photo

সোমবার, ১০ মার্চ, ২০১৪

উপজেলা নির্বাচনে শিশুদের ব্যবহার


স্টাফ রিপোর্টার : উপজেলা নির্বাচনে শিশুদের ব্যবহার করার অভিযাগ রয়েছে । নির্বাচনী আচারণ বিধি লঙ্ঘনের এহেন ঘটনা ঘটলেও প্রশাসন ও নির্বাচন কমিশন নীরব দর্শকের ভূমিকা পালন করছে । সম্প্রতি ধনবাড়ী উপজেলার একটি গ্রামে শিশুদের একজন প্রার্থীর হয়ে মিছিল করতে দেখা গেছে । এলাকাবাসী জানান , শিশুদের ভূলিয়ে ভালিয়ে নির্বাচনে নিজেদের পক্ষে সমর্থন জোগাড় করতে একটি চক্র কাজ করছে । কোমলমতি শিশুদের এহেন কর্মকান্ড থেকে বিরত রাখতে সচেতন মহলের হস্তক্ষেপ কামণা করা হয়েছে ।মুক্তাগাছায় ভোটারদের দ্বারে দ্বারে আ'লীগ-বিএনপি প্রতিনিধি, মুক্তাগাছা (ময়মনসিংহ) আগামী ১৫ মার্চ তৃতীয় ধাপে অনুষ্ঠিত মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে দলীয় নেতাকর্মী ও দলের ভোটারদের বাগে আনতেই গলধগর্ম হতে হচ্ছে আওয়ামী লীগকে। মামলা, হামলা হুমকি-ধমকির ভয়ভীতির মধ্যেও দলীয় নেতাকর্মীদের সংঘবদ্ধ করে চেয়ার দখলে মরিয়া হয়ে মাঠে নেমেছে বিএনপি। জমজমাট প্রচারণায় মুখরিত হয়ে উঠেছে নির্বাচনী মাঠ। ক্ষমতার দাপট, প্রশাসন ব্যবহার, আশ্বাস ও ভীতি ছড়ানোসহ নানা পন্থা অবলম্বন করে মাঠপর্যায়ে দলীয় ও সাধারণ ভোটারদের মন বাগাতে প্রচারণায় এগিয়ে চলেছে আওয়ামী লীগ। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর ইমেজ সংকট, দলীয় কোন্দলের সুযোগ, জাতীয় রাজনীতির নানা ইস্যুকে কাজে লাগিয়ে নীরব ভোট বিপ্লব ঘটিয়ে স্থানীয় রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ উপজেলা চেয়ারম্যানের আসনটি পুনরুদ্ধারে মহাব্যস্ত বিএনপি সুকৌশলে কাজ করে যাচ্ছে। কোন নেতাকর্মী সঙ্গে না নিয়ে একাই একশ' হয়ে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছেন সবার আগে প্রচারে নামা একমাত্র স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী ইছাহাক আলী সরকার। নির্বাচন অফিস সূত্রে জানা গেছে ময়মনসিংহের রাজনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে পরিচিত দেশের পুরাতন উপজেলা মুক্তাগাছায় মোট ভোটার সংখ্যা ২ লাখ ৬৯ হাজার ৯১২ জন। গত উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামী লীগের দলীয় প্রার্থী হিসেবে জেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ বিপুল ভোটে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী হন বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী জাকারিয়া হারুন। এবার সাবেক এমপি উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি কেএম খালিদ বাবুর নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগের অসহযোগীতার কারণে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে বিরত থাকেন বর্তমান চেয়ারম্যান বদর উদ্দিন আহমেদ। দলীয় সমর্থনে ঘোড়া প্রতীক নিয়ে চেয়ারম্যান প্রার্থী হন উজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার। প্রার্থী হওয়ার পর ঘোষণা করা উপজেলা আওয়ামী লীগের কমিটিতে দলের প্রবীণ ও ত্যাগী নেতাদের স্থান না দিয়ে নিজেদের পছন্দের লোকজন নিয়ে কমিটি করার অভিযোগে স্পষ্টত দ্বিধাবিভক্ত স্থানীয় আওয়ামী লীগের দ্বন্দ্ব চরম আকার ধারণ করে। বিগত পাঁচ বছরের ক্ষমতাসীন দল পরিচালনার নানা হিসেব মেলানোসহ, প্রার্থীর ইমেজ সংকটের অভিযোগ উঠায় নিজ দলের নেতা কর্মীদেরই পুরোপুরি ম্যানেজ করে মাঠে নামাতে ব্যর্থ হচ্ছেন আওয়ামী লীগ প্রার্থী। বর্তমান এমপি জাপার কেন্দ্রীয় নেতা সালাহ উদ্দিন আহমেদ মুক্তির নেতৃত্বে জাতীয় পার্টি আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে সমর্থন দিয়ে মাঠে নেমেও প্রচারে কিছুটা সাড়া ফেলতে পারলেও ভোটার টানতে খুব বেশি প্রভাব ফেলতে পারছেন না। বিগত এমপি কেএম খালিদ বাবুর নানা অপকর্মের জন্য মাঠে গিয়ে সাধারণ মানুষের পাশাপাশি নিজ দলের নেতাকর্মীদের প্রশ্নবাণে জর্জরিত হতে হচ্ছে ঘোড়া প্রতীকে ভোট প্রার্থীদের। স্থানীয়ভাবে তোলপাড় করা ঘটনা শহরের লক্ষ্মীখোলা মন্দির থেকে দুই শতাধিক বর্ষপ্রাচীন শিববিগ্রহ চুরির ঘটনায় সাবেক এমপি খালিদ বাবু, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দেবাশীষ ঘোষ বাপ্পীসহ একটি গ্রুপ বহু বিতর্কিত অবস্থায় পড়ায় আওয়ামী লীগের ভোটব্যাংক হিসেবে পরিচিত স্থানীয় হিন্দু ও গারো সম্প্রদায়ভুক্ত ভোটারদের একটি বৃহৎ অংশও রহস্যজনক ভূমিকায় রয়েছে। সব মিলে খুবই কঠিন অবস্থায় নির্বাচনে এগুতে হচ্ছে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে। তারপরও প্রচারণায় ব্যাপকভাবে এগিয়ে থাকা আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিল্লাল হোসেন সরকার তার ঘোড়া প্রতীক নিয়ে বিজয়ের দৌড়ে শেষ পর্যন্ত গন্তব্যে পৌঁছতে সক্ষম হবে বলে আওয়ামী লীগ নেতারা বিশ্বাস করেন। আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী বিল্লাল হোসেন সরকার বলেন, তৃণমূল পর্যায়ে রাজনীতি করে সাধারণ মানুষের ভালোবাসা নিয়ে আমি আজ প্রার্থী হয়েছি। বর্তমান সরকারের আমলে সবগুলো নির্বাচনই স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এখানকার নির্বাচনও ইনশাল্লাহ সুষ্ঠুু হবে। এলাকার জনগণের সুখে-দুঃখে আমাকে বরাবরই পাশে পাবে। তাই নির্বাচনে জনগণ স্বতস্ফূর্তভাবে ভোট দিয়ে আমাকে নির্বাচিত করবে। আওয়ামী লীগ প্রার্থীর পক্ষে মাঠে নামা বর্তমান উপজেলা চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট বদর উদ্দিন আহমেদ নির্বাচন সুষ্ঠুু হওয়ার শতভাগ নিশ্চয়তা দিয়ে বলেন সে নির্বাচনে দেশের উন্নয়নের কথা ভেবে জনগণ আওয়ামী লীগ প্রার্থীকেই ভোট দেবে। এদিকে বিএনপির নেতৃত্বাধীন ১৮ দল সমর্থিত প্রাথী মো. জাকারিয়া হারুন সাবেক প্রতিমন্ত্রী একেএম মোশাররফ হোসেনের হস্তক্ষেপে দলের সব কোন্দল মিটিয়ে নেতাকর্মীদের পাশাপাশি জোটের অন্যতম শরিক জামায়াতকে সঙ্গে নিয়ে জীবনমরণ পণ নিয়ে মাঠে নেমেছেন। প্রকাশ্য প্রচারণা সীমিত রেখে সুকৌশলে গ্রামে গঞ্জে ভোটারদের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বিএনপি নেতাকর্মীরা। উপজেলা বিএনপির সভাপতি আলহাজ জাকির হোসেন বাবলু আনারস প্রতীক জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, তাদের নিশ্চিত বিজয় ছিনিয়ে নিতে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ বিএনপি প্রশাসন ব্যবহার করার পাঁয়তারা করছে। তারা বিএনপি নেতাকর্মীদের মিথ্যা মামলা, হামলা, হুমকি, ধামকি দেয়াসহ নানাভাবে হয়রানি চালিয়ে যাচ্ছে বলে তিনি অভিযোগ করেন। প্রশাসনকে নিরপেক্ষ থাকার আহ্বান জানিয়ে সাবেক প্রতিমন্ত্রী ও বিএনপির কেন্দ্রীয় নেতা একেএম মোশাররফ হোসেন বলেন নিরপেক্ষ নির্বাচন হলে তাদের প্রার্থী বিপুল ভোটে বিজয়ী হবে। বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী মো. জাকারিয়া হারুন থানার ওসি ও পুলিশের বিরুদ্ধে পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগ বলেন, জনগণ সুষ্ঠু পরিবেশে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারলে তিনি বিপুল ভোটে বিজয়ী হবেন। মোটরসাইকেল প্রতীক নিয়ে নির্বাচনে নামা এক মাত্র স্বতন্ত্র চেয়ারম্যান প্রার্থী কৃষকলীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ইছাহাক সরকার একা একা প্রচার প্রচারণা চালিয়ে গেলেও জনগণ যোগ্য প্রার্থী হিসেবে তাকেই নির্বাচিত করবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অন্যদিকে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নামলেও এখন মূল মাঠে আছে বড় দুই সমর্থিত দুই প্রার্থী। তাই আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী মো. তারেক (তালা) ও বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী গোলাম শাহরিয়ার শরীফ (চশমা) এর মধ্যে হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হওয়ার সম্ভাবনার কথাই মাঠে ব্যাপকভাবে প্রচার রয়েছে। মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে চারজন প্রার্থী থাকলেও আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী রুমী দাস (ফুটবল), বিএনপি সমর্থিত আজিজা রহমান (হাঁস) ও স্বতন্ত্র প্রার্থী বর্তমান মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান নাজমুন নাহার দিলু (কলস) এর মধ্যে ত্রিমুখী লড়াই হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুষ্ঠুুভাবে সম্পন্ন হলে শেষ হাসি কে হাসবে তা ১৫ মার্চ ভোট গণনার পর চূড়ান্ত হবে। তবে আওয়ামী লীগ ও বিএনপি সমর্থকদের মাঝে সম্প্রতি একাধিক উত্তেজনামূলক ঘটনা ঘটার কারণে নির্বাচনের তিন বড় ধরনের সহিংস ঘটনার ঘটার আশঙ্কায় ভোট গ্রহণের এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থা অধিক জোরদার করার দাবি জানিয়েছেন সচেতন ভোটাররা। - See more at: http://www.thedailysangbad.com/index.php?ref=MjBfMDNfMTRfMTRfMV8xNl8xXzE1ODA0Nw==#sthash.akG1yT0u.dpuf মুক্তাগাছায় সুবিধাজনক অবস্থানে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী | News for life news.zoombangla.com/মুক্তাগাছায়-সুবিধাজনক-অব/‎ 1 দিন আগে - মুক্তাগাছা: ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা পরিষদ নির্বাচন ১৫ মার্চ। নির্বাচনকে সামনে রেখে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রার্থীরা। হাট-বাজারসহ পৌর শহরের অলিগলিতে প্রার্থীদের নির্বাচনী পোস্টার, ডিজিটাল ব্যানার-ফেস্টুনে ছেঁয়ে গেছে। প্রচারণা চলছে ভোর থেকে মধ্যরাত পর্যন্ত। মুক্তাগাছায় আওয়ামী লীগের দুইজন ... muktagacha familyওয়ার্ল্ড ভিশন ইন্টারন্যাশনাল এর সিএইচএন গ্লোবাল ক্যাম্পেইন টীমের মুক্তাগাছা সফর Published on: সোমবার, ৩, মার্চ, ২০১৪ ৫:০৪ PM কবীর উদ্দিন সরকার হারুন, ময়মনসিংহ অফিস : গত রবিবার ওয়ার্ল্ড ভিশন ইন্টারন্যাশনাল ‘গ্লোবাল টিম ফর সিএইচএন (চাইল্ড হেল্থ নাও) ক্যাম্পেইন’ এর উচ্চপদস্থ ৮ সদস্যের বিদেশি একটি দল ওয়ার্ল্ড ভিশন গ্লোবাল ক্যাম্পেইন অফিসার মি. লিংকন-এর নেতৃত্বে মুক্তাগাছা, ফুলবাড়িয়া ও মুক্তাগাছা সাউথ এডিপির নতুন কর্মসূচী ‘৫ বৎসরের নিচে শিশুমৃত্যু প্রতিরোধ’ লক্ষ্যকে সামনে রেখে ‘শিশুর স্বাস্থ্য এখনই’ প্রচারাভিযানের বিভিন্ন কর্ম এলাকা পর্যবেক্ষণে মুক্তাগাছা উপজেলায় সফরে আসেন। তৃণমুল পর্যায়ে স্বাস্থ্য সেবা জনগনের দোড় গোড়ায় পৌছে দেয়ার জন্য সরকারের চলমান কর্মসূচীতে সহযোগী অংশীদারীতে¦র ভুমিকা পালন করবে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশ, ময়মনসিংহ ডিভিশনের ফুলবাড়িয়া এডিপি, মুক্তাগাছা সাউথ এডিপি ও মুক্তাগাছা এডিপি। সফর কালীন সময়ে তারা রবিবার সকাল ০৮.৩০মি.-এ মুক্তাগাছা এডিপিতে আসেন এবং পরে তারা মুক্তাগাছা সাউথ এডিপির মনতলা ‘কমিউনিটি কিনিক’ গারাইকুটি গ্রামে ‘পিডি হার্থ’ কর্মসূচী ও ‘উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্র’ পরিদর্শন করেন। পরিদর্শনকালীন সময়ে তারা এলাকার মা ও অভিভাবকদের সাথে মতবিনিময় করেন, শিশু ফোরাম সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন এবং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্্েরর বিভিন্ন কর্মকর্তাদের সাথে সাক্ষাত ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন। উক্ত সফর টীমের অন্যান্য সদস্যদের মধ্যে ওয়ার্ল্ড ভিশন বাংলাদেশের গ্রুপ ডিরেক্টর মি. স্টিফেন কে হালদার, ন্যাশনাল এ্যাডভোকেসি ডিরেক্টর মি. চন্দন যাকারিয়া গমেজ, ন্যাশনাল কো-অর্ডিনেটর- সিএচএন ডাঃ ইসরাত জাহানসহ ময়মনসিংহের ডিভিশনাল অফিসের ডিরেক্টর মি. পিন্টু আরেং, ডিভিশনাল হেল্থ কোঅর্ডিনেটর ডাঃ জয়ন্ত কুমার নাথ, কমিউনিকেশন্স এন্ড পাবলিক রিলেশন্স স্পেশালিষ্ট মোহাম্মদ খালিদুজ্জামান এবং ফুলবাড়িয়া এডিপি, মুক্তাগাছা সাউথ এডিপি ও মুক্তাগাছা এডিপির এডিপি ম্যানেজারবৃন্দ এবং তিন এডিপির কর্মকর্তাগণ উপস্থিত ছিলেন। এছাড়াও বিভিন্ন সংবাদপত্রের সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। ঢাকা: বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন দেশে এখন চলছে সুড়ঙ্গ উন্নয়ন। প্রকাশ্যে লুটপাট শেষ হওয়ার পর এখন সুুড়ঙ্গ পথে রাষ্ট্রীয় ব্যাংকের অর্থ লুট হয়ে যাচ্ছে। সোমবার দুপুরে রাজধানীর নয়া পল্টন বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন। রুহুল কবির রিজভী বলেন, একের পর এক সুড়ঙ্গ তৈরি করে সরকারি ব্যাংকের ভল্ট ভেঙ্গে কোটি কোটি টাকা বের করে নিচ্ছে দুর্বৃত্তরা। এর কারণ সরকার রাষ্ট্র চালাতে অন্যায়, বেআইনি পন্থাকে অনুসরণ করেছে। উপজেলা নির্বাচন প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, সরকার ও নির্বাচন কমিশনের নির্লজ্জ আচরণের কারনে উপজেলা নির্বাচন অবাধ ও সুষ্ঠু হচ্ছে না। অনিয়ম ঠেকাতে এই নির্বাচন কমিশন সরকারে তল্পিবাহকের ভূমিকা পালন করছে। বিএনপির এ নেতা বলেন, অনিয়ম ঠেকাতে নির্বাচন কমিশনের জরুরি পদক্ষেপ গ্রহণের অভাব কারো কাছে অজানা নয়। এছাড়া নির্বাচনের দিন ভোটন্দ্রেগুলোতে ঢুকে অবাধে ব্যালট পেপারে সিল মারা এবং বিরোধী প্রার্থীদের উপর আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। সুতরাং এই নির্বাচন কমিশন নির্বাহী বিভাগ দ্বারা সম্পূর্ণরুপে বশীভূত। আর এই নির্বাচন কমিশন নিজেই সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ উপজেলা নির্বাচনের সামনে মস্ত বড় বাঁধা। মুক্তাগাছা উপজেলা নির্বাচনে প্রশাসন দলীয় ক্যাডারে পরিণত হয়েছে। নির্বাচনে ফলাফল নিজেদের অধীনে নেওয়ার জন্যই পুলিশ মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের নির্যাতন করছে বলে অভিযোগ করেন রিজভী। তিনি বলেন, মুক্তাগাছ থানায় ওসি রফিকুল ইসলামের হালচাল দেখে মনে হয় যেন নিজেই উপজেলা নির্বাচনের প্রার্থী। নির্যাতন ও মিথ্যা মামলা দিয়ে সরকার সারা দেশকে বন্দিশালায় পরিণত করেছে বলে মন্তব্য করেন তিনি। অবিলম্বে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে কেবল মাত্র জনগণের ঘাড়ে চেপে বসা সিন্দাবাদের দৈত্যরুপী এই অবৈধ সরকারকে অপসারণ করা সম্ভব বলেও মন্তব্য করেন রিজভী। (ঢাকাটাইমস

কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন