতিক বিপর্য়য়ে প্রচুর কাঁচা আম ঝরে পড়ে নষ্ট হত ।এখন সে চিত্র চোখে পড়ে না ।হচ্ছে সংরক্ষণ ও বাজারজাত । বেড়েছে আমের আচারের চাহিদাও ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন