মনোনেশ দাস : ময়মনসিংহে সদর উপজেলার শম্ভুগঞ্জে নয় বছর বয়সী এক শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে সালিসের মাধ্যমে অভিযুক্ত ব্যক্তিকে শিশুটি বিবাহযোগ্য অর্থাৎ সাবালিকা হলে বিয়ের শর্ত এবং তিন লাখ টাকা জরিমানা ও করা হয়েছে।
পুলিশ ঘটনাটি জানলেও এখনো কোনো পদক্ষেপ নেয়নি। ঘটনাটি চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে । গত ২ মে ওই শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। বর্তমানে শিশুটি ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি আছে ।
মেয়েটির পরিবার ও এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, শিশুটি একজন মত ড্রাইভারের মেয়ে । অভিযুক্ত ধর্ষক কাশেম ছাগল বিক্রেতা স্থানীয় কসাই পাড়ার বাসিন্দা এবং সে দুই সন্তারের জনক ।
এলাকাবাসী ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, ধর্ষিত শিশুটির প্রচুর রক্তক্ষরণ শুরু হলে ঘটনার দিনই তাকে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ।
সালিসের বিষয়ে পুলিশ ও সালিসের বিচারকরা কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি ।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয় সচেতনদের অনেকেই জানিয়েছেন । শিশুটি এতিম । এই সুযোগে তার আতœীয়- স্বজন এবং নামধারী কিছু সালিসের বিচারকরা গোপনে এ সালিস করে । তারা কারসাজির মাধ্যমে জরিমানার টাকা আত্নসাত ও বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টা করছে । এব্যক্তিরা প্রভাবশালী সালিসকারিদের নাম বলতেও ভয় পাচ্ছেন । অভিযোগ আছে কিছু তথাকথিত সাংবাদিকের বিরুদ্ধে । তারা ঘটনা শুনে সরেজমিনে গেলেও এব্যাপারে রিপোর্ট করেননি । তবে, তারা স্বীকার করে বলেন, এটি চরমভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে ।
কোতোয়ালী থানা পুলিশের এক কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন , এব্যাপারে কেউ লিখিত অভিযোগ করেনি । অভিযোগ না পাওয়া গেলে আমাদের কিছুই করার নেই ।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন