পৃষ্ঠাসমূহ

মঙ্গলবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

হারিয়ে যাচ্ছে তমাল গাছ

 

মনোনেশ দাস :  দৃষ্টি নন্দন কান্ড – শাখা আর পত্র পল্লবিত “তমাল তরু” আবহমান বাংলার একটি পরিচিত গাছ। বৈষ্ণব কবির কবিতায় একে তমাল তরু বলা হলেও এটি তরু নয় , এটি একটি মধ্যম আকারের অরণ্যক বৃক্ষ। এর উদ্ভিদ জাগতিক নাম “ গার্মেনিয়া জেলখো সাইমাস”। কৃষ্ণ কালো তমাল শাখাঁর ফাকে আকাশকে অপরুপ নীল দেখায় বলে বোধ হয় এর আরেক নাম নীলধজ। হিন্দু সম্প্রদায় তমালকে পবিত্র বৃক্ষ হিসেবে পূজা দিয়ে থাকেন। এক সময় বৃহত্তর ময়মনসিংহের মাঠ- ঘাটে , বন-জঙ্গলে সারি সারি তমাল গাছ দেখা যেতো। এখন তা বিরল। তমাল এখন বিলীয়মান গাছ। তমাল শুধু রুপসর্বস্ব গাছ নয়, এর গুনও রয়েছে অনেক। এ গাছ থেকে রজন সদৃশ মূল্যবান উপাদান পাওয়া যায়। এর ফলের বীজ থেকে এক ধরনের মাখন প্রস্তুত হয়। যার ভেষজ গুণ রয়েছে । এই মাখন থেকে প্রস্তুত তেল ফাটা পায়ে লাগালে পা ফাটা সেরে যায়॥ তমালের ফল,বীজ পাতা এবং নরম ডাল থেকে মূল্যবান ভেষজ প্রস্তুত হয়। বসন্তে গাছে ফল আসে , গ্রীষ্মে ফল পাকে । পাকা ফল অম্লমধুর , সুস্বাদু, লোকে খায়। তমাল গাছ বেড়ে উঠতে সময় লাগে। বৃহত্তর ময়মনসিংহের বিভিন্ন স্থানে এখনও বিক্ষিপ্তভাবে কিছু কিছু গাছ দেখা যায়। রুপে -গুণে অপরুপ এ গাছগুলো সংরক্ষণ জরুরী।




কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন