মনোনেশ দাস : ন্যাড়া ও টাক মাথার মানুষদের কৃত্রিম সাজ, ছোট ও কম চুলের নারীদের প্রয়োজন পড়ে পরচুলার । এই পরচুলা তৈরি হচ্ছে, মুক্তাগাছার বিভিন্ন গ্রামে । গড়ে উঠেছে পরচুলা শিল্প । পরচুলা তৈরির কাজে যুক্ত হয়েছেন অনেক নারী ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী । মুক্তাগাছায় তৈরি পরচুলার কদর রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে এমনকি বিদেশেও। রাজধানী ঢাকার অনেক বিপনী কেন্দ্রে বিক্রি হয় পরচুলা । নাটক ও সিনেমার অভিনেতা অভিনেত্রীরাও ব্যবহার করেন পরচুলা । উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের জয়দা গ্রামের গৃহবধূ শরিফা, তানিয়া, নুরজাহান, রীনা আক্তার, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী শর্মিলা জানান, এই গ্রামে তারা কমপক্ষে ২০ জন নারী পরচুলা তৈরির কাজে সম্পৃক্ত । পাশ^বর্তী নিমুরিয়া , মন্ডলসেন গ্রামে রয়েছেন পরচুলা তৈরির অনেক দক্ষ কারিগর । ঐগ্রামের এক কারিগরের নিকট থেকে তারা পরচুলা তৈরির কৌশল শিখে এসে রপ্ত করেন । বাড়ির উঠোন কিংবা ঘরে বসেই পরচুলা তৈরির কাজ করেন । চুল আসে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। সুজন নামের এক উদ্যোক্তার মাধ্যমে কেনা চুল পরিষ্কার করে বিশেষ পদ্ধতিতে তারা তৈরি করেন পরচুলা। একেকটি মাথা হিসাবে চুল তৈরি করে পারিশ্রমিক পান ৩শ’ টাকা থেকে ছয়শ’ টাকা পর্যন্ত । জানা যায়, নগদ টাকা ও বাসন-পত্তরের বিনিময়ে ঝরা চুল কিনে নেন ভাঙ্গারি বিক্রেতারা। পরে এসব চুল তারা কিনেন উদ্যোক্তরা । শহর গ্রামের অনেক নারী তাদের আঁচড়ানো ঝরা চুল জমিয়ে রাখেন । ভাঙারি বিক্রেতাদের হাঁক শুনে নারীরা ঘর থেকেই চুল বিক্রি করেন । ঝরা চুলের ক্রেতারা জানান, সাধারণ হিসাবে একজন নারীর মাথা থেকে মাসে ষাট গ্রাম চুল ওঠে। একজন নারীর মাথায় আড়াইশ থেকে তিনশ’ গ্রামের মতো চুল থাকে। নারীদের নিকট থেকে একশ’ গ্রাম চুল বিষ থেকে পঁচিশ টাকা কেনা যায় । বিক্রি করা যায় পাঁচশ টাকা পর্যন্ত । চুল দিয়ে পরচুলা, চোখের ভ্রু, শীতের পোষাক ইত্যাদি তৈরি হয় । গৃহস্থালী কাজের ফাঁকে গৃহীনিরা এবং পড়া- লেখার ফাঁকে ফাঁকে ঘরে বসে কিংবা বাড়ির আঙিনায় পরচুলা শিল্পের কাজ করে ভালো আয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী কারিগররা ।
পৃষ্ঠাসমূহ
▼
মঙ্গলবার, ২৬ জানুয়ারী, ২০২১
মুক্তাগাছায় বাড়ছে পরচুলা শিল্পের কারিগর
মনোনেশ দাস : ন্যাড়া ও টাক মাথার মানুষদের কৃত্রিম সাজ, ছোট ও কম চুলের নারীদের প্রয়োজন পড়ে পরচুলার । এই পরচুলা তৈরি হচ্ছে, মুক্তাগাছার বিভিন্ন গ্রামে । গড়ে উঠেছে পরচুলা শিল্প । পরচুলা তৈরির কাজে যুক্ত হয়েছেন অনেক নারী ও স্কুল পড়ুয়া ছাত্রী । মুক্তাগাছায় তৈরি পরচুলার কদর রয়েছে দেশের বিভিন্ন স্থানে এমনকি বিদেশেও। রাজধানী ঢাকার অনেক বিপনী কেন্দ্রে বিক্রি হয় পরচুলা । নাটক ও সিনেমার অভিনেতা অভিনেত্রীরাও ব্যবহার করেন পরচুলা । উপজেলার বাঁশাটি ইউনিয়নের জয়দা গ্রামের গৃহবধূ শরিফা, তানিয়া, নুরজাহান, রীনা আক্তার, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ুয়া ছাত্রী শর্মিলা জানান, এই গ্রামে তারা কমপক্ষে ২০ জন নারী পরচুলা তৈরির কাজে সম্পৃক্ত । পাশ^বর্তী নিমুরিয়া , মন্ডলসেন গ্রামে রয়েছেন পরচুলা তৈরির অনেক দক্ষ কারিগর । ঐগ্রামের এক কারিগরের নিকট থেকে তারা পরচুলা তৈরির কৌশল শিখে এসে রপ্ত করেন । বাড়ির উঠোন কিংবা ঘরে বসেই পরচুলা তৈরির কাজ করেন । চুল আসে ময়মনসিংহ বিভাগের বিভিন্ন জেলা উপজেলাসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চল থেকে। সুজন নামের এক উদ্যোক্তার মাধ্যমে কেনা চুল পরিষ্কার করে বিশেষ পদ্ধতিতে তারা তৈরি করেন পরচুলা। একেকটি মাথা হিসাবে চুল তৈরি করে পারিশ্রমিক পান ৩শ’ টাকা থেকে ছয়শ’ টাকা পর্যন্ত । জানা যায়, নগদ টাকা ও বাসন-পত্তরের বিনিময়ে ঝরা চুল কিনে নেন ভাঙ্গারি বিক্রেতারা। পরে এসব চুল তারা কিনেন উদ্যোক্তরা । শহর গ্রামের অনেক নারী তাদের আঁচড়ানো ঝরা চুল জমিয়ে রাখেন । ভাঙারি বিক্রেতাদের হাঁক শুনে নারীরা ঘর থেকেই চুল বিক্রি করেন । ঝরা চুলের ক্রেতারা জানান, সাধারণ হিসাবে একজন নারীর মাথা থেকে মাসে ষাট গ্রাম চুল ওঠে। একজন নারীর মাথায় আড়াইশ থেকে তিনশ’ গ্রামের মতো চুল থাকে। নারীদের নিকট থেকে একশ’ গ্রাম চুল বিষ থেকে পঁচিশ টাকা কেনা যায় । বিক্রি করা যায় পাঁচশ টাকা পর্যন্ত । চুল দিয়ে পরচুলা, চোখের ভ্রু, শীতের পোষাক ইত্যাদি তৈরি হয় । গৃহস্থালী কাজের ফাঁকে গৃহীনিরা এবং পড়া- লেখার ফাঁকে ফাঁকে ঘরে বসে কিংবা বাড়ির আঙিনায় পরচুলা শিল্পের কাজ করে ভালো আয়ের মাধ্যমে স্বাবলম্বী কারিগররা ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন