স্টাফ রিপোর্টার : ময়মনসিংহে ৭১’র স্মৃতিচিহ্ন ভাষ্কর্য । গোটা বিশ্বের ইতিহাস মুক্তিযুদ্ধ। ১৯৭১ সালে সমগ্র বাংলাদেশে পাক বাহিনী ও তার দোষর রাজাকার আলবদর বাহিনীর নির্মম নির্যাতনের শিকার হয়ে অকাতরে প্রাণ দেন অগনিত মানুষ। ময়মনসিংহের মানুষ বাদ পড়েনি । দেশ স্বাধীনের পর ময়মনসিংহের সর্বত্র শহীদদের সমাধিস্থলে স্মৃতিচিহ্ন সংরক্ষণের মাধ্যমে নতুন প্রজন্মের কাছে মুক্তিযুদ্ধের সঠিক ইতিহাস তুলে ধরতে সরকারী বেসরকারী উদ্যোগে অসংখ্য স্থানে ভাষ্কর্য ও শহীদ মিনার স্থাপন করা হয় । কিন্তু এ সমস্ত ভাষ্কর্য ও শহীদমিনারগুলি যথাযথ সংরক্ষণ না হওয়ায় বিনষ্ট হচ্ছে । ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলা শহরের পাড়াটঙ্গীতে ময়লাখানা সংলগ্ন আয়মন নদীর তীরে মুক্তিযুদ্ধকালীন অগনিত মানুষকে হত্যার পর লাশ ফেলে রাখা হয় । দেশ স্বাধীনের দীর্ঘদিন পর দুই হাজারের দশকে সাবেক গণপরিষদ সদস্য , পৌরসভার সাবেক চেয়ারম্যান ও মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক খোন্দকার আব্দুল মালেক শহীদুল্লার ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় ময়লাখানার আয়মন নদীতীরে বদ্ধভূমিতে স্থাপন করা হয় পৃথক দু’টি ভাষ্কর্য । এই ভাষ্কর্যদুটি যথাযথ সংরক্ষণের অভাবে ধবংস হয়ে যাচ্ছে । এলাকাবাসী ভাষ্কর্যগুলিকে লাকড়ি শুকাতে এবং ছাগল লালন- পালন করতে ব্যবহার করছে । শুধু এদু’টি ভাষ্কর্যই নয় উপজেলার বিভিন্নস্থানে প্রতিষ্ঠিত ভাষ্কর্যগুলির একই অবস্থা । এব্যাপারে উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ জানান , সরকারের সংশ্লিষ্ট বিভাগের নিকট জোর দাবীর পরিপ্রেক্ষিতে শহীদদের স্মৃতিচিহ্ন রক্ষায় ভাষ্কর্য ও শহীদ মিনার নির্মানার্থে অর্থ বরাদ্দ পাওয়া যায় । কিন্তু নির্মাণের পর সংরক্ষণের জন্য কোন লোকবলের ব্যবস্থা করা হয় না। শহীদ মিনার ও ভাষ্কর্যকে ঘিরে বিজয় দিবস, স্বাধীনতা দিবস , শহীদ দিবস , ভাষা দিবসসহ জাতীয় দিবসের কয়েকদিন আগে এগুলি পরিস্কার পরিচ্ছন্ন করা হয় । বাকী সময় থাকে অরক্ষিত। ভাষ্কর্য ও শহীদ মিনার সারাবছরব্যাপী যথাযথ সংরক্ষণের জন্য লোকবল নিয়োগের দাবী ময়মনসিংহবাসীর ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন