পৃষ্ঠাসমূহ

সোমবার, ৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২২

মুক্তাগাছায় কুলি- মজুরের জীবিকা


মনোনেশ দাস : রাজধানী ঢাকা ও দূরদূরান্ত থেকে ট্রাকে প্রায় প্রতিদিন ট্রান্সপোর্ট মালামাল আসে মুক্তাগাছায় । মুক্তাগাছা থেকেও অনেক কিছু যায় বাইওে এসব মালামাল নামানো উঠানোর কাজটি যারা করেন তারাই কুলি । শহরতলী ঈশ^রগ্রাম ও পাড়াটঙ্গী এলাকায় শতাধিক কুলির বসবাস । মাসে পনেরদিন অর্থাৎ গ্রুব বেধে এরা একদিন কুলি পেশার কাছ করেন । অফ ডে পরের দিন বিশ্রাম নেন বা অলস সময় কাটান। দশ থেকে পনের জনের গ্রুপ । অনেকে অফ ডের দিন মজুরের কাজ করেন । মজুরের কাজ অর্থাৎ ফুট ফরমায়েশ । কাজের দিন কাক ডাকা ভোড়ে বাড়ি থেকে ভড়াপেটে বের হন । মাসে দশ থেকে পনের হাজার টাকা পারিশ্রমিক পান । রড, সিমেন্ট, কাপড়ের গাট্টিসহ হরেক রকম মাল উঠানো নামানোর কাজ এরা করেন । অনেক সময় যানবাহনের যাত্রীদের ডাক পরে কুলির। মুহুর্তেই ছুটে আসেন তারা । বড় শহরে কুলির পোষাক লাল পোষাক থাকলেও মুক্তাগাছার কুলিদের নির্দিষ্ট কোন পোষাক নেই ।

বেশিরভাগ কুলিদের একমাত্র রোজগেরে তারাই। ফলে সংসার সামলাতে কাজ করেন তাদেও মা কিংবা স্ত্রীগণ । যাদের সংসারে কেও নেই দিনের শেষে ফিরে গিয়ে ঘরের সমস্ত কাজ করেন। অন্য কোন কাজ জানা না থাকায় বাধ্য হয়েই কাঁধে ওজন তুলে নেন বেশির ভাগ কুলিরা। অনেকে ছেলেমেয়েগুলো পড়াশুনো শিখিয়ে মানুষের মতো মানুষ গড়ার চেষ্টায় আছেন । আবার অনেকেই পরম্পরায় কুলি – মজুর । তারা তাদের সুরক্ষা, পুনর্বাসন এসব নিয়ে ভাবেননা । প্রযুক্তির যুগে আজো তারা লাঞ্ছনার পেশায় বলেন, কেউ কেউ । তারা বলেন, কুলি- মজুরের কাজ করতে গিয়ে অনেক সময় তারা দুর্ঘটনার কবলে পড়েন ।  শ্রমজীবনের নিরাপত্তাহীনতা জীবন । চুপচাপচলনে এই কুলি- মজুরের অসম্পূর্ণই থেকে যায় কষ্টের সাতকাহন।

কুলি সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো: রহিম বলেন, আমাদের সুরক্ষা, পুনর্বাসন এসব নিয়ে ভাবার দাবি জানাই ।


কোন মন্তব্য নেই:

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন