

আসমা আক্তার ,ময়মনসিংহ হেল্প লাইন : আনন্দ মোহন কলেজ । ময়মনসিংহ বাসীর এমন কেউ হয়তবা নেই যে জানেনা এই কলেজ সম্পর্কে। তবুও আজ কথা বলব এই কলেজ নিয়েই।
আনন্দ মোহন কলেজ ১৯০৮ সালে প্রতিষ্ঠিত হলেও আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ১৯০৯ সালে।শতবর্ষের ঐতিহ্যে লালিত আনন্দ মোহন কলেজের প্রতিষ্ঠাতা হচ্ছেন শিক্ষাবিদ, সমাজসংস্কারক, ব্যারিস্টার আনন্দ মোহন বসু।তার নামানুসারেই এ কলেজের নাম করন করা হয়েছে।
আনন্দ মোহন কলেজ ময়মনসিংহ শহরে অবস্থিত একটা উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠান।বর্তমানে আনন্দ মোহনে ২০ টি বিষয়ে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে ছাত্র-ছাত্রী ভর্তি হয়।প্রায় ৩২ হাজার শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছে এ কলেজে।কলেজে শিক্ষার্থীদের জন্য আবাসিক হল রয়েছে ৯ টি।যার দুইটি নতুন করা হয়েছে মেয়েদের জন্য।প্রায় ৫০,০০০ হাজার বই আছে কলেজের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরিতে এছাড়াও প্রতিটা বিভাগে একটা করে সেমিনার লাইব্রেরী রয়েছে যেখানে রয়েছে সাবজেক্ট অনুযায়ী বইয়ের বিশাল সংগ্রহ।যুগের সাথে তাল মিলিয়ে দেওয়া হয়েছে ইন্টারনেট ক্যাফে। এছাড়াও উচ্চ মাধ্যমিকের জন্যও তৈরী করা হয়েছে চারতলা ভবন।
অডিটোরিয়ামের পাশেই রয়েছে ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য ক্যান্টিন।
পড়াশোনার দিক দিয়েও এগিয়ে আছে আমাদের প্রাণ প্রিয় এ কলেজটি।আনন্দ মোহন কলেজ ময়মনসিংহ অঞ্চলের সেরা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অ্যাওয়ার্ড গ্রহন করেছেন প্রফেসর নারায়ন চন্দ্র ভৌমিক স্যার(অধ্যক্ষ আনন্দ মোহন কলেজ)।এছাড়াও জাতীয়ভাবে এ কলেজ ষষ্ঠ স্থানে রয়েছে।
শুধু পড়াশোনা আর চাকরি নিয়েই এখানের শিক্ষার্থীরা ব্যস্ত নয়।পাশাপাশি বিভিন্ন সাংস্কৃতিক কাজের সাথেও জড়িত রয়েছে সমান পদ চারনা।রয়েছে বেশ কয়েকটা সংগঠন।রয়েছে রোভার স্কাউট,বিএনসিসি।এছাড়াও রয়েছে স্বেচ্ছায় রক্তদান সংগঠন 'বাঁধন'।
গর্বিত এ কলেজ কেননা এখানে অধ্যয়ন করেছেন,নীহার রঞ্জন রায় (ইতিহাসবিদ) পি. সি সরকার,প্রবোধ চন্দ্র গোস্বামী,প্রিন্সিপাল ইব্রাহিম খাঁ,সৈয়দ ওয়ালিউল্লাহ্,যতীন সরকার, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম,নির্মলেন্দু গুণ ছাড়াও আরও অনেকে।
আনন্দ মোহন কলেজের আরও একটি গর্বের বিষয় হলো এখানে এসেছিলেন বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর।১৯২৬ সালে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এসেছিলেন এই কলেজ ক্যাম্পাসে।তার আগমনের সেই উচ্ছ্বাস আজও মনে করিয়ে দেয় কলেজের কেন্দ্রীয় লাইব্রেরি ভবনের সামনে স্থাপিত স্মৃতিফলক।
দেশের প্রখ্যাত কয়েকটি কলেজের মাঝে আনন্দ মোহন অন্যতম, আশাকরি কোন একদিন প্রাচীন এই শিক্ষা প্রতিষ্ঠানটি পাবলিক ইউনিভার্সিটি তে রুপান্তরিত হবে। সূত্র : ময়মনসিংহ হেল্প লাইন
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন