স্টাফ রিপোর্টার : বাংলা ঋতুচক্রে চৈত্রকে বসন্তের অংশীদার বলা হয়। বসন্তের ছদ্মবেশে গ্রীষ্মের আগমন। গরম হাওয়ার ঘূর্ণী, তেতে ওঠা মাটি, আগুনঢালা সূর্য, ফল পাকানো রোদ, ঘর্মাক্ত দেহ, ক্লান্তি আর অবসাদ—এসব মিলেই চৈত্র-বৈশাখের আগমন। চৈত্রের দুপুরে যদি রাস্তায় চলতে হয় তাহলে তৃষ্ণায় কাতর এক গ্লাস পানির জন্য হাহাকার করে সবাই। এই সময় সূর্যের তাপে আমাদের দেহ থেকে প্রয়োজনীয় পানি ও লবণ বেরিয়ে যায় এবং দেখা যায় দেহে পানির শূন্যতা। তাই গরমে আমাদের উচিত প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা, যা আমাদের শরীরের পানির অভাব পূরণ করবে। আর পানির সঙ্গে যদি লেবু মেশানো হয় তাহলে তৃষ্ণা মেটানোর সঙ্গে সঙ্গে শরীরের নানা উপকার করবে। এই প্রচ গরমে আমাদের প্রচুর পরিমাণে পানি পান করা উচিত। তার সঙ্গে লেবুর রস, নানা ফলের রস খাওয়া উচিত, কারণ এসব ফলের রস আমাদের পুষ্টি গঠনে সাহায্য করে।

প্রচ গরমে আমাদের চারপাশে নানা ধরনের সরবত পাওয়া যায়। টাক ফাটানো খরা, প্রচন্ড ভ্যাপসা গরমে অতিষ্ঠ জনজীবন। গ্রামীণ জনপদে কিছুটা বৃক্ষাচ্ছাদন থাকলেও নগর জীবনে মাথার উপরে একেবারে খোলা আকাশ। রোদের প্রখরতা পুরোটাই দখল করে শরীরে। ফুটপাথ দিয়ে হাটার সময় শরীর থেকে দর দর করে ঝরছে ঘাম। শুকিয়ে আসছে কণ্ঠনালী। এই গরমে পথচারীদের কিছুটা স্বসিত্ম এনে দিচ্ছে বরফ গোলানো এক গ¬াস শরবত। শরীর থেকে অতিরিক্ত পানি বের হওয়াতে ক্লামত্ম পথচারী। এক গ¬¬াস ঠান্ডা পানি বা শরবত পান করে কিছুটা হলেও তৃষ্ণা মিটানো সম্ভব। আর এ কারণে শহরের বিভিন্ন মোড়ের শরবত বিক্রেতার কাছে পড়েছে দীর্ঘ লাইন। দুপুরে শরবতের চাহিদা দেখে এমনটিই মনে হয়েছে। তবে সন্ধা ৭ টার দিকে শুরু হওয়া প্রায় ঘন্টা ব্যাপী মাঝারি বৃষ্টিতে অনেকটাই স্বসিত্ম ফিরে এসেচে। মুক্তাগাছায় প্রচন্ড গরমে মানুষ যখন অতিষ্ট হয়ে ওঠেছে, তখন ঠান্ডা জাতীয় বিভিন্ন শরবতের চাহিদা বৃদ্ধি পেয়েছে। বিক্রেতারাও শহরের প্রধান সড়কসহ বিভিন্ন স্থানে শরবত বিক্রি করে চলেছেন। ক্রেতারাও প্রচন্ড গরমে হাতের কাছে পাওয়া সসত্মা দামের শরবত পান করে কিছুটা হলেও তৃপ্তি পাচ্ছে। শহরের প্রধান সড়কের বিভিন্ন স্থানে শরবতের ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা গেছে। অনেক স্থানে আবার শরবতের জন্য বেশ কিছু সময় অপেক্ষাও করতে দেখা গেছে। শহরের বড় মসজিদের সামনে এলাকায় লেবুর সরবত বিক্রি করেন দাদা নাতী f লেবুর রস, চিনি, মিশ্রি, বরফ, মধু ও লবন তার সরবতের প্রধান উপকরণ। বিক্রেতা জানান, এখন বেচা-বিক্রি খুব ভাল। অনেক সময় অপেক্ষা করেও সরবত পান করছেন অনেকে। প্রতি গ¬াস শরবতের দাম ৫ টাকা হলেও গরমে স্বসিত্ম পেতে দাম নিয়ে ভাবছেনা কেউ। সরবত পান করতে আসা এক ক্রেতা জানান, প্রচন্ড গরমে কণ্ঠনালী শুকিয়ে গেছে। শরীর অবসন্ন। এ অবস্থায় ঠান্ডা এক গ¬াস শরবতই প্রয়োজন ছিল। হাতের কাছে পাওয়া যাচ্ছে এটাই বড় কথা। দামটা তেমন কিছু না। আর যদি বলেন, মানের কথা তাহলে বলতে হয়। মান নিয়ে ভাবনার সময় নেই। প্রয়োজন ঠান্ড শরবত। বিক্রেতা জানান, প্রতিদিন সকাল ১০ টা থেকে বিকাল পর্যমত্ম বিক্রি করে থাকেন। এটা তার মৌসুমী পেশা। লেবুর শরবতের চাহিদা থাকার কারণে তিনি এ পেশা বেছে নিয়েছেন। এর আগে তিনি বিভিন্নস্থানে শরবত বিক্রি করতেন। কিন্তু মুক্তাগাছায় চাহিদা প্রচুর। এ কারণে প্রচন্ড গরমে নগর কর্মে আগত মানুষের স্বসিত্ম দিতে চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। দিনে প্রায় ৩শ গ¬¬াস শরবত বিক্রি করে থাকেন।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন